নাজনীন খলিল-এর ব্লগ
আগুনের অবশেষ
ড্যান্সহলে অগ্নিহোত্রী। তবলচী বৈশ্বানর। কী করে ছড়ালো পাখির চোখঝলসানো এতোটা দাহক?
পুড়ল প্রজাপতিডানা।
পেখমের ভাঁজ খুলে দূরান্তে পালালে ময়ূর। দাবানল থেমে যাবে ঠিক।তার আগে
পাতা পুড়বে। বুনোফলফুল।
বৃক্ষপল্লবাদি কাঠকয়লা হবে।
আরো বহুক্ষণ
কড়কড়াৎ ধ্বনিতে
বনপোড়ানো রণভেরীর হুহুংকার শোনা যাবে। ধীরে ধীরে স্তিমিত হবে আগুনের লেলিহান জিভ
বাতাসের হোসপাইপ ধুয়ে নেবে সব জঞ্জালধোঁয়া।
অবশেষ থাকবে
কিছু গাছের কংকাল
বহুদিন পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৫৫ বার দেখা | ৪৭ শব্দ
কবিতা
করতলে একটি কুয়াশা-মাখা ভোর ছিল
আঙ্গুলের ফাঁকে কখন যে ঝরে গেছে বুঝতে পারিনি। কষ্ট পাই
বর্ণাঢ্য-জলসায় অচেনা মুখের ভীড়ে একা হয়ে গেলে
ক্রমশঃ কুঁকড়ে যাই নিজের ভেতরে। হারতে চাইনা।বারবার হেরে যাই।
নিজের প্রলম্বিত ছায়াটুকু ক্রমাগত নিজেকে অতিক্রম করে যায়।
কষ্ট পাই। বিস্মরণের আজন্ম-স্বভাবে ঠিকানা-বিভ্রাট;
এ গলি ও গলি খুঁজতে খুঁজতে
তোমার গলির একদম পাশ পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৪৯ বার দেখা | ৫৩ শব্দ
আমি ঘুমোতে চেয়েছি
আমিতো ঘুমোতে চেয়েছি
গাছের ছায়ায় ঢাকা নিমগ্ন ঘাসের মতো নিরিবিলি
চাঁদটাই তার প্রখর জ্যোৎস্নাউচ্ছ্বাসে ঘুমোতে দেয়নি ,
চাঁদনি প্রাবল্যে ঢেলে দিল আজীবন অনিদ্রাঅসুখ। ঘোর চন্দ্রিমার সোনালি আগুনে
কেন যে তীব্র এক হা-হুতাশ বাঙময় হয়ে গেল !
হাহাকারের শব্দগুলো এতোটাই প্রবল ছিল
যেন নিঃশ্বাসের শব্দ বেজে যাচ্ছে
কামারশালার নেহাইয়ে হাপরস্পন্দনের মতো। স্রোতে টলমল পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৩৩ বার দেখা | ৫৮ শব্দ
গুপ্তধানুকী এবং মাংসবিক্রেতা
সারারাত মুঠোর ভেতরে জোনাকির আলো নিয়ে বসে থাকি
ভোর হলেই তারা সব মৃতদেহ;
হাওয়ায় উড়ছে দীপাধারের শব। মানুষ টের পায় ঠিক।
আর মৃত্যুর গন্ধ যত বেশি কাছাকাছি হয়;
তীব্র ধাবিত হয় জীবনের দিকে এবং নিজের অজান্তেই মৃত্যুবাসরের জন্য তৈরি করে এক
অনিন্দ্য ফুলের বাগান। এখনো জীবন্ত ফেনার চিহ্ন লেগে আছে মৃত ঘোড়াদের পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২৫ বার দেখা | ৭৫ শব্দ
কাঠের ঘোড়া
আমারও যদি থাকতো একটা ‘টিন ড্রাম’ অস্কারের মতো! এমনকি প্রত্যেকটি মানুষেরই দরকার একটি টিনড্রাম অথবা ট্রাম্পেট জাতীয় কিছু একটা বাস্তবতার যাবতীয় অনাকাঙ্খিত কষাঘাত থেকে পালিয়ে বেড়ানোর জন্য। থাকলে বেশ হতো। নেই। তাতে কি? আমারতো আছে একটি কাঠের ঘোড়া। যখন তখন পালিয়ে বেড়ানো যায় দেশ থেকে পড়ুন
সাহিত্য | | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৮৮ বার দেখা | ৯৯ শব্দ
হ্যালুসিনেশন
কুয়াশার চাদরে মোড়া ওই বনভূমি, ওই নদী, হরিণের জলপানের ওই দৃশ্য ; এক বিশাল ক্যানভাসে আঁকা ছবির মতো। মনে হয় ওই দৃশ্য কোথাও ছিলনা। অথবা ছিল। তারপরেও ওই দৃশ্যটাকে নেহাতই একটা রং-তুলিতে আঁকা ছবি বলেই ধরে নেই। কিন্তু এখনো সেই জলের গন্ধ, সেই পিপাসার্ত পড়ুন
সাহিত্য | | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৬৮ বার দেখা | ১০৩ শব্দ
অন্ধকার
আমার আঁধার ভালো। রাত্রিকে কেন ঢেকে দাও নকল আলোর বন্যায় ? শোন গন্ধরাজের সৌরভের সাথে কেমন হু হু বেজে যাচ্ছে
আঁধারের নিজস্ব সুর, আপন কোলাহল। এ আগুন ফিরিয়ে নাও। ভুলে যাও পাথরে পাথর ঘষা সভ্যতার এই উন্মেষ। যুগযুগ সাধনালব্ধ কৃত্রিম আলোর এই ফোয়ারার উদ্ভাস ভুলে যাও। পড়ুন
সাহিত্য | | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৬২ বার দেখা | ১২০ শব্দ
যদি তুমি আমাকে ভুলে যাও -পাবলো নেরুদা
মূল কবিতা : If You Forget Me
– Pabolo Neruda
অনুবাদক: নাজনীন খলিল আমি তোমাকে
একটি কথা জানাতে চাই তুমি জানো তা কেমন করে :
যদি তাকিয়ে থাকি স্ফটিক চাঁদের দিকে
আমার জানালায় ধীর শরতের লালিম শাখায়,
যদি স্পর্শ করি
আগুনের পাশে
স্পর্শাতীত ছাই
অথবা জরাজীর্ণ কাঠের গুঁড়ি,
সব কিছু আমাকে তোমার কাছে নিয়ে পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০০১ বার দেখা | ১৬৮ শব্দ
আগুনের পাখি: ফিনিক্স
ভস্মস্তুপ থেকে আবার এসেছে উঠে, অবিনশ্বর আগুনের পাখি; ফিনিক্স। প্রতিবন্ধী এক ঈশ্বরকে যূপকাষ্ঠে বলি দেবার পরে
যারা সন্ন্যাসীর বাঘছাল দিয়ে বানিয়ে নিয়েছিল ট্রাম্পেট
আর সেই প্রচন্ড ঢাকের শব্দ ছড়িয়ে দিয়েছিল বাতাসের পরতে পরতে
তারাও কি পথ ভুলে নেমে গেল কালো এক অন্ধকার গুহার দিকে?
ভুল করে বন্ধ পড়ুন
কবিতা | ৮ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩২৩ বার দেখা | ১৭৩ শব্দ
মাত্র একটি শব্দ-উচ্চারণের হেরফের
তেমন করে যাওয়া হয়না।
কোন সীমাহীনেই তো হারিয়ে যেতে চেয়েছিলাম—-
গন্তব্যবিহীন এক ট্রেনের হুইসেল যখন বেজে ওঠে,
বলি–একটু থামো।ভেবে দেখি আর আমার নেবার মতো কিছু বাকী আছে কিনা। নিতান্ত প্রকৃতির খেয়ালে বেড়ে ওঠা অশ্বত্থ–কতদূর তার শিকড় ছড়ায়
কেমন রাশি রাশি নেমে আসা ঝুরি-জটাগুলো ঘিরে রাখে তার সমস্ত অবয়ব! এওতো পড়ুন
কবিতা | ৫ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৬০ বার দেখা | ৮৮ শব্দ
দাগ
থাক্‌। এই দাগ। বোতল উপচে পড়া তরল আনন্দচিহ্ন।
বাতাসে মিলিয়ে গেলে ঘ্রাণ
তলানিতে স্মৃতিঅভিজ্ঞান ফুটে থাক
আরো কিছুটা সময়। ফুল টেনে নিচ্ছে প্রাণপণ গন্ধ, বাতাসের।
মলয়ার অনুতে অনুতে ভিন্ন সুর বেজে গেলে
রঙ বদলে যায় বারবার
তা কি জানে বোকাপুষ্প? রঙ পেন্সিল হাতে দাঁড়িয়েছি নোনাদেয়ালের পাশে। পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫১০ বার দেখা | ৩৮ শব্দ
দুই ফোঁটা নুন
কালরাতে
মেঘমল্লার বেজে বেজে উঠেছিলো
অঝোর কেঁদেছিলো আকাশ;
চাতকেরা বৃষ্টি ছোঁয়নি
বৈরাগ্য–ছুঁয়ে ফেলেছিল তাদের। সেই অবিরল ধারার ভেতরে অনায়াসে ঠেলে দিয়ে
হাসতে হাসতে বললে–
‘তোমাকে ঘিরে আছে আজন্ম খরা
একমাত্র জলের ভেতরেই সুন্দর তুমি’। তুমি ভিজো নি।শুধু
তোমার দু’চোখে দুই ফোঁটা নুন জমেছিলো। পড়ুন
কবিতা | ৫ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৫৭ বার দেখা | ৩৪ শব্দ
মেঘমল্লার বাজে
বাজে
মৃদঙ্গ। মেঘমল্লার। ময়ুর পেখম। কাম্যবৃষ্টি ঝরে।
বাঁশীতে বাঁধা ছিল মেঘমল্লারের সুর ;
তুই চাইলি বলে—
হাজার একর আকাশ জুড়ে বৃষ্টি নামিয়ে দিলাম।
তুই কেন ভিজলিনা তবু? হায় পিপাসার্ত মানুষ!
বরফের চাঁই ভেবে আগুন জ্বালায় সাদা পাথরের নীচে ;
পাথরে পাথর ঘষে।
আর কখনো কখনো
এই পাথুরেধোঁয়া থেকেই ছড়িয়ে পড়ে ধুপসুগন্ধীঘ্রাণ
উড়ে আসে গন্ধবিভোর চকোরেরা পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩১১ বার দেখা | ৭৩ শব্দ
আমার ক্ষেত্র নয় রণভূমি
দ্রোহ? অবিচল নিষ্ঠায় শানাচ্ছো তরবারি
শূন্যগর্ভ বাতাসে ঘুরাচ্ছো
সাঁই সাঁই শব্দে পরখ করে নিচ্ছো ধার
ঝালিয়ে নিচ্ছো হাতের নিপুনতা । জানোনা ,
প্রবল থেকে প্রবলতমে উত্তরণের লোলুপতা
কিভাবে ক্ষুদ্রতায় নিয়ে যায়। যুযুৎসু প্রতিপক্ষ নই।আমার ক্ষেত্র নয় রণভূমি। আমি যেন অবিকল
‘কাফকা’র সেই নায়কের মতো
রূপান্তরিত বিচ্ছিন্ন এক তেলাপোকা। দুই হাতে আগুনের ফুলদানী
আঁকড়ে বসে আছি
অসম্ভব যন্ত্রণার পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪১৯ বার দেখা | ৭২ শব্দ
আবার ফিরে আসবো, সাগর
সমুদ্র এমন গোঙায় কেন সারারাত
সেকি আরিথিউসার অপমানের কান্না? প্রবল জলের ভেতর সূর্যাস্তের আকাশ
কেমন নি:শেষে ঢেলে দেয় তার সোনার থালা ;
সমুদ্রে।
নিস্তব্ধ দাঁড়িয়ে থাকি সৈকতে
সামুদ্রিক পাখি আর ঈগলের চিরায়ত প্রতিশোধ প্রতিশোধ খেলা দেখি।
সাগরের বুকের গহনে খুঁজি আরেক আকাশ।
অস্থির ঢেউগুলো দেখতে দিলোনা।
কতোবার!
কতোবার!
ফিরে গেছি। জলধির কী যে টান ধীবরেরা পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪০৮ বার দেখা | ৪৫ শব্দ