শুনুন মহাজন, ‘আমিতো দিনমজুর
সদা গায়ে খেটে মরি,
কাজ শেষে মোর পাওনা
বুঝিয়ে দিবেন খুব তাড়াতাড়ি।’
মহাজন বললো, ‘আচ্ছা আচ্ছা তা হবে
এখন কাজ করো গিয়ে,
দেখো কাজে দিও না ফাঁকি
মজুরি নিও কাজ ষোলআনা বুঝিয়ে দিয়ে।’
দিনমজুর, ‘আচ্ছা মহাজন ঠিক আছে
আপনার কাজ হবে ষোলআনা,
কাজে আমি দিব না ফাঁকি
যদিও পেটে না থাকে মোর দানা।’
‘বেশ! বেশ! বেশ! খুশি হলাম শুনে
এখন যাও।’ বললো মহাজন,
দিনমজুর দিলো দৌড়, শুরু করল কাজ
সে যে হায় দিনে আনে দিনে খান।
হলো দুপুর শেষ হলো বেলা
মজুরের বাড়ি ফেরার পালা,
মজুরি পেতে গেল মহাজনের বাড়ি
দেখামাত্রই মহাজন মুখটা করলো কালা!
‘হায়রে, কী জ্বালা কী জ্বালা’
মহাজন বললো রেগেমেগে,
আজ নেই তো টাকা-কড়ি
কালকে তোকে দিবো সবার আগে।’
হায়! হায়! হায়!, এখন কী উপায়?
ঘরে তো তার নেই দানা,
অবলা নারী পথ চেয়ে আছে
ভাবছে, ‘ফিরবে স্বামী সাথে নিবে খানা।’
কী আর করা নিরুপায় হয়ে দিনমজুর
ধীরে ধীরে চললো পায়ে হেঁটে,
বাড়ির সামনেই পুকুরে স্বচ্ছ পানি
ইচ্ছেমতো সে ভরে নিলো পেটে।
অপেক্ষায় থাকা দিনমজুরের সহধর্মিণী
জিজ্ঞেস করলো, ‘সে কি গো,
এসেছো খালি হাতে বুঝি?
তা হলে এখন খাবো কী গো?’
দিনমজুর বলল, ‘আমি গিলেছি পানি
তুমিও গিলবে তা-ই জানি,
করার তো কিছুই নেই যে গিন্নি
যাও পুকুরে গিলে নাও পানি।’
‘আমরা তো গরিব দিনমজুর
মালিক মোদের হুজুর মহাজন,
কেউ দেয় না ঘাম না শুকোতে মজুরি
এখন সবাই এমন, চলছেই এমন!’
loading...
loading...
ছন্দ কবিতাটি পড়লাম মি. নিতাই বাবু। আমাদের দৈনন্দিন জীবন টানাপোড়নে সবসময়ই ;আপনার লেখনীর প্রেক্ষাপট ভীষণ পরিচিত মনে হয়। মাটি আর মানুষের সাথে আপনার সদৃশ মেল বন্ধন দারুণ। কবিতার জয় হোক।
loading...
আপনার অনুপ্রেরণায় ব্লগে লেখা। শুভকামনা থাকলো, দাদা
loading...