ছোডবেলা সইন্ধ্যার পর বুড়া-বুড়িগো সামনে বইয়া হেগো মুহে শোলক(কিচ্ছা) হুনতাম। শোলক হুনতে খুব ভালা লাগত। হুনলে খালি হুনতেই মন চাইত। হুনতাম রাইক্ষস’র শোলক। হুনতাম শয়তানের শোলক। হুনতাম রাজা-প্রজা আর ধনী-গরিবগো শোলক। হেসুম খালি হুনতামই। কিন্তু তরজমা বা বিশ্লেষণ করনের মতন বয়স তহন অয় নাই দেইখ্যা হেগো মুহে শোলক হুইনাই খালি খালি চিন্তা করতাম, আর রাইক্ষসের ডর মনের মধ্যে পুইষা রাখতাম।
হেই ডরে সইন্ধ্যার পর আর ঘরেই তুনে বাইর অইতাম না। বেশি রাইতে যদি মুতায় ধরতো, তহন শয়তান আর রাইক্ষসের ডরে মা’রে ডাইক্যা উঠাইতাম। মা’র লগে বাইরে যাইয়া মুইতা দুই চোক বন্ধ কইরা দৌড় দিয়া ঘরে আইতাম। হের পরও বাইর অইলেই মনে অইতো এই বুঝি রাইক্ষসে আমারে খাইলো, আর শয়তানে ধরলো!
অহনে বড় অইছি। বুজের অইছি। হগল কিছু বুঝি, জানি। হিল্লাইগা অহনে আর হেসব শোলক কিচ্ছা হুনি না। কারোর মুহে হুনলেও আঁইস উডে। হুইন্না একলা একলাই আঁসতে থাহি, আর ভাবতে থাহি। অহনে বুঝি ঐ রাইক্ষস-টাইক্ষস হাছা বইলতে কিচ্ছু নাই। মাইনষের তুনে বড় রাইক্ষস এই দুইন্নাত নাই। আর ঐ যে শয়তান? মাইনষের তুনে বড় কুনো শয়তানও নাই।
কাজেই কথার কথা অইলো, মানুষই রাইক্ষস, মানুষই শয়তান।
দেশী ভাষায়,
নিতাই বাবু
৩০/০৩/২০২২ইং।
loading...
loading...
ছোটবেলা এই সব গল্প শুনলেই ভয়ই লাগত কবি দা
loading...
সত্যিই বলেছেন, দাদা। তো এখন আর সেরকম ভয়-টয় মনে জাগে না। কিন্তু সেসব কথা, গল্প, কিচ্ছা কাহিনি খুব মনে পড়ে। ভুলতে পারিনা সহজে
শুভকামনা থাকলো।
loading...
মানুষই রাইক্ষস, মানুষই শয়তান।
এমন প্রাঞ্জল সাবলীল বর্ণনা সাধারণত আপনার লিখাতেই পাই। শুভেচ্ছা দাদা।
loading...
আসলেও কিন্তু তা-ই, দাদা। মানুষের চেয়ে বড় কিছু কিন্তু আর কোনোকিছু নেই।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
loading...