ট্রেন
কু-উ-উ-উ-ঝিক-ঝিক-ঝিক—কু-উ-উ-ঝিক-ঝিক—–
চলে যাচ্ছি—-চলে যাচ্ছি—–চলে যাচ্ছি———–
ছুটে চলেছে বিশাল ড্রাগন মুখে আগুনের ধোঁয়া।
আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাচ্ছে স্টেশন—-চেনা শহরের শেষ চিহ্ন।
দু’পাশের ধানক্ষেত –ক্ষেতে কাজ করা চাষী—মাঠে চরা গরুর পাল–বাঁশী-বাজানো রাখাল-বালক—
-খাল-বিল—–নদী-
মাছের জাল আটকে রাখা বাঁশের মাচান—দূরগ্রাম—হাটুরে মানুষ;
কত দ্রুত পিছনে চলে যাচ্ছে সব—আড়াল হয়ে যাচ্ছে।
জানালা-খোলা কামরার ভেতরে জমছে কুয়াশার মতো ধুলো। জমছে স্মৃতি।শৈশব। ছুটি।ট্রেন। মামাবাড়ী।
—–“মামাবাড়ির পদ্মপুকুর গলায় গলায় জল
এপার হতে ওপার গিয়ে নাচে ঢেউয়ের দল।”
কু-উ-উ-ঝিক-ঝিক–কু-উ–উ–ঝিক–ঝিক—-
চা-বাগান–পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে ফুটে থাকা নাম না জানা ফুলের নানারঙ —অচেনা লোকালয়–
এসব দুই চোখে মেখে নিয়ে আমিও ফিরে যাচ্ছি বার বার আমার শৈশবে-কৈশোরে।
স্মৃতি থেকে খুঁড়ে তুলছি সেইসব রূপালী-বিষাদ যারা চোরা-জ্যোৎস্নার আড়ালে লুকোনো ছিল।
আর আগুনের স্তব গাইতে গাইতে একদিন ছায়াপথে মিলিয়ে গিয়েছিল যে নীলকণ্ঠ পাখীর ঝাঁক,
আজ আবার ফিরে এলো ডানায় আগুন ছড়াতে ছড়াতে।
আজ আবার মনে পড়ে গেল
এমনি এক জংশনে আমি উঠে পড়েছিলাম একটি ভুল গাড়ীতে।
টিকিট-চেকার বললো–‘এ গাড়ীতো আপনার নয়,–এখানেই নেমে যান’।
সকলেরই কি থাকে অচেনা-মাঝপথে নেমে যাবার সাহস? আমার ছিলনা।
loading...
loading...
সকলেরই কি থাকে অচেনা-মাঝপথে নেমে যাবার সাহস? আমার ছিলনা।
* কবি, ভালো থাকুন সবসময়।
loading...
অদ্ভুত সুন্দর আপনার লেখা দিদি ভাই। দুঃখ লাগে আপনি আপনার পোস্টে আমাদের মত নগণ্যদের মন্তব্যের উত্তর করেন না।
loading...
চমৎকার আবেশময় একটি কবিতা। সালাম জানবেন আপা। শুভ সকাল।
loading...