ডাক্তার কদম আলীর ভুল চিকিৎসার গল্প

একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের দোকানের একজন কম্পাউন্ডার। নাম তাঁর কদম আলী। লেখাপড়া মোটামুটি। কিন্তু বড় ধরনের কোনও ডিগ্রি তাঁর ছিল না। তবুও তাঁর ঔষধের দিকেই ছিল বেশি খেয়াল। তাই উঠতি বয়স থেকেই নিজের এলাকায় থাকা একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের দোকানে বলেকয়ে চাকরি নেয়। তাঁর কাজ হলো প্রেসক্রিপশন দেখে রুগীকে ঔষধ বুঝিয়ে দেওয়া। কদম আলী ঔষধের দোকানে চাকরি নেওয়ার পর থেকে খুব সুনামের সাথেই কাজ করে যাচ্ছে। কদম আলীর আশা, একদিন সেও একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হবে। দিবে ঔষধের দোকান। বসবে কোনও এক চেম্বারে। করবে অনেক টাকা রোজগার।

তাই তাঁর নজর থাকে ডাক্তারের দিকে। ডাক্তার রুগী দেখে, রুগীর কথা শুনে, কোন রোগের জন্য কোন শিশির ঔষধ লিখে; তা কদম আলী খেয়াল করে মুখস্থ করে রাখে। সময়সময় প্রেসক্রিপশন হাতে পেয়ে রুগীকে জিজ্ঞেস করে, আপনার রোগটা কী? রুগী যদি বলে মাথাব্যথা, তা কদম আলী মনে করে রাখে মাথাব্যথা ঔষধ এটা! এভাবে পাঁচ থেকে ছয় বছর কদম আলী খুব মনোযোগের সাথে রোগ নিরাময়ের ঔষধ এবং করনীয় সবকিছু মুখস্থ করে ফেলেছে। এখন কদম আলীকে ডাক্তারের বেশি কিছু বুঝিয়ে দিতে হয় না। কদম আলী ডাক্তারের দেওয়া প্রেসক্রিপশন দেখে ফটা-ফট ঔষধ বানিয়ে রুগীকে বুঝিয়ে দিতে পারে।

একদিন এক রুগী পেটব্যথায় আক্রান্ত হয়ে এই হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে আসে। ডাক্তার রুগী দেখে প্রেসক্রিপশনে লিখে ছিল, ৩ নম্বর শিশি থেকে ৫ ফোঁটা, আর ৪ নম্বর শিশি থেকে ৫ ফোঁটা, ৫ গ্রাম পাউডারের সাথে মিশিয়ে, (৬+৬) ১২টি পুরিয়া বানিয়ে রুগীকে দিতে হবে। রুগী ৪ ঘণ্টা পরপর ১ পুরিয়া করে সেবন করবে। একদিন পর আবার রুগীকে ডাক্তারের কাছে আসতে হবে। রুগীর অবস্থা দেখে ডাক্তার পরবর্তী ব্যবস্থা নিবে। প্রয়োজনে নতুন ঔষধ দিবে। কদম আলী প্রেসক্রিপশনের লেখা অনুযায়ী ৩ নম্বর শিশি থেকে আর ৪ নম্বর শিশি থেকে ৫ ফোঁটা করে বিশেষ পাউডারের সাথে মিশিয়ে, ১২ পুরিয়া বানিয়ে রুগীকে বুঝিয়ে দিলো। রুগী ঔষধ নিয়ে বাড়ি চলে গেলো। রুগী বাড়ি গিয়ে ডাক্তারের দেওয়া ঔষধের পুরিয়া ৪ ঘণ্টা পরপর সেবন করে চলছেন। ঔষধ সেবনের পর রুগী মোটামুটি সুস্থ হয়ে ওঠলেন। আগের মতন আর তেমন পেটব্যথা রুগীর নেই। তবু রুগীর মনের ভয় সরছে না। কারণ, ডাক্তার বলেছে একদিন পর আবার ডাক্তারের কাছে যেতে। ডাক্তার যদি বলে, আপনি এখন পুরোপুরিভাবে সুস্থ, তাহলেই রুগীর মন থেকে রোগ বিষয়ে সন্দেহ দূর হবে। এই ভেবে রুগী আবার ডাক্তারের দোকানে আসলেন।

ডাক্তার সেদিন দোকানে নেই। ডাক্তার গেছেন ঔষধের জন্য শহরে। দোকানে আছে কম্পাউন্ডার কদম আলী। কদম আলী রুগীকে দেখে হাসতে হাসতে বললেন,
–কী খবর ভাইজান, কেমন আছেন, পেটব্যথা সেরেছে?
–সেরেছে কম্পাউন্ডার সাহেব। তো ডাক্তার সাহেব কোথায়?
–কেন? ডাক্তার সাগেবকে কী দরকার? ডাক্তার সাহেব শহরে গেছে ঔষধের জন্য। যা বলার আমাকে বলতে পারেন। কোনও সমস্যা নেই!
–না মানে, ঐযে ডাক্তার সাহেব বলেছিল আবার আসতে!
–আবার আসতে বলেছে এই কারণে যে, যদি আপনার পেটব্যথা না সারে, তাই। এখন আপনার কি পেটব্যথা আছে? যদি থাকে তো আমিই ঔষধ দিয়ে দিতে পারবো।
–আমি এখনো পুরোপুরিভাবে সুস্থ হইনি। মাঝেমধ্যে চিনচিন করে ব্যথা করে। আপনি যদি পারেন তো আমাকে ঔষধ দিয়ে দিন।

রুগীর কথা শুনে কম্পাউন্ডার কদম আলী খুশিতে আটখানা। কদম আলীর মুখে সাফল্যের মুচকি হাসি। মনে মনে বলতে লাগলো, এতো বছর ডাক্তারের দেওয়া প্রেসক্রিপশন দেখে ঔষধ বানাতে বানাতে কি কিছুই শিখিনি? ডাক্তার প্রেসক্রিপশনে লিখেছে ৩ নম্বর শিশি থেকে ৫ ফোঁটা ঔষধের সাথে ৫ গ্রাম পাউডার মিশিয়ে ৬ পুরিয়া, ৪ নম্বর শিশি থেকে ৫ ফোঁটা ঔষধের সাথে ৫ গ্রাম পাউডার মিশিয়ে ৬পুরিয়া বানাইয়া দিতে। তা তো আমার বেশ মনে আছে! এই রুগীর তো আগের রোগই, “পেটব্যথা”। নতুন তো আর কোনও রোগ নয়। আগের নিয়মে ঔষধ বানিয়ে দিলেই তো হবে। এই ভেবে কম্পাউন্ডার কদম আলী ঔষধের আলমারির থেকে ৩ নম্বর শিশি আর ৪ নম্বর ঔষধের শিশি বের করলো। শিশি বের করে দেখে ঔষধের শিশিতে ঔষধ নেই। ৩ নম্বর শিশি আর ৪ নম্বর শিশি খালি। কম্পাউন্ডার কদম আলী ভাবতে লাগলো, এখন কী করা যায়? ভাবতে ভাবতে কম্পাউন্ডার কদম আলীর মাথায় হঠাৎ বুদ্ধি এসে গেল।। বুদ্ধি হলো, (৪+৩=৭) চার-এ তিনে=সাত নম্বর শিশি। আবার (৫+৫=১০) ফোঁটা ঔষধ। আর (৫+৫=১০) গ্রাম বিশেষ পাউডার। ব্যস হয়ে গেল রুগীর রোগ নিরাময়ের ঔষধ। “এতো বছরে কি কিছুই শিখতে পারিনি? ডাক্তারা একটু বেশিই বুঝে থাকে। দুইরকম শিশির ঔষধের দরকার কী ছিল?” মনে মনে ভাবলেন কদম আলী।

এই ভেবে কদম আলী আলমারি থেকে ৭ নম্বর শিশি বের করলো। ১০ গ্রাম আন্দাজ পাউডারের সাথে ৭ নম্বর শিশি থেকে ১০ ফোঁটা ঔষধ মিশিয়ে ১২পুরিয়া বানিয়ে রুগীর হাতে দিয়ে বললো, “আগে যেভাবে সেবন করেছেন, ঠিক সেভাবেই সেবন করবেন। আশা করি আপনাকে আর ডাক্তারের কাছে আসতে হবে না। ইনশাল্লাহ্ একশো তে একশো সুস্থ হয়ে যাবেন। রুগী খুশি হয়ে কম্পাউন্ডার কদম আলীর হাতে ঔষধের মূল্য বাবদ ১০টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে গেল। কদম আলী দুইহাত তুলে বলতে লাগলেন, হে আল্লাহ, তুমি আমার মনের আশা পূরণ করেছো। আমি এখন নিজেই ডাক্তারি করতে পারবো। তুমি দয়াময় আমার সহায় থেকো।

রুগীর বাড়ি ডাক্তারখানা থেকে অল্প একটু দূরে। রুগী বাড়ি গিয়ে প্রথমে ১ পুরিয়া ঔষধ সেবন করলো। ৪ ঘণ্টা পরে আবার ১পুরিয়া ঔষধ সেবন করলো। এই দুই পুরিয়া ঔষধ সেবন করার পাঁচ মিনিট পরই শুরু হয়ে গেল রুগীর পেটব্যথা, বমি আর পাতলা পায়খানা। রুগী বদনা নিয়ে ল্যাট্রিনে যায় আর আসে। রুগী তাঁর হাতের বদনা মাটিতে রাখার সময় পাচ্ছে না। পেটের ব্যথায় রুগীর ডাক চিৎকারে আশেপাশের মানুষ জড়ো হয়ে গেল। রুগীকে সবাই জিজ্ঞেস করলো, কী হয়েছে? রুগী সবার কাছে সব বৃত্তান্ত খুলে বললো। রুগীর কথা শুনে গ্রামের মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ডাক্তারের দোকানের উদ্দেশে রওনা হলো। তাদের সাথে যোগ হলো আরও অনেক মানুষ। মুহূর্তে শখানেক লোক ডাক্তারের দোকানের সামনে জড়ো হয়ে গেল। । শখানেক লোকের আগমন দেখে কম্পাউন্ডার কদম আলীর একটু খুশি খুশি ভাব হতে লাগলো। কদম আলী মনে মনে ভাবতে লাগলো, রুগী ১পুরিয়া ঔষধ সেবনের পরই তাঁর পেটব্যথা সেরে গেছে। এই খবর মনে হয় গ্রামে ছড়িয়ে পরার সাথে সাথে লোকগুলো আমাকে একনজর দেখতে এসেছে। দোকানে এসে সবাই যখন বলতে লাগলো, কদম আলী কোথায়? কম্পাউন্ডার কদম আলী খুশির ঠেলায় হাত উঁচিয়ে বলতে লাগলো, আমি কদম আলী। আমি কদম আলী বলতে দেরি, আর উত্তমমধ্যম পড়তে দেরি হলো না। কদম আলী তো মাগো, বাবাগো, মাগো, বাবাগো বলতে বলতে অস্থির।

এমন সময় ডাক্তার শহর থেকে ঔষধ নিয়ে কেবল বাজারে প্রবেশ করলো। ডাক্তারের দোকানের সামনে শখানেক মানুষের ভিড় দেখে ডাক্তার দৌড়ে দোকানের সামনে এসে জিজ্ঞেস করলো, কী হয়েছে? এখন সবাই ডাক্তারকে দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠল। কয়েকজন ডাক্তারকেই উত্তমমধ্যম দিতে প্রস্তুত হয়ে গেল। ডাক্তার হাত জোড় করে সবাইকে বললেন, আমি শহর থেকে ঔষধ নিয়ে কেবল আসলাম। কী হয়েছে, আর কী ঘটেছে, আমি কিছুই জানি না। দয়া করে আমাকে বুঝিয়ে বলুন। ডাক্তারের কথা শুনে সবাই শান্ত হয়ে বললেন, আপনার কম্পাউন্ডার কদম আলীকে জিজ্ঞেস করুন? কদম আলী মানুষের মাইর গুতা খেয়ে দোকানের মেজেতে বেহুশ হয়ে পড়ে আছে। ডাক্তার কদম আলীকে টেনে উঠিয়ে বসালেন। জিজ্ঞেস করলেন, “কী হয়েছে, আর ঘটনা-ই-বা কী?”

কদম আলী কাঁদা কাঁদা স্বরে বলতে লাগলেন, “গত পরশুদিন পেটব্যথার রুগীটাকে আপনি ৩ নম্বর আর ৪ নম্বর শিশি থেকে ৫ ফোঁটা ৫ ফোঁটা করে ঔষধ পাউডারের সাথে মিশিয়ে ১২ পুরিয়া বানাইয়া দিতে বলেননি? আমি তো সেভাবেই দিয়েছি। রুগীকে বললেন একদিন পর আবার আসতে। আজ আপনি শহরে যাবার কিছুক্ষণ পর রুগী দোকানে এসে বললো, আমি পুরোপুরিভাবে সুস্থ হইনি। আমার পেটে এখনো চিনচিন করে ব্যথা করে। আমাকে ঔষধ দিন। আমি রুগীর কথা শুনে ঔষধের আলমারি থেকে ৩ নম্বর শিশি আর ৪ নম্বর শিশি বের করি। বের করে দেখি, ৩ নম্বর শিশিতে ঔষধ নেই, ৪ নম্বর শিশিতেও ঔষধ নেই। আমি বুদ্ধি করে ৭ নম্বর শিশি বের করি। তারপর ৭ নম্বর শিশি থেকে ১০ ফোঁটা ১০ গ্রাম আন্দাজ পাউডারের সাথে মিশিয়ে ১২পুরিয়া ঔষধ বানাইয়া রুগীর হাতে দেই। ৩ নম্বর শিশিতে আর ৪ নম্বর শিশিতে ঔষধ নেই তাতে কী হয়েছে? ৩ আর ৪-এ তো ৭ই হয়! ৫ ফোঁটা ৫ ফোঁটা মিলে তো ১০ ফোঁটাই হয়!

এতো বছর আপনার চাকরি করে কী কিছুই শিখি নাই? আপনি রুগীকে দিয়েছেন দুইরকম শিশির ঔষধ। আমি দুইরকম দেইনি। ঔষধ বেশি সেবন করা ঠিক না! তাই একটা শিশি থেকেই রুগীর রোগমুক্তির ঔষধ বানাইয়া দিয়েছি। তা কি আমি অপরাধ করেছি? আর ফরমুলাটা তো আপনারই, ৩ নম্বর আর ৪ নম্বর শিশি। আমি শুধু যোগ বিয়োগ করে ঔষধ বানিয়েছি। রুগীকে বলেছি, আগের নিয়মেই সেবন করতে। ৪ ঘণ্টা পরপর ১পুরিয়া করে। তা কি ভুল কিছু করছি? এখন গ্রামের মানুষ এসে আমাকে উত্তমমধ্যম শুরু করে দিয়েছে বলেই, হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো। এর মধ্যেই ডাক্তার সাহেবও দিয়ে দিল দুই থাপ্পড়!

কদম আলীর কথা শুনে ডাক্তার এখন হায় হায় করতে লাগলো। ডাক্তার মনে মনে বলতে লাগলো, সর্বনাশ! ৭ নম্বর শিশির ঔষধ হলো, কোনও রুগী বিষপান করলে অথবা কাউকে সাপে দংশন করলে, সেই রুগীর শরীর থেকে বিষ পানি করে বের করার ঔষধ। আর সেই ঔষধ দিয়েছে পেটব্যথার রুগীকে? রুগী তো ৭-৮ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে পারে। হায়! হায়! এখন উপায়?

এই বলেই ডাক্তার সবাইকে বলতে লাগলো, ভাইসব তাড়াতাড়ি আমাকে রুগীর বাড়ি নিয়ে চলেন। আমার কম্পাউন্ডার সর্বনাশের করে ফেলেছে! রুগীকে যেই ঔষধ দিয়েছে, রুগী ৭/৮ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুবরণ করতে পারে নিশ্চিত। তাড়াতাড়ি না যেতে পারলে রুগীর অবস্থা হবে সূচনীয়। রুগী পাতলা পায়খানার সাথে বমি করতে করতে পানিশূন্যতা হয়ে মারা যাবে। তাড়াতাড়ি আমার ঔষধের বাক্সটা হাতে নিন, আমাকে রুগীর বাড়ি নিয়ে চলেন। এই বলেই ডাক্তার তাঁর ঔষধের বাক্স নিয়ে রুগীর বাড়ির দিকে দৌড়াতে লাগলো। বাড়িতে গিয়ে রুগীকে ৭ নম্বর ঔষধের পাওয়ার ধ্বংস করার বিপরীত ঔষধ খাইয়ে দিলো। এরপর রুগীর পাতলা পায়খানা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। দুই তিন ডোজ সেবন করানো পর রুগী আগেরমত সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসে।

দোকানে এসে অভিজ্ঞ কম্পাউন্ডার কদম আলীকে বলল, “তুমি কদম আলী তাড়াতাড়ি আমার দোকান ত্যাগ করে বাড়ি চলে যাও। বাড়ি গিয়ে হালচাষ করো। নাহয় কারোর বাড়িতে দিনমজুরি কাজ করো। তোমার মতো কিছু মানুষ অল্পকিছুদিন কোনও ডাক্তারের দোকানে বা ডাক্তারের চেম্বারে কাজ করে নিজেরাই ডাক্তার হয়ে যাও। তোমরা মনে করো যে, ডাক্তার রুগী দেখে কলমের খোঁচা দিয়ে শুধুশুধু টাকা নিয়ে নেয়। একজন মানুষ অনেক সাধনার পর ডাক্তার হয়। একজন ডাক্তার মানে দেশ ও দশের সেবক। আর তোমরা কিছু বেশি শিক্ষিত মানুষ মনে করে থাক, ডাক্তারের দেওয়া প্রেসক্রিপশন দেখেই ডাক্তার হওয়া যায়। ডাক্তার হওয়া বা ডাক্তারি করা এতো সহজ নয়! ডাক্তারি করতে হলে চিকিৎসাশাস্ত্র সম্বন্ধে জ্ঞান থাকতে হয়। তোমার মতো অনভিজ্ঞ ভুয়া ডাক্তারদের কারণে আজ জাগায় জাগায় ভুল চিকিৎসার অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। অনেকসময় পত্রপত্রিকার খবরে প্রকাশ হয়, সিজার করার সময় গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু, নাহয় নবজাতকের মৃত্যু। মেডিকেলে সেন্টার বা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রুগীর মৃত্যু, লাশ নিয়ে মিছিল। এরপর তদন্তে বেরিয়ে আসে ভুয়া চিকিৎসক আর ভুয়া সার্টিফিকেট। ওরাও তোমার মতন ডাক্তার কদম আলী। যা কয়েক ঘণ্টা আগে তুমিও একজন রুগীকে মেরে ফেলার কাজ করে ফেলেছো। ভাগ্য ভালো যে আমি শহর থেকে সময়মত এখানে এসেছি। তা না হলে আর কয়েক ঘণ্টা পরই রুগী শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করতো। রুগীর মৃত্যু হলে তুমিও জেলে যেতে, তোমার সাথে আমাকেও জেল হাজতে যেতে হতো। আল্লাহ্ আমার সহায় আছে বলেই তা আর হয়নি। তুমি এখন বাড়ি চলে যাও!”

পোস্টে সংযুক্ত ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

১২ টি মন্তব্য (লেখকের ৬টি) | ৬ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ১৬-০১-২০১৯ | ১৮:২৯ |

    এই হলো আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার অবস্থা। অবশ্যি সামগ্রিক বলবো না, গ্রামে গঞ্জে গল্পের এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটে। ভালো যে, কম্পাউন্ডার সাহেব ঔষধ বিদ্যা অর্জনের দাবী করেছে। ভাগ্য যে, শল্য বিদ্যায় হাত পাকায় নি। Smile

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ১৭-০১-২০১৯ | ২:২২ |

      আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর স্ত্রীর সিজারের সময় এক দুর্ঘটনা । বেচারা এখন সন্তান হারা। আরও আছে এমন অনেক। কিছুদিন আগে আমাদের পাশের বাসার এক ছেলের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু। সবই ডাক্তার কদম আলীদের গাফলতিতে হয়েছে, শ্রদ্ধেয় দাদা। আর বিশেষকিছু জানালাম না। ভালো থাকবেন ,আশা করি।

      GD Star Rating
      loading...
  2. সৌমিত্র চক্রবর্তী : ১৬-০১-২০১৯ | ১৮:৫০ |

    আমি স্বাক্ষী নিতাই বাবু। এমন ঘটনা আমি ঘটতে দেখেছি। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Razz.gif.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ১৭-০১-২০১৯ | ২:২৬ |

      এসব ডাক্তার কদম আলীদের খামখেয়ালিতে আমি দাদা রীতিমত মর্মাহত । চোখের সামনে বন্ধুর নবজাতকের মৃত্যু কতটা ব্যথার, তা বুঝিয়ে বলতে পারছি না দাদা।

      GD Star Rating
      loading...
  3. রিয়া রিয়া : ১৬-০১-২০১৯ | ১৯:১৭ |

    অণুগল্পটি পড়তে কিন্তু অসাধারণ লাগলো নিতাই দা। এর একটি অন্যতম কারণ আপনার সুলিখন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_smile.gif 

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ১৭-০১-২০১৯ | ২:২৯ |

      ওদের উপর মাঝে মাঝে খুবই ক্ষোভ হয় শ্রদ্ধেয় দিদি। ওরা তো আসলে মানুষই নয়। ওরা টাকা খেকো হিংস জানোয়ার। তাই ক্ষোভের সাথে তাল মিলিয়ে লিখেছি দিদি। ভালো থাকবেন সবসময় ।

      GD Star Rating
      loading...
  4. অয়েজুল হক : ১৭-০১-২০১৯ | ৫:২২ |

    বাস্তব চিত্র যেন চোখের সামনে। জীবন্ত লেখনী     

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ১৭-০১-২০১৯ | ১২:২৫ |

      আমার পোস্ট করা এবং আমার লেখা পড়েছেন জেনে আমি খুবই অনিন্দিত । আপনার জন্য শুভকামনা সবসময়।

      GD Star Rating
      loading...
  5. নূর ইমাম শেখ বাবু : ১৭-০১-২০১৯ | ১৭:২৪ |

    আজকাল এসব খুব হচ্ছে। কারো কোন মাথাব্যথা নেই।

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ১৭-০১-২০১৯ | ২২:৪৯ |

      এসব নিয়ে রাষ্ট্রও মাথা ঘামায় না শ্রদ্ধেয় দাদা। ডাক্তার কদম আলীদের কাছে বাংলার প্রতিটি মানুষই জিম্মি। 

      আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য সহস্র ধন্যবাদ।

      GD Star Rating
      loading...
  6. কাজী রাশেদ : ১৯-০১-২০১৯ | ১১:২২ |

    আমাদের দেশের এক নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা, কিছু মানুষ নিজেদের বেশী বিদ্বান মনে করে থাকেন, সবাই নিজেকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার চিন্তা করে থাকেন। যার ফলে প্রতিনিয়ত আমাদের দেশে দুর্ঘটনার শিকার হোন সাধারন মানুষ।

     

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ১৯-০১-২০১৯ | ২০:৩৪ |

      আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য শত সহস্র ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন নিশ্চয়! 

      GD Star Rating
      loading...