নুসরাত জাহানের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত!
ফেসবুক মেসেঞ্জারে অনেক বন্ধু মেসেজ দিয়ে ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছে। কেউ আবার এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে সম্মানিত অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দ্দৌলা সাহেবের সমালোচনা করে কিছু লিখতে অনুরোধও করছে। কিন্তু তাতো আমার পক্ষে কিছুতেই সম্ভব নয়! কারণ, আমি হলাম এদেশের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের চোখে একজন হিন্দু, চাড়াল, বিধর্মী। আজ যারা কিছু লিখতে অনুরোধ করছে, এ বিষয়ে কিছু লিখতে গেলে হয়ত তাঁদের গায়েই আগুন লেগে যেতে পারে।
তাই আমি মেসেঞ্জারে সবাইকে জানিয়ে দিচ্ছি যে, এ বিষয়ে আমার কোনও অভিমত নেই দাদা সকল। কারণ, আমি হিন্দু! আজ যদি হিন্দুদের কোনও মন্দিরে, উপসনালয়ে, আশ্রমে এমন ঘটনা ঘটতো, তাহলে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইয়েরা দেশের সমস্ত মন্দির, উপাসনালয়, আশ্রম ভেঙে চুরমার করে ফেলতো। অথচ এমন একটা জঘন্য ঘটনায় দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের প্রতিবাদ একেবারেই নগণ্য।
বর্তমানে এ দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কিছু মাদ্রাসার কিছু সম্মানিত শিক্ষকগণ যেন ভাদ্রমাসের ভাইরাস জনিত কুকুরের মতন আচরণ করছে। এঁরা মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্রদের বলাৎকার সহ যুবতি ছাত্রীদের নানাভাবে যৌন হয়রানিও করে যাচ্ছে। আমরা হিন্দু ধর্মপ্রাণ মানুষ তা শুধু দেখেই যাচ্ছি। কিন্তু প্রতিবাদ করার মতো সাধ্য আমাদের নেই। তবে আমরা এসব জঘন্য অপকর্মকে সবসমই মনে প্রাণে ঘৃণা করে বলতে চাই, নুসরাত জাহান তুমি মরে যাও নি; তুমি মরে গিয়েও বেঁচে থাকবে এ দেশের অগণিত প্রতিবাদী মানুষের অন্তরে। তোমার মৃত্যুতে জেগে উঠুক কোটি কোটি ঘুমন্ত ধর্মপ্রাণ মানুষ। নিপাত যাক ওইসব কুলাঙ্গার! মুক্তি পাক জীবের সেরা মানবের মানবতা!
loading...
loading...
নুসরাত জাহানের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত! দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
loading...
শ্রদ্ধেয় কবি দাদা, এরকম একটা জঘন্য ঘটনার মধ্যেও গত ১১ এপ্রিল আমাদের নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার এক মাদ্রাসা শিক্ষক এক ৮বছর বয়সী ছাত্রকে বলৎকার করেছে। অবশ্য পুলিশ ওই কুলাঙ্গার মাদ্রাসা শিক্ষককে পাকড়াও করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
loading...
কী দুঃখজনক কেবল একটি নয় অসংখ্য ঘটনা।
মুক্তি পাক জীবের সেরা মানবের মানবতা! কিন্তু কবে কতদূর সেই মানবতা?
loading...
মানবতা কতদূর তা জানা নেই, শ্রদ্ধেয় কবি সৌমিত্র দাদা। তবে একটু জানি যে, দুষ্টের কাছে মানবতা সবসময়ই অসহায়। ওদের দুষ্টুমি চলছে তো চলছেই দাদা।
loading...
এমন একটা জঘন্য ঘটনায় দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের প্রতিবাদ একেবারেই নগণ্য।
দুদিন পর নতুন ইস্যূতে সব ভুলে যাবে মানুষ।
loading...
তা-ই-তো দেখতে পাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় সুমন দাদা। অনেক বিজ্ঞ লোক ঐ অপরাধীর পক্ষ নিয়ে মিছিল মিটিংও করছে।
loading...
আজ যদি হিন্দুদের কোনও মন্দিরে, উপসনালয়ে, আশ্রমে এমন ঘটনা ঘটতো, তাহলে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইয়েরা দেশের সমস্ত মন্দির, উপাসনালয়, আশ্রম ভেঙে চুরমার করে ফেলতো।
শুধু বাংলাদেশের কথা বলবো না ভারতেও সেই একই বর্বোরোচিত ঘটনা ঘটতো।
loading...
সত্যি ঘটে যেত শ্রদ্ধেয় রিয়া দিদি। মনে পড়ে বাবরি মসজিদের হাঙ্গামার কথা । সেসময় একরকম অসহায় হয়ে পড়েছিলাম দিদি।
loading...
একজন নুসরাতের মৃত্যু হয়নি তো ,এর সঙ্গে জড়িত বাংলার হাজার নুসরাত,তনুরা ।এদের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে কিছুই হয়না।অথচ কিছুদিন আগে বনানীতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় কোন এক নাইমকে মাথায় তুলে গোটা বিশ্ব নেচেছে ।কি এমন বীরত্বের স্বাক্ষর রেখেছিল সেই নাইম ? মনে হয় এফ আর টাওয়ারের আগুন মুহূর্তের মধ্যে ভ্যানিস করে দিয়েছিল??? ধিক্
বাঙালী ধিক্।
নুসরাতের ধর্ষণকারির ফাঁসি চাই।
নিতাই দাদা আপনাকে ধন্যবাদ।
loading...
ফায়ার সার্ভিসের একটা ফাটা পাইপ জাতা দিয়ে ধরে রাখাটাও কম কিছু নয় দিদি! এ দৃশ্য জনসম্মুখে আসার পর তো সরকারের লজ্জা পাওয়া উচিৎ ছিল। সাথে সাথে ওইসময়ে দায়িত্বে থাকা ফায়ার সার্ভিস প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার ছিল। কিন্ত তা না করে ওই ছেলের মানবতার গুণগান গাইতে শুরু করলো। লজ্জাজনক!
এখন আবার নতুন লজ্জায় পড়লাম দিদি। তা হলো, ওই সম্মানিত কুলাঙ্গার অধক্ষ্য সাহেবের পক্ষ নিয়ে কিছু মানুষ রাস্তায় নেমে চিল্লাচিল্লি করছে। এখানেও লজ্জা!
loading...
নুসরাত জাহানের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত! শুধু শোকাহত নই। ঘৃণা জানাই।
loading...
ঘৃণা জানাবো ক্যামনে দিদি? ওই কুলাঙ্গারের পক্ষ নিয়ে কিছু বিজ্ঞজন রাস্তায় নেমে চিল্লাচিল্লি শুরু করেছে। তা দেখে মনে হয় দুই একদিনের মধ্য অপরাধীর জামিন হয়ে যাবে।
loading...
নুসরাত জাহানের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত শুধু নই স্তম্ভিতও বটে। (দুই দিনের জন্য)
loading...
দুইদিন পর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে দাদা। তা চিরসত্য কথা।
loading...