‘ভগবান ভগবান কইরা হারাদিন পার কইরা দিবা, একখান জপের মালা আতে লইয়া জপ করতে থাকবা। কাম কাইজ করবানা তা আর অইবো না। আমি আর পারতাম না। আমার জানে আর কুলায় না। তুমি বরং তোমার গাট্টি বোস্কা লইয়া ভগবানের বাইত যাওগা।’
কথাগুলো বলছিল এক অভাগী বামনী। যিনি সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি পরের বাড়ি ঝিয়ের কাজ করে অলস আধপাগল স্বামী বামনার জন্য প্রতিদিন খাবার নিয়ে আসে, তিনি। বামনা কোনও কাজকর্ম করে না। সারাদিন একটা তুলসীর মালা কাপড়ের থলেতে ভরে ভগবান ভগবান জপতে থাকে।
বামনি যদি বলে, ‘আমি আর পারি না। মাইনষের বাইত চাকরগিরি কইরা তোমারে আর খাওয়াতে পারুম না। তুমি বাবা কাম কাইজ কিছু একখান করো! আর নয়লে বাড়ি ছাইড়া যাওগা!’
তখন প্রত্যুত্তরে বামনা বলে, ‘যার যার ভাগ্যে হেয় হেয় খায়। কেয় কারোরে খায়াতে পারে না। আমি আমার ভাগ্যেরডা খাই।’
তখনই লেগে যায় বামনা বামনীর সংসারের হট্টগোল গণ্ডগোল শোরগোল সহ মারপিটও।
একদিন বামনী ঠাণ্ডা মাথায় বামনাকে বললো, ‘হুনো গো বামনা, তোমারে আমি বারে বারে কইতাছি, কাম কাইজ করো। আর না অয় ভগবানের বাইত যাও! তুমি আমার কথা হুনতাছ না। তোমার মতন বেডা ঘরে থাকতে আমি মাইনষের বাইত কাম করতে যামু ক্যা, কও?’
বামনা বললো, ‘আইচ্ছা বামনী আইজগার দিনডা যাক, কাইলকা তুই আমারে দুইডা আডা রুডি বানাইয়া দিছ। আমি আডা রুডি দুইডা লইয়া ভগবানের বাড়ি বিছরাইতে যামু। বিছরাইতে বিছরাইতে যদি পাইয়া যাইগা, তাইলে আমি ভগবানের বাইতই থাইক্কা যামুগা।’
বামনী মাথা নেড়ে বললো, ‘আইচ্ছা, ঠিক আছে।’ বামনী মনে মনে ভাবলো, কোনরকম আপদ দূর হোক। ক’দিন পথেঘাটে থেকে একটু তেল কমুক!
যেই কথা সেই কাজ। পরদিন খুব সকালবেলা বামনী রওনা হলো, যেই বাড়িতে বামনী ঝিয়ের কাজ করে। ও-ই বাড়িতে গিয়ে পোয়া খানেক আটা চেয়ে এনে চারটি রুটি ভেজে বামনাকে দু’টি রুটি দিয়ে বললো, ‘এই নেও দুইডা আডা রুডি। তাড়াতাড়ি কইরা গাট্টির ভিতরে ভইরা ভগবানগো বাইত যাও!’
বামনা আটা রুটি দুইটা তাঁর ঝোলার ভেতরে ভরে বাড়ি থেকে রওনা হলো, ভগবানের বাড়ি খুঁজতে।
রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, আর মানুষকে জিজ্ঞেস করছে, ‘দাদাভাই, ভগবানের বাইত যামু ক্যামনে? দাদা, আম্নে ভগবানের বাড়ি চিনেন? চিনলে আমারে ভগবানগো বাড়ির পথখান দেখাইয়া দেন।’
লোকে বলে, ‘পাগলের কথা হুনছ? আরে এই বেডায় কয় কী? ভগবানের আবার ঘর-দুয়ার আছেনি রে? হালায় বেকুব জানি কোনানখার? যা যা,হালার পো! যেনতে আইছস হেনো যা!’
মানুষের কথা শুনে বামনা বলে, ‘সব হালায় পাগল অইয়া গেছেগা। পাগল যদি না-ই অইতো, তয়লে এই কথা কয় ক্যা? আরে ভগবানের বাড়িই যদি না থায়ে, তয়লে ভগবান থায়ে কই? খায় কী? ঘুমায় কই? স্নান ধুতি-ই-বা করে ক্যামনে? হালার যতসব পাগলের দল।’
এই বলেই বামনা আবার হাঁটতে থাকে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাঁতে হাঁটতে বিকাল হতে লাগলো, তবু বামনা থামছে না। সাথে আনা আটা রুটি দুটিও খাচ্ছে না। যদি ভগবানকে পেয়ে যায়, তাহলে সাথে আনা আটা রুটি দুটো ভাগবানকে দিবে। এই আশায় আর আটা রুটি দুটি বামনা খাচ্ছে না। পেটে ক্ষুধা, তারপরও বামনা ছাঁটছে, আর মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করছে, ‘ভাই ভগবানের বাড়ি চিনেন নি?’
এভাবে চলতে পথে এক চালাক লোককে জিজ্ঞেস করলো। লোকটি চিন্তায় পড়ে গেল। অনেকক্ষণ চুপ থেকে বললো, ‘হ ভাই চিনি!’ হ ভাই চিনি বলতে দেরি, বামনা লোকটির পায়ে লুটিয়ে পড়তে দেরি করলো না।
লোকটির পায়ে ধরে বলতে লাগলো, ‘ভাই, ‘আম্নে আমার ধর্মের ভাই লাগেন। কন ভাই কন, ভগবানের বাড়ি কোনদিকে। হালার ভগবান গরিবরে বাদশা বানায়। বাদশারে গরিব বানায়। আমি যে হেরে দিন রাইত ডাহি, হেয় আমারে চোক্ষে দেহে না। ভগবানরে পাইলে জিগামু এডার ঘটনা কী?’
বামনার কথা শুনে লোকটা বুঝতে পেরেছে, আগত লোকটি ভগবানের পাগল। তখন লোকটা আঙুল উঁচিয়ে একটা বাড়ি দেখিয়ে দিয়ে বললো, ‘ঐ বাড়িটাই ভগবানের বাড়ি। আসলেও ঐ বাড়িটা ভগবানদেরই বাড়ি। ব্যাপারটা হলো, ঐ বাড়ির গৃহস্থের কোনও সন্তানাদি হতো না। ভগবানকে ডাকতে ডাকতে ১০/১২ বছর পর একটা ছেলে সন্তান হয়। তখন সবাই আদর করে সেই ছেলেটির নাম রাখে ভগবান। যেহেতু ভগবানকে ডাকতে ডাকতে ভগবান গৃহস্থের মুখপানে চেয়ে এই সন্তানটিকে দিয়েছিল, তাই গৃহস্থের আত্মীয় স্বজনরা ছেলেটার নাম রাখে ভগবান। এই ভগবানদের বাড়িই পথের চালাক লোকটি বামনাকে দেখিয়ে দিয়ে নিজের গন্তব্যে চলে গেলো। লোকটি ভাবলো, কোনরকম পাগল বিদায় করাই হলো কথা।
কিন্তু বামনা আর কোনরকম বিশ্বাস করেনি, বামনা লোকটির কথা পুরোপুরি বিশ্বাস করে ভগবানদের বাড়ির দিকে রওনা হলো। তখন ছোট লেঙটা শিশু ভগবান বাড়ির সামনে খোলা জায়গায় তাঁর কমবয়সীদের সাথে খেলছিল। বামনা হাঁটতে হাঁটতে ছোট ছেলেদের খেলার সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো, ‘ভগবানগো বাড়ি কোনডা?’ তখন ভগবানের সাথের ছেলেরা ভগবানকে দেখিয়ে দিয়ে বললো, ‘এইডাই ত ভগবান। আর ঐ-ডা ভগবানগো বাড়ি।’
এইডা ভগবান বলতে দেরি, আর ঝাপটে ধরতে দেরি হলো না। ভগবানকে ধরেই বামনা বলতে লাগলো, ‘পাইছি হালার ভগবান তোমারে। তোমারে আর ছাড়ুম না। তোমার এই কাম? গরিবরে রাজা বানাও, রাজারে ফকির বানাও। আমারে তুমি কিছুই করো না। আমি দিন রাইত তোমার নাম লইতে লইতে মরি। অহনে তোমারে আর ছাড়ুম না।’
ছোট লেঙটা শিশু ভগবান তো হাউমাউ করে চিৎকার শুরু করে দিলো। সাথে লেঙটা সমবয়সী বন্ধুরা দৌড়ে ভগবানের মায়ের কাছে গিয়ে বললো, ‘মাসিমা মাসিমা, আম্নেগো ভগবানেরে এক পাগলে ধরছে। তাড়াতাড়ি কইরা যাইয়া ভগবানরে ছুডান।’
এই কথা শুনেই ভগবানের মা দৌড়ে বামনার সামনে এসে বললো, ‘ও-ই বেডা, আমার ভগবানরে ছাড়! ছাড় কইতাছি।’
বামনা জিজ্ঞেস করলো, ‘আম্নে কেডা? আমি এত বছর পরে ভগবানরে পাইছি, আর আম্নে কইতাছেন ভগবানরে ছাইড়া দিতে! আম্নে কেডায় গো?’
ভগবানের মা বললো, ‘ও-ই বেডা, আমি ভগবানের মা। ছাড় আমার ভগবানরে, ছাড় কইতাছি!’
এবার বামনা ভগবানকে ছেড়ে দিয়ে ভগবানের মায়ের পায়ে জড়িয়ে ধরে বললো, ‘এ-ই ত এইবার পাইছি! হালার ভগবানরে পাই না পাই না, অহনে ভগবানের মারে বেরাইয়া পাইয়া গেছিগা। ও-ই বেডি, ভগবানের মা! তোমার পোলার এই কাম ক্যা? রাজারে ফকির করে, ফকিরারে রাজা বানায়। আমারে কিছু করে না। আমি হালায় দিন রাইত তোমার পোলার নাম লইতে লইতে মরতাছি। আমারে তোমার ভগবান কিছু করে না ক্যা? আমি অহনে তোমারে ছাড়তাম না গো ভগবানের মা, ছাড়তাম না!’
এই খবর পৌঁছে গেল ভগবানের বাবার কাছে। ভগবানের বাবা তখন বাড়ির পাশে থাকা এক জমিতে বীজ রোপণ করছিল। খবর পেয়ে ভগবানের বাবা দৌড়ে চলে আসলেন। এসে দেখে এক আধপাগল ভগবানের মায়ের পা জড়িয়ে ধরে বসে আছে।
তা দেখে ভগবানের বাবা বামনাকে বললো, ‘ও-ই বেডা হালা, তুই বেডা আমার বউয়েরে জাবরাইয়া ধরছত ক্যা? ছাড় কইতাছি, ছাড়!
বামনা বললো, তুমি কেডা হে? আমি আমার ভগবানের মারে ধরছি তো তোমার মাথা ঘুরাইতাছে ক্যা? যাও, যাও এনতে! মা পুতেরে একলগে বহুতদিন পরে পাইছি। আর ছাড়তাম না। হালার ভগবান। ফকিররে রাজা করে রাজারে ফকির করে। আমারে কিচ্ছু করে না। আইজগা ভগবানের মারে আমি বান্দায় ছাড়তাম না।’
এরপরেও ভগবানের বাবা বামনার হাত ধরে জোরাজোরি করে বলছে, ‘ছাড় বেডা, আমার বউরে ছাইড়া দে কইতাছি!’
বামনা জিজ্ঞেস বলছে, ‘ছাড়ুম না ভগবানের মা’রে! তুমি কেডা কও দেহি?’
ভগবানের বাবা বললো, ‘আমি ভগবানের বাবা। ছাড় কইতাছি, ছাড়!’
এই কথা শোনার পর বামনা ভগবানের মা’কে ছেড়ে ভগবানের বাবার পায়ে ধরে বললো, ‘পাইছি এইবার ভগবানের চোদ্দগুষ্টি। তোমার ভগবানের গুষ্টি কিলাই। তোমার ভগবানের এমুন আকাম ক্যা? হেয় আমার খবর লয় না ক্যা? হেয় রাজারে ফকির করে, ফকিররে রাজা করে। আর আমি হালায় হের নাম লইতে লইতে জান শেষ কইরা হালাইতাছি। আমারে হেয় কিছু করে না। আজইগা তোমাগো একটারেও আমি ছাড়তাম না।’
বামনার এমন কথা শুনে ভগবানের বাবা চিন্তায় পড়ে গেল। ভাবতে লাগলো। কী করা যায়, কীভাবে এই আপদ দূর করা যায়। এই ভেবে ভগবানের বাবা বুদ্ধি করে বললো, ‘আইচ্ছা, অইছে। তোমার হগল কথা ভগবান বাড়িত যাইয়া হুনবো। তুমি আমাগো লগে ভগবানের বাইত লও! হের পর ভগবান তোমার একখান ব্যবস্থা করবো। তুমি অহন ভগবানের মা’রে ছাইড়া দেও!’
ভগবানের বাবার কথা শুনে বামনা বললো, ‘ঠিক ত? কথা কামে মিল থাকবো ত? নইলে কইলাম আবার যমের মতন ধরুম!’
এই বলেই বামনা ভগবানের বাবাকে ছেড়ে দিলো। এরপর ভগবানের মা-বাবা স্ব-সম্মানে আধপাগল বামনাকে সাথে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলো।
বামনাকে ভগবানের মা-বাবা সাথে করে ভগবানের বাড়ি নিয়ে ঘরের বারান্দায় একটা জলচকিতে বসতে দিলেন। বামনা মনে আনন্দ নিয়ে বসলেন। ভগবানের মা ঘর থেকে একটা নতুন গামছা আর এক ঘটি জল সামনে এনে দিয়ে বললো, ‘আম্নের ঝুলিডা এনো রাইখা, উডানের কিনার তুনে আত মুখ ধুইয়া আহেন।’
বামনা একটু রাগ হয়ে বললো, ‘আবার মুখ ধুইয়া কী অইবো? আম্নেগো ভগবান কই? হেয় আমারে কী করবো করোক। তাত্তাড়ি করতে কন। আর এই লন, আমি বাইত তুনে আহনের সুম ভগবানের লাইগা দুইডা আডা রুডি লগে কইরা লইয়া আইছি। রুডি দুইডা আম্নের ভগবানরে দিয়েন। কই কই আম্নের ভগবান? আমার সামনে আইতো কন। আমার আতে সময় নাইক্কা। হেই সকাল তুনে আম্নের ভগবানে বিছরাইতে বাইর অইছি। পেডে ক্ষুধাও লাগছে। অন আর ভালা লাগতাছে না।’
বামনার কথা শুনে ভগবানের মা বুঝতে পেরেছে এটা সত্যিকারের ভগবান পাগল। এই পাগল যেই সেইভাবে বিদায় করা যাবে না। এই ভগবান পাগলকে বিদায় করতে হলে একটু ভেবেচিন্তে বিদায় দিতে হবে। নাহয় স্বয়ং ভগবানই আমাদের উপর বেরাজ হবে। এতে আমাদের পাপই হবে।
এই ভেবে ভগবানের মা হাসতে হাসতে বামনার দেওয়া আটা রুটি দুটো হাতে নিয়ে বললো, ‘আইচ্ছা, ভগবান অহনে খেলতে গেছে। খেইল্লা খুইল্লা আইলে আম্নের রুডি দুইডা ভগবানরে দিমু। আম্নে অহনে আতমুখ ধুইয়া আগে ভগবানের বাইত কিছু সেবা কইরা লন। হের পরে দেহেন ভগবান আম্নেরে কী দেয়! যান যান, আতমুখ ধুইয়া আহেন গা।’
ভগবান খেলতে গেছে, এই কথা শুনে বামনা জিজ্ঞেস করলো, ‘আম্নের ভগবান আবার খেলতে গেছে? তয়লে এই দুইন্নার মাইনষেরে অহনে দেখবো কেডা?’
বামনার কথা শুনে ভগবানের অবাক হয়ে বললো, ‘ভগবানের দুনিয়া দেহনের লোক কি কম আছে? হেই চিন্তা আম্নের করন লাগত না। আম্নে অহনে তাত্তাড়ি কইরা আতমুখ ধুইয়া আহেন।’
বামনা খুশি হয়ে উঠানের একপাশে হাতমুখ ধুইতে গেলো। হাতমুখ ধুইয়ে ভগবানের ঘরের বারান্দায় জলচকিতে বসলো।
চলবে…
loading...
loading...
আবার যেন মুগ্ধতার পিঁড়িতে বসিয়ে দিলেন মি. নিতাই বাবু। বামন বামনী দুটি নামের সাথে পরিচয় হলেও এই গল্পের স্বাদ মনে হচ্ছে অনেকটা রিয়েলিষ্টিক হবে। অপেক্ষা।
loading...
আশা করি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থাকবেন, শ্রদ্ধেয় দাদা।
loading...
হাতমুখ ধুইয়ে ভগবানের ঘরের বারান্দায় জলচকিতে বসলো। ঠিক আছে। দেখি ভগবানের ঘরে গল্প নায়কের কি অবস্থা হয়।
loading...
নায়ক তো নায়কই হবে দিদি। দেখা যাক, কী হয় আর কী করে ভগবান? আশা করি সাথে থাকবেন শ্রদ্ধেয় কবি সুমন দাদা।
loading...
আপনার অন্যান্য গল্পে শিরোনামের ঈঙ্গিতে কিছু একটা অনুমান করে নেয়া যেতো। কিন্তু এই গল্প পড়লাম ঠিকই, তবে ভগবান প্রাপ্তির উদ্দেশ্য বা লোভ এর অংশটি কোথায় সেটা কিন্তু অনুমান করা সুযোগ পেলাম না। সুন্দর ধাবাবাহিক হবে নিশ্চই।
loading...
শ্রদ্ধেয় কনি সাজিয়া দিদি, দেখা যাক গল্পের শেষতক কী হয় আর কিসের লোভ। আশা করি সাথে থাকবেন শ্রদ্ধেয় কবি দিদি।
loading...
* বিধাতা তাকে সাহায্য করেন, যে নিজে ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে।
অনেক সুন্দর একটি লেখা…
loading...
আসলেও ঠিক তা-ই শ্রদ্ধেয় কবি দাদা। গল্পটাও কিন্তু এরকমই হতে যাচ্ছে। আশা করি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থাকবেন।
loading...
‘ভগবান ভগবান কইরা হারাদিন পার কইরা দিবা, একখান জপের মালা আতে লইয়া জপ করতে থাকবা। কাম কাইজ করবানা তা আর অইবো না। তোমার গাট্টি বোস্কা লইয়া ভগবানের বাইত যাওগা।’
loading...
বামনা কিন্তু ঠিকই ভগবানের বাড়িতে গিয়েছে, দাদা। এখন ভগবানকে সন্তুষ্ট করতে পারলেই হলো। আশা করি গল্পের শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন।
loading...
এই গল্টটিও পাঠক প্রিয় হবে। অভিনন্দন প্রিয় কবি দাদা।
loading...
দেখা যাক শ্রদ্ধেয় কবি রিয়া দিদি। আশা করি গল্পের শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন।
loading...
শুরুটা ভালো লাগলো শেষ অবধি কি জোটে তার অপেক্ষা
loading...
চিন্তায় আছি শ্রদ্ধেয় কবি দিদি। তো গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থাকলে চিন্তাটা দূর হবে বলে মনে করি।
loading...
গতকাল পড়েছিলাম। কথা বলা হয়নি। আজকে বললাম, দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় আছি।
loading...
আশা করি আজ রাতের মধ্যেই ব্লগে প্রকাশ করবো, শ্রদ্ধেয় কবি দাদা। আশা করি গল্পের শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন।
loading...
অজানা এক আকর্ষণ খুঁজে পাই আপনার গল্পে। চলুক।
loading...
আশা করি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থাকবেন শ্রদ্ধেয় কবি দিদি।
loading...