স্বপ্ন প্রতিটি মানুষই দেখে। কারণে অকারণে দিনে-রাতে স্বপ্ন দেখেই যাচ্ছে। কেউ ঘুমের ঘোরে স্বপ্নের ডানা মেলে এদেশ-ওদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমিও স্বপ্ন দেখি প্রতিদিন, প্রতি রাতে। স্বপ্ন দেখি দিনের বেলাতেও। স্বপ্ন দেখা আমার নতুন কিছুই নয়। স্বপ্ন ছোটবেলা থেকেই দেখছি। ছোটবেলা ঘুমের ঘোরে যদি স্বপ্ন দেখতাম, আর যদি সেই স্বপনের দৃশ্যগুলো মনে থাকতো; সেই দৃশ্যগুলো মায়ের কাছে বলতাম। আগেকার সময়ে স্বপ্ন দেখা নিয়েও অনেক কুসংস্কার ছিলো। ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখাও অনেকে বিশ্বাস করে থাকতো। আমার মা-ও একজন কুসংস্কার প্রিয় মানুষ ছিলেন। মায়ের কাছে যখন স্বপ্নের দৃশ্যগুলোর কথা বলতাম, তখন আমার মা সেসব দৃশ্যগুলোর বিশ্লেষণ করতেন।
যদি স্বপ্নে কোনও সাপ দেখতাম, তাহলে মা বলতেন, ‘সাবধানে থাকিস! বিপদ হতে পারে।’ যদি মৃত: মানুষ দেখতাম, তাহলে মা বলতেন, ‘আপনা দেখলে পরের হয়, পরেরটা দেখলে নিজেদের হয়। তুই কি মরা মানুষ নিজের কাউকে দেখেছি?’ যদি বলতাম, ‘না মা, আমি স্বপ্নে অপরিচিত একজনকে মরতে দেখেছি।’ তাহলে মা দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে বলতেন, ‘সর্বনাশ হয়েছে রে! কী জানি হয়! জিজ্ঞেস করতাম, ‘কি হবে মা?’ মা ধমক দিয়ে বলতেন, ‘স্বপ্নে পরের মরা দেখা ভালো না! এতে নিজেদের ঘাড়ে বিপদ এসে ভর করে।’ এরপর থেকে আমার মা খুব টেনশনে থাকতেন। ক’দিন পর দেখতাম আমাদের কারোই কোনও বিপদ হয়নি! তখন মাকে জিজ্ঞেস করতাম, ‘মা, তুমি না বলেছিলে স্বপ্নে পরের মরা দেখলে নিজের কাঁধে বিপদ এসে ভর করে! আজ কয়েকদিন গত হলো, কই আমাদের তো কারোই কোনও বিপদ হয়নি।’ তখন আমার মা আমাকে শান্তনা দিয়ে বলতেন, ‘বিপদ কেটে গেছে,বাবা। সব সময় কি আর স্বপ্ন ফলে? তবে এসব দেখা ভালো না। স্বপ্ন শয়তানেও দেখায়।’ জিজ্ঞেস করতাম তা আবার কেমন স্বপ্ন মা?’ মা বলতেন, ‘শয়তানে তোকে ঘরের বাইরে নিয়ে বলবে হিসু দেয়। তুই যদি শয়তানের কথায় হিসু দিস, তাহলে সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখবি যেই বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলি, সেই বিছানায় হিসু দিয়ে ভিজিয়ে রেখেছিস।’
আসলেও এমন আকাম-কুকাম মাঝে মাঝে আমার ঘটে যেতো। এরজন্য আমার মা ঠাকুর, মোল্লা, মুন্সি, ওঝা বৈদ্য, গ্রাম্য কবিরাদের কাছ থেকে কেজি খানেক তাবিজ-কবজ আমার গলায় বেঁধে রাখতেন। সেই তাবিজের গাট্টি গলায় ঝুলিয়ে মাসের পর মাস আমার বিছানা ভিজানোর দায়ে সাজা ভোগ করতে হতো। তারপরও হঠাৎ হঠাৎ শয়তানের প্রবঞ্চনায় পড়ে বিছানা ভিজিয়ে রাখতাম। অবশ্যই ছোটবার সেই শয়তান মনে হয় বড় হওয়ার সাথে সাথে আমাকে ছেড়ে অন্য কারোর কাঁধে চড়েছিল। কিন্তু সেই ছোটবেলার স্বপ্নের শয়তানের শয়তানির কথা আমার আজও মনে আছে। ছোটবেলার স্বপ্নগুলোর কথা যখন মনে পড়ে, তখন একা একা ভাবি!
সেই ভাবনা থেকে আমি এখনো ঘুমের ঘোরে খুবই সাবধানে থাকি। কারণ, ঘুমের ঘোরে সেই ছোটবেলার শয়তানটা যদি আবার ওইসব আকাম-কুকাম ঘটায়! তাই খুব সাবধানে স্বপ্ন দেখি। মা বলতেন, ‘ঘুমের ঘোরে কখনো খাবার খাবি না। ঘুমের ঘোরে খাবার খেলে পেটখারাপ হবার সম্ভবনা থাকে।’ তাই আমি ঘুমের ঘোরে কখনো কোনও রাজপ্রাসাদে যেতাম না। কারণ সেসব রাজপ্রাসাদে অনেকরকমের দামী-দামী খাবার থাকে। যদি লোভে পড়ে খেয়ে ফেলি! তাহলে তো আমার পেটের পীড়া নিয়ে ভুগতে হবে। তাই আমি ওইস নামি-দামি রাজ-রাজাদের প্রসাদে না গিয়ে থেকে যেতাম গরিবের ভাঙা ঘরে। নহয় বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে থাকা কোনও বস্তিতে। বস্তিঘরে কোরমা, পোলাও, চিকেন বিরিয়ানি থাকে না। বস্তি ঘরে থাকে পান্তাভাত। ভূলবশত জল ঢালা পান্তাভাত খেয়ে ফেললেও, অন্তত পেটখারাপ হবে না। গরিবের পান্তা ভাতে ভিটামিন আছে। শান্তা ভাতে পেটখারাপ হবার কোনও লক্ষ্মণ দেখা দিবে না।
আবার আমি স্বপ্নে কখনোই প্যারিস, লন্ডন, আমেরিকার শিকাগো শহরেও যাই না, যাইওনি। কারণ আমি গরিব মানুষ! লেখাপড়া কম জানেওয়ালা একজন অধম মানুষ! লন্ডন, আমেরিকা, ফ্রান্স, প্যারিসের ইংরেজি ভাষা আমি জানি না, বলতেও পারি না। ভাষা না জানলে, আর না বুঝলে যে বিপদে পড়তে হয়, সেটা আমার খুব ভালো জানা আছে। তাই আর ঘুমের ঘোরে স্বপ্নেও ওইসব ইংরেজি ভাষাভাষীদের দেশে আমি যেতাম না। আমি বাঙালি। বাংলা আমার মায়ের ভাষা, মাতৃভাষা। তাই আমি স্বপ্নের মাঝে থেকে যেতাম, আমাদের নারায়ণগঞ্জ শহরের চাঁনমারি বস্তি কিম্বা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে যত্রতত্র ফেলে রাখা দুর্গন্ধময় বর্জ্যের পাশে থাকা বস্তি ঘরে।
ঘুমের ঘোরে কখনো বিমানে চড়িনি, দমবন্ধ হয়ে যাবে বলে। আমার ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে চড়া হতো আগেকার সময়ের গরুগাড়ি, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি, আর গরিবের ভাঙাচুরা রিকশায়, নাহয় নারায়ণগঞ্জ টু সদরঘাট মুড়িরটিন বাসে। ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে সাবমেরিন চড়ে মহাসাগরের তলদেশে যাইনি কখনো, নিরুদ্দেশ হয়ে যাবো বলে। যদি সাবমেরিনে চড়ে পানির নিচে গায়েব হয়ে যাই, তাহলে আমার দুখিনী গিন্নী সারাজীবন আমার জন্য কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাবে। তাই অসহায় গিন্নীর কথা চিন্তা করে স্বপ্নে কখনো সাবমেরিনে চড়িনি।
তবে হ্যাঁ, একবার নাসার মহাকাশযান যানে চড়তে চেয়েছিলাম। অত্যাধুনিক রকেটে চড়ে চাঁদের দেশে যেতে চেয়েছিলাম, চাঁদের বুড়ির সাথে দেখা করতে। উদ্দেশ্য ছিলো, চাঁদের বুড়ির যুগযুগ ধরে কাটা সুতাগুলো পাইকারি দরে কেনার। অনেকেই বলতে পারেন, ‘এই সুতা দিয়ে কী হবে?’ কী হবে শুনুন তাহলে–
:আমাদের দেশে এই কাটা সুতার প্রচুর চাহিদা আছে। এদেশের জুট ব্যবসায়ীরা এগুলোকে জুট বলে। এই জুট মেশিনের সাহায্যে আবার তুলা তৈরি হয়। সেই তুলা দিয়ে আবার সুতা তৈরি হয়। আবার লেপ-তোষক তৈরি হয়। আরও নানারকম পদ্ধতিতে নানারকম কাজে ওইসব জুট ব্যবহার করা হয়। গার্মেন্টসের টুকরো কাপড়ের জুট থেকে বড়-বড় কাপরের টুকরা বেছে নিয়ে, ঐগুলা দিয়ে ছোটদের জামা-প্যান্ট-সহ আরও অনেককিছু তৈরি হয়। তাই বর্তমানে আমাদের দেশের অনেক স্থানে এই জুটের জন্য সময়-সময় খুন-খারাবির মতো কাণ্ডও ঘটে যায়। গার্মেন্টসের জুট আর টেক্সটাইল মিলের জুটের জন্য দলা-দলি সৃষ্টি হয়! সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়! মারা-মারির সৃষ্টি হয়!
এসব জুট একসময় গার্মেন্টস টেক্সটাইল মিলের মালিকরা ময়লা আবর্জনার সাথে ফেলে দিতো। সেই ফেলানো ময়লা আবর্জনার জুট এখন লক্ষলক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশের শিল্পনগরী এলাকায় এই জুটের জন্য সিন্ডিকেটেরা বড়-বড় নেতাদের পায়ে-পায়ে ঘুরছে। এসব দেখে মনে মনে ভাবতে থাকি, ইশ! যদি চাঁদের দেশে গিয়ে বুড়ির কাটা সুতাগুলো এদেশে নিয়ে আসতে পারতাম! তাহলে তিনদিকে উপকার হতো, লাভবানও হতো।
প্রথমত: ☛ চাঁদের বুড়ি তো যুগযুগ ধরে দিনের-পর-দিন, রাতের-পর রাত সুতা কেটে বোঝাই করে রাখছে। এতে করে চাঁদের বুকে কাটা সুতা হয়ে যাচ্ছে পাহাড় সমান। এর কারণে দিন-দিন রূপালি চাঁদটা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে। চাঁদের বুড়ির কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে ঐগুলা কিনে আনলে, চাঁদের বুড়িও বেশকিছু টাকা হাতে পাবে। সেইসাথে চাঁদের কিরণ আরও উজ্জ্বল দেখা যাবে এবং চাঁদের ভারসাম্যও কিছুটা রক্ষা হবে।
দ্বিতীয়ত: ☛ চাঁদের বুড়ির কাছ থেকে কাটা সুতাগুলো আমাদের দেশে আনতে পারলে এদেশে জুটের চাহিদা অনেকাংশে মিটে যাবে। জুট নিয়ে খুনা-খুনি, মারা-মারি, দলা-দলি কম হবে। বড়-বড় নেতারাও একটু আরামে ঘুমাতে পারবে। জুট ব্যবসায়ীদেরও ভালো ব্যবসা হবে।
তৃতীয়ত:☛ চাঁদের বুড়ি থেকে নামমাত্র মূল্যে জুটগুলো কিনে এনে আমাদের দেশের জুট ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করলে বেশকিছু টাকা লাভ তো অবশ্যই হবে। সেই টাকা দিয়ে আমার মতো অনেক অভাবী সংসারের অভাব দূর হবে।
এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে একসময় ঘুমের ঘোরে ঠিকই নাসার মহাকাশ যানে চড়ে চলে গেলাম চাঁদের দেশে।
নাসার মহাকাশযান থেকে রোবট সাজে সজ্জিত হয়ে রকেট থেকে নেমে যখন চাঁদের বুড়ির সামনে গেলাম, তখন চাঁদের বুড়ি তেড়ে এসে আমার দুইগালে ঠাস-ঠাস দুটো থাপ্পড় মেরে জিজ্ঞাসা করলো–
:তুই না নেহাৎ গরিব মানুষ? গরিব হয়েও নাসার মহাকাশযান যানে চড়ে পৃথিবী থেকে এখানে আসলি কেন?’
চাঁদের বুড়ির প্রশ্নের জবাবে আমি কান ধরেই বললাম–
:বুড়ি মা, আমিতো আপনার সাথে কথা বলতে এসেছি। আগে আপনার পা ছুঁয়ে নমস্কার করে নিই, তারপর নাহয় এখানে আসার উদ্দেশ্যটা বলি!’
আমার কথা শুনে চাঁদের বুড়ি বললো–
:নমস্কার লাগবে না। তুই আমাকে ছুঁতেও পারবি না। তোর সাথে করোনাভাইরাস আছে। তুই আমাকে ছুঁলে আমিও আক্রান্ত হয়ে পড়বো। তাই যা বলার দূরে থেকেই বল! বল উদ্দেশ্যটা কী?
আমি কাঁপতে কাঁপতে বললাম–
:বুড়ি মা, আপনার কাটা সুতাগুলো পাইকারি দরে কিনতে এসেছিলাম। আমি ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি আপনার সূতো কাটার কৃতিত্বের কথা। তাই ভাবলাম! আপনার কাটা সুতাগুলো পৃথিবীতে নিয়ে আমাদের দেশের জুট ব্যবসায়ীদের কাছে কম দামে বিক্রি করে দিবো। এতো আমাদের দেশের জুট ব্যবসায়ীদেরও জুটের চাহিদা মিটবে, আর আমার সংসারে লেগে থাকা অভাবও দূর হবে।
এই কথা বলার পরই চাঁদের বুড়ি আমাকে আরেকটা জোরে থাপ্পড় দিয়ে আমার এক কানের কানের পর্দা ফাটিয়ে দিলো। তারপর বললো–
:তুই কি বোকা? এখানে কি কোনও সুতা তৈরির ফ্যাক্টরি আছে? আমার কি খেয়ে-দেয়ে আর কাজ নেই? আমি কি বসে বসে শুধু সুতাই কাটবো?
আমি বললাম–
:তাহলে বুড়ি মা, আমি যে ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি, আপনি একটা বটগাছের নিচে বসে বসে যুগযুগ ধরে শুধু সুতাই কাটছেন! তাহলে আমি কি ভুল শুনেছি?
আমার কথা শেষ হতে-না-হতে আমাকে আরেকটা থাপ্পড় মারতে চাইলো। তা দেখে আমি একটু সরে দাঁড়ালাম। থাপ্পড় আর আমার গালে লাগলো না। দ্বিতীয় থাপ্পড় থেকে রক্ষা পেলাম। তারপর চাঁদের বুড়ি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বললো–
:আমি এখানে আছি চাঁদকে দেখে রাখার জন্য। যাতে রাহু চাঁদকে গিলতে না পারে। আমি হলাম মা বুড়ি। চাঁদকে পাহারা দিয়ে রাখি। তুই যা এখান থেকে!
এই বলেই আমাকে একটা ধাক্কা দিয়ে চাঁদ থেকে নিচে ফেলে দিলো। আমি সেদিন বায়ুমন্ডলে ঘুরতে ঘুরতে খুব কষ্টে বআসায় পৌঁছেছিলাম। কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম একটুও টের পেলাম না। সকাল ১০টায় গিন্নীর পাগলা ঘণ্টার আওয়াজে ঘুম থেকে ওঠে নিজে নিজেই বলতে লাগলাম, আমি বাসায় এলাম কী করে? এই ভাবেই একা একাই হাসতে থাকি। মনে মনে বলি, ‘এ আমি কী দেখলাম! সত্যি কি স্বপ্ন দেখলাম?’
loading...
loading...
স্বপ্ন ছাড়া মানুষ বাঁচে না
loading...
ঠিকই বলেছেন দাদা। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় দাদা।
loading...
সহজ এবং সরলে শৈশব স্বপ্ন থেকে অতি বাস্তবতায় নিজেকে এঁকেছেন অসাধারণ বুদ্ধিমত্তায়। আপনার লিখনীতে জাদু আছে, যেটা বরাবরই থাকে। যাপিত জীবনের গল্প বা বাস্তবতাকে এতো কাছে থেকে আপনার মতো লিখতে পারেন, এমন মানুষ আমি কম দেখেছি। অনেক অনেক ভালো থাকুন আর ঈশ্বর আপনাতে সদয় থাকুন এই প্রত্যাশা রাখি। ধন্যবাদ।
loading...
না, শ্রদ্ধেয় দাদা। তা আর এমন পারছি কোথায়। যতটুকু লিখছি, আপনাদের ভালোবাসা থেকেই লিখছি। লেখা শব্দনীড় ব্লগে বিশেষ নির্বাচিত করায় শব্দনীড় ব্লগ টিমের কাছে কৃতজ্ঞ থেকে আপনাকে জানাচ্ছি অশেষ ধন্যবাদ। আশা করি ভালো থাকবেন।
loading...
স্বপ্ন ত এক মধুময় রাতেও দেখা যায় দিনও ঘুম পেরে অথবা হেঁটে হেঁটে
অনেক সুন্দর লেখেছেন কবি নিতাই দা
loading...
হ্যাঁ, দাদা। স্বপ্ন ছাড়া মানুষ নেই। আমিও দেখি! তবে মাত্রাতিরিক্ত নয়। সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।
loading...
আসলেই আমরা স্বপ্নে বাঁচি এবং মানুষ হিসেবে এটা আমাদের আকাঙ্খার প্রদীপ।
loading...