ফেসবুকে স্বনামধন্য শব্দনীড় বাংলা ব্লগ পেইজ আছে, তা আপনি জানেন কি? আমি জানি এবং নিয়মিত ফলো করে আসছি। আজকে এ নিয়েই কিছু লিখতে চাই! আশা করি সাথে থাকবেন। তার আগে ব্লগ এবং ব্লগিং নিয়ে আমার কিছু নূন্যতম অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি, জেনে নিন!
বর্তমানে মোবাইল ফোন হাতে-হাতে ছড়াছড়ি। ঘরে ঘরে কম্পিউটার, ল্যাপটপ আর ওয়াই ফাই নামের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। একসময় কারোর হাতে মোবাইল ফোন দেখলেই, সামনে গিয়ে উঁকি মেরে দেখতাম। আর ভাবতাম, কী দিয়া যে তৈরি করলো এই মোবাইল! ঈশ! যদি আমি একটা কিনতে পারতাম!
এভাবে ভাবতে ভাবতে ২০০৬ ইংরেজি সালে নোকিয়া ১১১০ মডেলের ৩৬০০ টাকা দিয়ে একটা মোবাইল সেট নিজেই কিনে ফেললাম। সাথে ৫৫০ টাকা দিয়ে একটা বাংলালিঙ্ক সিম কার্ডও কিনে শুরু করলাম, নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকা অপরের সাথে কথা বলা।
এরপর ২০০৭ ইংরেজি সালে নোকিয়া N-73 মডেলের পুরাতন একটা মোবাইল সেট কিনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে থাকি। তখনকার সময়ে নেটওয়ার্কভিত্তিক ইন্টারনেটের সুবিধা ছিল GPRS সার্ভিস। সেসময় নোকিয়া বাটন মোবাইলের সেটিং থেকে কনফিগারেশন সেটিং করে ইন্টারনেট ব্যবহার করতাম। আর অনলাইনে থাকা বিভিন্ন সাইটে প্রবেশ করতাম। এটাই ছিলো আমার নিয়মিত অভ্যাস।
কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহার করার পর মোবাইলটি আর ভালো লাগছিল না। ভালো না লাগার করণ ছিলো শুধু একটাই। তাহলে নোকিয়া N-73 মডেল মোবাইলে বাংলা লেখা যেতো না, আর মোবাইল স্ক্রিনে বাংলা লেখা প্রদর্শিতও হতো না।
এরপর ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে নোকিয়া C-3 দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতাম। তাতেও বাংলা লেখা যেতো না। মনের আক্ষেপ আর আফসোস শুধু থেকেই যেতো। তারপরও বিশ্ববিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলে সার্চ করা ছিল আমার প্রতিদিনের কাজ। সেসব কাজের মধ্যে ছিল বিভিন্ন ব্লগে উঁকি মারা সহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া সহ আরও অনেককিছু। তবে বেশকিছু অনলাইনভিত্তিক দিনলিপি বা ব্লগে সময়টা বেশি ব্যয় করতাম।
একসময় অনলাইনে থাকা একটা স্বনামধন্য ব্লগে লেখকদের লেখা পড়তে খুবই ভালো লাগতো। নিজেরও লিখতে ইচ্ছে করতো। একসময় নোকিয়া বাটন মোবাইল C-3 দিয়ে এক ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করে ফেললাম। কিন্তু নোকিয়া C-3 মোবাইলে তো বাংলা লেখা যায় না। কোনরকমভাবে ইংরেজি বর্ণ দিয়ে স্বল্পসংখ্যক শব্দ দিয়ে একটা লেখা জমা দিলাম। ব্লগে লেখা জমা দিয়ে বেশকিছুদিন আর ব্লগে প্রবেশ করিনি।
এরপর প্রায় দুই তিনমাস পর অনেক কষ্ট করে মনের স্বাদ মেটানোর জন্য সিম্ফনি W-82 মডেল-এর একটা মোবাইল কিনলাম। মোবাইলটা কিনেই, সেইদিনই ব্লগে প্রবেশ করলাম। উদ্দেশ্য হলো, আমার জমা দেওয়া লেখাটার অবস্থা দেখা। দেখি সম্মানিত মডারেটর লেখার শিরোনাম বাংলায় দেওয়ার জন্য বলছে। সিম্ফনি এন্ড্রোয়েড মোবাইলে বাংলা লেখা যেত। লেখার শিরোনাম দিলাম, “আমিও মানুষ”। আবার জমা দিয়ে আর ব্লগে প্রবেশ করি না। প্রায় কয়েকমাস পর ব্লগে প্রবেশ করলাম। দেখি আমার লেখায় কয়েকজন সম্মানিত লেখকদের মূল্যবান মন্তব্য। সেসব মন্তব্যের উত্তর দিতে গেয়েই, আজ অবধি ব্লগ আর ব্লগিংয়ের মাঝেই আটকা পড়ে আছি। ব্লগে লিখছি, পড়ছি, দেখেও যাচ্ছি। অনেক সম্মানিত লেখক-লেখিকাদের সাথে ঘনিষ্ঠতাও গড়েছি। শুরু থেকে এপর্যন্ত ব্লগ, ব্লগিং এবং ব্লগের পোস্টের মন্তব্য বিষয়ে সামান্যতম ধ্যানধারণাও মোটামুটি অর্জন করতে পেরেছি বলেও মনে হয়।
ব্লগ:
আমার জানা মতে ”ব্লগ” শব্দটি ইংরেজী (Blog), এর বাংলা প্রতিশব্দ৷ যা এক ধরনের অনলাইন ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পত্রিকা। ইংরেজি (Blog) শব্দটি আবার (Weblog) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যেটুকু জানা যায়, এই ব্লগের ইতিহাস এবং অনলাইন দিনপত্রী ১৯৯৭ ইংরেজি সাল থেকে শুরু হয়ে অদ্যাবধি চলছে। প্রায় ব্লগই মূলতঃ লেখায় আকিন, কিছু কিছু আছে শিল্প(আর্টব্লগ), ছবি(ফটোব্লগ)। ডিসেম্বর ২০০৭এর হিসাবে, ব্লগ খোঁজারু ইঞ্জিন “টেকনোরাটি” প্রায় এগারো কোটি বার লাখের ও বেশি ব্লগের হদিশ পেয়েছে।
ব্লগার:
যারা আমার আগে থেকে ব্লগে লিখেন, তাঁরা অবশ্যই ব্লগ বিষয়ে আমার চেয়ে ভালোই জানেন। তা আর নতুন করে নতুন কিছু উপস্থাপন করার কোনও দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। তবে আমরা যারা ব্লগে লেখালেখি করছি, সবাই জানি যিনি ব্লগে লিখেন; তাকে “ব্লগার” বলে। তবে সহ ব্লগারগণ একে অপরকে লেখক লেখিকা বলেই বেশি সম্বোধন করে থাকে। যেহেতু একই প্লাটফরমে একে অপরের সাথে লেখা শেয়ায় করছে, তাই। তারপর পছন্দ অপছন্দের মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে যার যার মনের ভাব জানান দিচ্ছে। এতে করে একে অপরের সাথে খুব অল্পদিনে মধ্যেই সুসম্পর্কও গড়ে উঠছে।
ব্লগিং:
যিনি ব্লগে পোষ্ট করেন তাকে ব্লগার বলে। পোস্ট করা বা ব্লগে লেখালেখি করা হচ্ছে “ব্লগিং”।
মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া:
ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের পছন্দের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট যুক্ত করেন। আর পাঠক সেখানে লেখার উপর ভিত্তি করে তাদের মন্তব্য করতে পারেন৷ মন্তব্য দানকারী পাঠককে অবশ্যই ব্লগের নিবন্ধিত পাঠক হতে হবে। মানে হচ্ছে, একজন ব্লগারের লেখনীয় পোস্টে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার আগে তাকে সেই ব্লগে লগইন করতে হবে। নিবন্ধিত সদস্য ছাড়া কিছুতেই মন্তব্য করতে পারবে না। ব্লগের পোস্টে আর ব্লগার অথবা লেখক-লেখিকার লেখায় মন্তব্য হলো একরকম চুম্বকের আকর্ষণের মতন। চুম্বক যেমন লোহাকে কাছে টানে, তেমনিভাবে মন্তব্যকারীকে পোস্টদাতা বা লেখক-লেখিকা ভালোবেসে ফেলে। তারপর একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠ ভাব গড়ে উঠে।
ব্লগ পোস্ট:
সাম্প্রতিক কালে অনলাইনে থাকা বেশিরভাগ ব্লগ সাংবাদিকতার একটা মাধ্যম হয়ে উঠেছে। একজন দায়িত্বশীল ব্লগার নিজের এলাকার সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ নিয়ে এক বা একাধিক লেখা ব্লগে আপডেট করেন বা করে থাকেন। অনেক সময় কোন খবরের শিরোনামের উপরও ব্লগার তার মতপোষন করে লিখে ব্লগে পোস্ট করে থাকেন। আবার কেউ কবিতা লিখেন। কেউ ইতিহাস লিখেন। কেউ সাহিত্য নিয়ে লিখেন। কেউ আবার ছোটগল্প ও রম্য লিখে ব্লগে পোস্ট করেন।
শব্দনীড় বাংলা ব্লগ:
তবে আমার মনে হয়, আমাদের এই স্বনামধন্য শব্দনীড় বাংলা ব্লগের জন্মকাল ২০১০ সালের নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখ। ব্লগে প্রথম পোস্ট করেছিলেন, সম্মানিত লেখক মুরুব্বী। লেখার শিরোনাম ছিল, “পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল!” পোস্টে মন্তব্য দানকারী ছিলেন, সম্মানিত লেখক মামুন। এপর্যন্ত শব্দনীড় বাংলা ব্লগে পোস্টের সংখ্যা ৭৭৮১টি। সর্বশেষ পোস্টের শিরোনাম, “আমার দেখা ব্লগ ব্লগার ও ফেসবুকে শব্দনীড় ব্লগ পেইজ!”
ব্যক্তিগত:
আমি এই স্বনামধন্য শব্দনীড় ব্লগে নিবন্ধিত হয়েছি, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের ৬ তারিখ। পোস্ট করেছি আগস্ট মাসের ৭ তারিখ। লেখার শিরোনাম ছিল, “আমি রাত জাগা পাখি!” মন্তব্য পড়েছিল ৬+৬=১২টি। আমার নগণ্য লেখনীয় পোস্টে ৫জন সম্মানিত লেখক-লেখিকার করা মন্তব্যের উওর দিয়ে গিয়েই হয়তো এই স্বনামধন্য শব্দনীড় বাংলা ব্লগের মায়াজালে আটকা পড়েছি। মনে হয় আর কখনো শব্দনীড় থেকে আড়াল হতে পারবো না।
আমার চেয়ে আরও হৃদয়বান ব্লগার এই শব্দনীড়ে আরও অনেক আছে। তাঁরা প্রতিদিন নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে শব্দনীড় ব্লগে লিখে যাচ্ছেন, পোস্ট করে যাচ্ছেন। কিন্তু আমি অধম শুধু সময়ের অভাবে এই স্বনামধন্য শব্দনীড় বাংলা ব্লগে নিয়মিত হতে পারছি না। কারণ, আমি একজন খেটে খাওয়া মানুষ, তাই। তবে আমার হাতে থাকা ব্যবহারিক মোবাইল থেকে প্রতিদিন কয়েকবার ব্লগে উঁকি মারি। সবার পোস্ট ফলো করি। সময়ের অভাবে পোস্টে মন্তব্য করতে বা দিতে পারি না। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখিত!
শব্দনীড় বাংলা ব্লগে আমার লেখা প্রকাশ হওয়ার পর আমি ফেসবুকে নিজ টাইমলাইনে শেয়ার করি। একসময় ফেসবুকের সার্চ বক্সে শব্দনীড় লিখে সার্চ করে শব্দনীড় বাংলা ব্লগ দেখতে পাই! মনে মনে খুবই আনন্দিত হলাম। আনন্দিত হলাম এই কারণে যে, বর্তমানে অনলাইনভিত্তিক নিউজ, ব্লগ সহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটের নিজস্ব পেইজ থাকে। যার কারণ হলো সাইটগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ানো। ফেসবুকে শব্দনীড় বাংলা ব্লগের নিজস্ব পেইজ থাকা মানে ব্লগের পোস্ট বা ব্লগারদের লেখায় পাঠক সংখ্যা বাড়ানোই এর মূল লক্ষ্য।
দুঃখ:
শব্দনীড় ব্লগ টিম ব্লগের সমস্ত পোস্ট অটোমেটিক ফেসবুক পেইজে শেয়ার হচ্ছে। আমরাও শব্দনীড় বাংলা ব্লগে লেখালেখি করছি, পোস্ট করছি, পাঠক সংখ্যার দিজে নজর রাখছি, মন্তব্যের দিকে দৃষ্টি রাখছি আমরা কিন্তু সবাই বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহার করছি। কেউ কেউ নিজের প্রকাশিত পোস্ট ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করছে। পোস্টের পাঠক সংখ্যা দিকে তাকিয়ে থাকছে।
অথচ ফেসবুকে থাকা শব্দনীড় বাংলা ব্লগ পেইজের দিকে কেউ একটি নজরও দিচ্ছি না। শব্দনীড় বাংলা ব্লগ ফেসবুক পেইজে থাকা নিজের পোস্টের দিকেও কেউ নজর দিচ্ছে না, লাইক দিচ্ছে না, দুটি শব্দ বিশিষ্ট বাক্য লিখে মন্তব্যও করছে না।
এসব দেখে সবই ভালো লাগে, তবুও দুঃখ শুধু এখানেই থেকে যায়। দুঃখ থাকবে না সেদিন, যেদিন দেখবো ফেসবুকে শব্দনীড় বাংলা ব্লগ পেইজে ব্লগ থেকে শেয়ার হওয়া প্রতিটা পোস্টে সবার লাইক কমেন্ট দেখবো। তখন ব্লগে থাকা পোস্টগুলোর পাঠক সংখ্যাও অনেকাংশে বেড়ে যাবে। ব্লগের সুনামও বাড়বে।
পরিশেষে সবাইকে ধন্যবাদের সাথে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন!
loading...
loading...
জ্বী খুবই সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। অনেক ভালো লাগলো।
আমরা সবাই চেষ্টা করলে বেশ ভালো হবে। শুভেচ্ছা জানবেন শ্রদ্ধেয়।
loading...
আমি নিজে ফেসবুকে থাকা শব্দনীড় বাংলা ব্লগ পেইজ লাইক করার জন্য আমার অনেক বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এমন করে আমরা সবাই
যদি সবার ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাই, তো ব্লগের পোস্টগুলোতেও পাঠক সংখ্যা অনেকাংশে বেড়ে যাবে বলে আশা করি।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা। ভালো থাকবেন সবসময়
loading...
ধন্যবাদ মি. নিতাই বাবু। শব্দনীড় পেজ এবং ব্লগিং এ নিজ অভিজ্ঞতা নিয়ে হালকা কথায় যা কিনা সহজেই পাঠকের কাছে উপলব্ধ হয়; অসাধারণ চেষ্টার সার্থকতা এনেছেন।
লিখাটি পড়লাম। প্রসঙ্গটি যেহেতু শব্দনীড় সেকারণে একটু বেশী আগ্রহী এবং নস্টালজিক হতেই হলো। ব্লগটির পরীক্ষামূলক সম্প্রচারের প্রাথমিক সময়টি থেকে আমি আছি। আমার যাত্রা শুরু : ১৩-১১-২০১০ ইং।
আমরা যে শব্দনীড়ে এখন রয়েছি, এই ডেটাবেইজ মূল শব্দনীড়ের নয়। শব্দনীড় বানানটিও এটা ছিলো না। ছিলো shobdoneer.com
পুরোনো সেই ডোমেইন নেম এর ডেটাবেইজ ছিলো আরও বড়। সেখানে ছিলো প্রায় ২০/২১ হাজার পোস্ট। এবং লক্ষাধিক মন্তব্য। অজস্র ছবি। কমপ্যাক্ট ডেটার সাইজ ছিলো প্রায় ৩২ জিবি। অতো বড় ডেটাবেইজের কোন সাইট চালাতে গেলে প্রয়োজন হয়ে পড়েছিলো ডেডিকেটেড হোস্ট সার্ভার। যার মূল্য শব্দনীড়কে দিতে হতো মাসে প্রায় ২২,০০০ প্লাস টাকা। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে যেটার মূল্য কমতে কমতে ৬,৬০০ টাকায় ঠেকেছিলো। কিন্তু ততো দিনে শব্দনীড় স্বেচ্ছা অনুদান দাতাদের ঘর প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে গেছে। বিধায় সিদ্ধান্ত নেবার জন্য কিছুদিন শব্দনীড়কে বন্ধ রাখতে হয়।
শব্দনীড় ইংরেজী বানানের সামান্য বদল এনে আগের ডেটাবেইজ, পোস্ট, মন্তব্য, ছবি সরিয়ে রেখে নতুন ভাবে জিরো কাউন্টের shobdonir.com চালু করা হয়। যেখানে আবার নতুন করে ব্লগারদের নিবন্ধন নিতে হয়। কেবলমাত্র আমার অংশটুকু নতুন এই শব্দনীড়ের সাথে জুড়ে দেয়া হয়েছে বিধায় শব্দনীড়ের জন্ম সময়টি জেনে নেয়া যায়।
আমার পোস্টের প্রথম মন্তব্যকারীর নাম আমার মনে নেই। মি. মামুন অনেক পরে এসে সম্ভবত মন্তব্যটি করেছিলেন।
আবার ফিরবো … আমার নেট আপাতত নেই। 
loading...
বর্তমান সময়ের শব্দনীড় বাংলা ব্লগ নিয়ে অজানা অনেককিছুই জানা হয়ে গেল। আশা করি আরওকিছু জানা হবে। তবে এই শব্দনীড় ব্লগটাকে যে মনেপ্রাণে বেধে ফেলেছি, তা একশো তে একশো। আছি এবং থাকবো বলে আশা রাখি।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।
loading...
কথায় কথা বাড়বে। তারপরও বলি আজকের শব্দনীড় আপনার মতো মানুষের ভালোবাসায় বেঁচে আছে। শব্দনীড় ব্যবসায়িক প্লাটফর্ম নয়; শব্দনীড় হতে চেয়েছে নবীশ এবং পটুয়াদের খেরোপাতা। শব্দনীড় চেয়েছে ভালোবাসা। হতে চেয়েছে ভালোবাসা আর সৌহার্দ্যের ঘর। কতটা পেরেছে তার মূল্যায়ণ পাঠকের চোখে। অভিজ্ঞতা শেয়ারে অনেক অনেক ভালোবাসা আর সম্মান মি. নিতাই বাবু।
loading...
অজস্র ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় কবি দাদা। শব্দনীড় বেঁচে থাকুক সারাবিশ্বের মানুষের অন্তরে। শব্দনীড় ব্লগ সহ ব্লগের সকল ব্লগার এবং পাঠকদের দীর্ঘায়ু কামনা করি। ভালোবাসি সব্দনীড়, ভালোবাসি ব্লগ, ব্লগার, ব্লগিং।
loading...
প্রথম আপনার ব্লগিং জীবনে সূচনা পড়লাম। লিখাটির শেষের দিক এসে একটু থামলাম। এই শব্দনীড় এর পূর্বের শব্দনীড়ের সাথে আমার সম্পর্কটি ছিলো অবিচ্ছেদ্য। রাত দিন ব্লগে থাকতাম। ব্লগের প্রায় প্রত্যেকটি মানুষ বা ব্লগারদের ভালোবাসতাম। ব্লগিং এ এসেই আমাদের মধ্যে সম্পর্ক নামের সম্পর্ক তৈরী হয়েছিলো। যা কিনা ব্যাক্তি জীবনেও গড়িয়েছে।
পূর্ব শব্দনীড়ে একটি লিখা প্রকাশের সাথে সাথে সহ ব্লগাররা কে প্রথম মন্তব্য করবে সেই প্রতিযোগিতা চলতো। কেউ দখলের দ লিখে প্রথম জায়গাটি দখল করে নিতো। পরে মন্তব্য জুড়ে দিতো। কী এক অসাধারণ সময় আমরা পার করেছি।
শব্দনীড় থেকে প্রতি বছর একটি করে লিটল ম্যাগ ছাপা হতো। ই ম্যাগ তৈরী হতো। মাসিক লিখা বাছাই পর্যালোচনা হতো। আলোচনা চলতো। থাকতো সাপ্তাহিক নিয়মিত আয়োজন … শব্দনীড় লাইভ আড্ডা। প্রতি সপ্তাহে একজন করে অতিথি নির্বাচিত হতেন। সারাদিন তাঁকে বিভিন্ন ব্লগাররা তার জীবন এবং কর্ম নিয়ে প্রশ্ন করতো এবং অতিথি তার জবাব দিতেন সাগ্রহে।
যখন থেকে ফেসবুকের উত্তোরণ ঘটলো, মানুষ বা ব্লগাররা লাইক লোভী বা ফেসবুকমুখী শর্টকাট হয়ে পড়লো, লক্ষ্য করলাম অনেকেই ব্লগকে যেন সময় দিতে চান না। তখন থেকেই শব্দনীড়ের দ্বিতীয় জন্মে অনেকেই হারিয়ে গেলেন। আমিও গেলাম। এই ব্লগের বেশীরভাগ ব্যানার আমার হাতে তৈরী। মুরুব্বী ভায়ের সাথে রাতে দিনে কাজ করতাম। রাউণ্ড দ্য ক্লক ব্লগ সচল থাকতো। বাংলাদেশী দিনে থাকতো রাতে থাকতো প্রবাসীরা। সবাই চলে গেলো। হাতে গোনা কেউ কেউ হয়তো থাকলেন, তবে সেটা নগণ্য।
একজন মানুষকে আমি আজীবনই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবো তিনি মুরুব্বী নামের পেছনের আজাদ কাশ্মীর জামান ভাইকে। তিনি না থাকলে আগে হয়তো চলতো, তবে বর্তমান শব্দনীড় চলবে না এটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। তিনি শব্দনীড়ের কাণ্ডারী। ব্লগারদের উৎসাহ দিতে গিয়ে নিজেকে সেক্রিফাইস করেছেন। এখন তিনি লিখেন না। কিন্তু প্রত্যেকের ব্লগে তিনি উৎসাহ যুগিয়ে চলেছেন। আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাবো।
loading...
শব্দনীড়ে আমি সবেমাত্র নতুন। এই পোস্টের মাধ্যমে শব্দনীড় ব্লগে অতীত বর্তমান নিয়ে অনেককিছু জানা হলো। সত্যি শব্দনীড় শুধু লেখালেখির নীড়ই নয়, শব্দনীড় সকলের ভালোবাসা নীড়। শুভকামনা সবসময়। সাথে আছি, পাশে আছি। শব্দনীড়ের জয় হোক।
loading...
ব্লগ বা ব্লগিং দুনিয়ায় আপনার উঠে আসা রীতিমত অবাক করার মতো নিতাই বাবু। অনেক চেষ্টা করেছেন দেখছি। অসাধারণ এই ধৈর্যের প্রশংসা করবো নিশ্চয়ই।
ফেসবুকের শব্দনীড় পাতা আমি ফলো করি। কিন্তু সেভাবে কোথাও আজকাল থিতু হতে পারি না। কাজের চাপ, বন্ধুদের অনুরোধ উপরোধ সব সময় যেন ব্যস্ত করে রেখেছে আমাকে। তবে দুঃখবোধটাকে স্বীকার করে নিতে লজ্জা বোধ করছি না।
আমি শব্দনীড় প্রথম পর্যায়ের নাগরিক। অনেক লিখা মন্তব্য সহ হারিয়ে গেলেও প্রিয় ব্লগ শব্দনীড় যে বেঁচে আছে এবং সাথে আছি তাতে আমি গর্ব বোধ করি। বাংলা ভাষার ব্লগের মান এবং ঈর্ষণীয় ভাবে টিকে থাকার লড়াইয়ে শব্দনীড় শ্রেষ্ঠ। ভালোবাসি।
loading...
ভালোবাসি শব্দনীড়, ভালোবাসি শব্দনীড়ের সকলকে। শুভকামনা সকলের জন্য। শব্দনীড়ের দীর্ঘায়ু কামনা করি।
loading...
শব্দনীড়ের প্রথম দিক থেকে আছি। এখানকার মতো ব্লগিং পরিবেশ আমি চলমান বা বন্ধ হয়ে যাওয়া ভিন্ন কোন ব্লগে পাইনি। অনেক লেখাই আমার হারিয়ে গেছে তাতে দুঃখ নেই। এই শব্দনীড়কে নিয়েই ভালো আছি দাদা।
ফেসবুকে শব্দনীড় পেজে লাইক দিয়ে রাখলেও নোটিফিকেশন বন্ধ রেখেছেন অনেকে। কেন এবং কি কারণে এমন, আমি জানি না। তবে ফেসবুকের পেজে কেউ আসুক না আসুক ব্রাউজারের এড্রেস বারে শব্দনীড় সুইচটি টিপে দিলে শব্দনীড় হোমপেজ যখন ভেসে উঠে তাতেই আমার মনটা ভরে উঠে। মনে হয় আমার ঘরে আমি ফিরে এসেছি।
loading...
এই পোস্টের মাধ্যমে আমাদের ভালোবাসার শব্দনীড় নিয়ে অনেককিছু জানা হলো শ্রদ্ধেয় শাকিলা দিদি। আমি সবেমাত্র শব্দনীড়ে নতুন। তবুও সকলের ভালোবাসায় শব্দনীড়ে নতুন বলে মনে হয় না। সকলের জন্য শুভকামনা সারাক্ষণ। শব্দনীড়ের দীর্ঘায়ু কামনা করি।
loading...
ব্লগ জীবন আমার খুবি কম দেখা। খুব বেশী ব্লগ সাইটে আমার যাওয়া আসা নেই। যতটুকু যা এবং যেখানে যা প্রকাশ পায় সবই সংশ্লিষ্ট সাইট এডমিনদের আগ্রহের ফল। শব্দনীড়ে সেই প্রথম থেকে লিখছি। অনেককেই কেবল ব্লগ থেকে জানি। ব্যক্তিজীবনে কারু সাথে দেখা বা জানার সুযোগ হয়নি।
শব্দনীড়ের সোনালী যুগ খুবই বর্ণিল। সেই থেকে ভালবাসা ভাল লাগা। আপনার আজকের নির্মোহ প্রকাশ আমাকেও তাড়িত করেছে। সংসার জীবনে যদিও আমার হাতে সময় কম, তারপরও টাইমলাইনে কোন সারাংশ উঠে এলে আমি অন্তত ছাড়ি না। তবে মোবাইল থেকে যেহেতু আমার লেখালিখি, সীমাবদ্ধতাও সেখানে পাল্লা দিয়ে বেড়ে ওঠে।
শব্দনীড়ের জয় হোক, আমাদের সকলের পদচারণায় শব্দনীড় প্রাণবন্ত থাক কামনা করি।
loading...
শ্রদ্ধেয় রিয়া দিদি, আমি শব্দনীড়ে নতুন। তবুও আপনাদের সকলের ভালোবাসায় শব্দনীড়ে নিজেকে নতুন বলে মনে হয় না। শব্দনীড়ের সকলের জন্য শুভকামনা রইল। জয় হোক শব্দনীড়ের।
loading...
শব্দনীড় ব্লগ নিয়ে আপনার চমৎকার লেখাটি আদ্যোপান্ত পড়লাম । ব্লগিং বিষয়ে বেশ স্বচ্ছন্দ আলোকপাতে অনেক অজানা কথাও জানলাম। আমি ২০১৩/ ১৪ থেকে বিভিন্ন ব্লগে যাতায়াত করছি। পুরাতন শব্দনীড়েও ছিলাম । তবে কোথাও নিয়মিত হতে পারিনা ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে ।
আজাদ কাশ্মীর জামান ভাইয়ের নিরলস প্রচেষ্টায় আমাদের মতো ক্ষুদে ব্লগারদের জন্য এই প্লাটফর্মটি তৈরি হয়েছে। সেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাতেই হয় ।
শব্দনীড় ফেইসবুক পেইজের দিকে নজর দেয়া হয়না এটা সত্য । এখন থেকে চেষ্টা করবো ।
চমৎকার এ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
loading...
আমিও আপনার মতন এক সময়হীনা । সময়ের অভাবে জীবনের অনেককিছু হারিয়ে ফেলি। তবে বর্তমানে কোথাও সময় না দিয়ে যতটুকু পারি শব্দনীড়েই সময়টা দেই, শ্রদ্ধেয় দিদি। আপনাদের সকলে ভালোবাসার শব্দনীড়ে আবদ্ধ হয়ে গেলেম। তাই সকলের জন্য শুভকামনা সারাক্ষণ। সাথে সব্দনীড়ের দীর্ঘায়ু কামনা করি।
loading...
অনেক কিছু জানলাম। অশেষ ধন্যবাদ !
loading...
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা । আশা করি ভালো থাকবেন। জয় হোক শব্দনীড়ে ব্লগের। শুভকামনা সকলের জন্য।
loading...
প্রসঙ্গটা শব্দনীড় ব্লগ । খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখছেন।অনেক কিছু জানতে পারলাম।শুভ কামনা আপনার জন্য কবি দাদা ।
loading...
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় কবি দিদি। জয় হোক আপনার। জয়তু শব্দনীড়!
loading...