আগে শোনা যেত ঝড়-বৃষ্টি, তুফান, জলোচ্ছ্বাস নাকি মহান সৃষ্টিকর্তার আলামত। বজ্রপাতে মানুষ মারা গেলে লোকে বলতো, “অতি পাপে মাথায় ঠাডা পড়ছে।” কেউ কারোর অনিষ্ট করলে অভিশাপ দিতো, “ভগবান ঠাডা ফালাইবো।” ভূমিকম্প হলে বুড়ো- বুড়িদের বলতে শুনেছি, “পাপে বসুমতী অসহ্য হয়ে কাঁপতে শুরু করেছে।” এসব কথাগুলো আগেকার দিনে সবাই বিশ্বাস করলেও, এখনকার দিনে কেউ বিশ্বাস করতে চায় না। কারণ, কলিযুগে সবাই নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই কে শুনে কার কথা। কথায় আছে, “চোরে শুনে না ধর্মের কাহিনী।” ধর্মের বিধান না মানার কারণেই, আমরা দিন দিন পাপে জর্জরিত হয়ে পড়ছি।
তাই দেশের জাগায় জাগায় মারা-মারি, দলা-দলি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা চলছেই। চলছে ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াই। ক্ষমতার অপব্যবহার। জোর জুলুম। সুদ খাচ্ছে। সুদের টাকা দিয়ে হজ্ব করছে। ঘুষ খাচ্ছে। ঘুষের টাকা খরচ করে গয়া কাশি বৃন্দাবন যাচ্ছে। দুর্নীতি রাষ্ট্রে। দুর্নীতি ঘরে ঘরে। অবৈধভাবে কামাচ্ছে টাকা। কালো টাকা দিয়ে তৈরি করছে সাদা পাহাড়। বিনা বিচারে মারছে মানুষ। যেখানে ধর্মীয় শিক্ষার প্রতিযোগিতা চলার কথা, সেখানে চলছে বলাৎকার ধর্ষণের প্রতিযোগিতা। দেশের আনাচে-কোনাচে মাদকের ছড়াছড়ি। যারা মাদক নির্মূলের শ্লোগান দেয়, তাঁরাই মাদক ব্যবসায়ী। ধর্মীয় শিক্ষকগণ আজ পায়ুপথের পথচারী।
আবার যারা শিক্ষাগুরু তাঁরাই তাদের ছাত্র- ছাত্রীদের দেখছে কুনজরে। গুজব ছড়িয়ে নিরীহ মানুষ পিটিয়ে করছে হত্যা। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা শিশু খাদ্যে ভেজাল করে কামাচ্ছে টাকা। ফলে মিশিয়ে দিচ্ছে ফরমালিন নামের বিষ। মাছে মিশিয়ে দিচ্ছে ফরমালিন। পরকীয়ায় মাতাল হয়ে স্বামী খুন করছে স্ত্রীকে। স্ত্রী খুন করছে স্বামীকে। এসব জঘন্য পাপ মহান সৃষ্টিকর্তা সহ্য করতে না পেরে নতুন করে এক ধরনের মশা সৃষ্টি করে আমাদের দেশে পাঠিয়েছে। উদ্দেশ্য আমাদের মতো জঘন্য পাপিষ্ঠদের খতম করা। এই মশার বর্তমান বিজ্ঞানী নাম ডেঙ্গু মশা।
একসময় মহান সৃষ্টিকর্তা অত্যাচারী খোদাদ্রোহী নমরুদকে খতম করার জন্য এই মশা সৃষ্টি করেছিলেন। খোদাদ্রোহী নমরুদ এতোটাই পাপ করেছিল যে, মহান সৃষ্টিকর্তা আর সহ্য করতে পারেনি। শেষমেশ এই মাশা দিয়েই খোদাদ্রোহী নমরুদকে শেষ করে ছিলেন। এতেই বোঝা যায়, আমরাও আজ খোদাদ্রোহী হয়ে গেছি।
যার কারণে বাংলার ঘরে ঘরে ডেঙ্গু মশার আক্রমণ। ডেঙ্গু মশা কামড় দিলেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। এরপর ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা। বিজ্ঞ ডাক্তারদের চিকিৎসায় কেউ বেঁচে যাচ্ছে, কেউ মরছে। কেউ আবার ডেঙ্গু আতঙ্কেও ভুগছে। সামান্য জ্বর হলেও মনে করে থাকে ডেঙ্গু জ্বর। আসলে কিন্তু তা নয়। মৌসুমী রোগব্যাধি একটু-আধটু হতেই পারে। এতে আতঙ্কিত না হয়ে, আমাদের উচিৎ হবে মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে কান্না-কাটি করা। পাপের ক্ষমা চাওয়া। পাপের কাজ থেকে বিরত থাকা। অতঃপর ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা।
loading...
loading...
অসাধারণ একটি পোস্ট। আপনার সুক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের প্রশংসা করতেই হয়। যুগে যুগে মহান সৃষ্টিকর্তার গজব নাজিল হয়েছে তৎকালীন পাপিষ্ঠ সম্প্রদায়ের উপর, ধ্বংস হয়েছে বিভিন্ন জাতি ও গোত্র। আমাদের উপর তারই নমুনাস্বরূপ এডিসের তান্ডব । একটা ক্ষুদ্র মশার কাছে পরাজিত গোটা জাতি ।
loading...
ডেঙ্গু মশা হোক, আর সাধারণ মশাই হোক; কেউ কি একটা জীবিত মশা ধরে দেখাতে পারবে? পারবে না বলে মনে হয়। মশা থেকে ম্যালেরিয়া জ্বর হতে পারে। হয়েছেও আগে। এই ডেঙ্গু এই যুগের বিজ্ঞানীদের আবিস্কার। আবিস্কার মানে হছে আতঙ্ক। সেই আতঙ্কে এখন গোটা জাতি আতঙ্কিত। এতে অসাধু ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে মানুষের কষ্টার্জিত টাকা।
loading...
মৌসুমী রোগব্যাধি একটু-আধটু হতেই পারে। এতে আতঙ্কিত না হয়ে, আমাদের উচিৎ হবে ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা।
loading...
ডেঙ্গু, বর্তমান স্পময়ের এক আতঙ্কের নাম। যা সাধারণ মশাকে বানিছে ডেঙ্গু। চ্যালেঞ্জ করতে পারি, একটা ডেঙ্গু মশা কোনও বিজ্ঞানী অথবা কোনও ডাক্তার জীবিত ধরে দেখাতে পারবে না। তাই আমি মনে করি ডেঙ্গু মশা বলতে কোনও মশা মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিতে নেই।
loading...
দাদা আপনি যৌক্তিক জিনিসগুলোই তুলে ধরছেন, গত কয়েকটা লেখায়। অনেক অভিনন্দন
অযথাই আতঙ্ক সৃষ্টি করে ব্যবসা করছে। জ্বর হলেও ডেঙ্গু বলে লাখ টাকা বিল করছে। রক্ত পরীক্ষা না করেই বলে দিচ্ছে ডেঙ্গু, কি অরাজক হয়ে গেছে সব। সংঘটিত অপরাধী চক্র। দেশের সব কিছুই এমন হলে সবাই সবার কাছে ঠকবে, হয়রানী হবে, মরবে।
নমরুদের মশা পাঠাক ঈশ্বর এখন। আর কত অরাজক হবে পরিবেশ?
loading...
ডেঙ্গু মশা হোক, আর সাধারণ মশাই হোক; কেউ কি একটা জীবিত মশা ধরে দেখাতে পারবে? পারবে না বলে মনে হয়। মশা থেকে ম্যালেরিয়া জ্বর হতে পারে। হয়েছেও আগে। এই ডেঙ্গু এই যুগের বিজ্ঞানীদের আবিস্কার। আবিস্কার মানে হছে আতঙ্ক। সেই আতঙ্কে এখন গোটা জাতি আতঙ্কিত। এতে অসাধু ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে মানুষের কষ্টার্জিত টাকা। আসলে ডেঙ্গু মশা নামের কোনও মশা আমাদের দেশে নেই।
loading...
ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
loading...
মশার ঔষধ মশারী। এর চাইতে উত্তম আর কোনও ঔষধ নেই। আর ডেঙ্গু মশা নামের এই মশাও মনে হয় আমাদের দেশে নেই। এসব অসাধু ডাক্তারদের তেলেসমাতি।
loading...
আসলে ডেঙ্গু অথবা অন্য যে কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী ।
মৌসুমে যেমন মৌসুমী ফল আসে
তেমনি মৌসুমী সমস্যাও আসে, এজন্য আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা জরুরী।
loading...
আমরা দিন দিন পাপে জর্জরিত হয়ে পড়ছি বিধায়, আমাদের চারদিকে এরকম অবস্থা।
সুন্দর মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।
loading...
খুব গতিশীল অসাধারণ একটা পোষ্ট।
ভাললাগা।
loading...