ক্যারিকেচার
এক ঢেউসমুদ্রের খুব মন কেমন করা অন্ধকারে ডুবে যেতে ইচ্ছে করে,
ইচ্ছে করে নিষিদ্ধ করে দিতে
জানালার ফাঁক গলে অনাহুত ঢুকে পড়া
আবছা চাঁদের ছড়ানোছিটানো পাপড়িগুলো।
দূরে কোথাও একটি ‘পিউ কাহা’র কুহুতান
থেকে থেকে নাহয় ডেকেই গেলো অনিবার।
যখন আগাপাছতলা দেখে নিলাম একটি সম্পূর্ণ জীবন ;
মনে হলো এই দিনযাপনের ছবিটা
উদভ্রান্ত কাঁপা হাতে আঁকা এক ক্যারিকেচার।
ঈর্ষাতুর তাকিয়ে থাকি অনিমেষ
কোথাও আঁকা হয়নি সেই অসম্ভব ছবিটির দিকে।
কতো কী যে বদলায়!
নিজস্ব অবয়ব দ্বিধাহীন উহ্য ফেলে রেখে
মহুয়ামাতাল ঘোরে
ভিন্ন কোন জীবনের ছায়াপাঠে মগ্ন হই।
চিহ্নিত হবার আগেই শরীরে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রামক-দুরারোগ্য রোগের কণিকা।
প্রতিচ্ছবি বদলে যায়, রোগাক্রান্ত এক আকৃতি ভেসে ওঠে
তবু প্রতিদিন হাসপাতালের রাস্তার এক ফার্লং দূরপথ দিয়ে হেঁটে গেছি।
জীবন ফুরিয়ে যায় যেমনতেমন;
খোলামকুচির মতো অবজ্ঞায় ফেলে দেয়া সময়ের হাহাকার তবু বেঁচে থাকে,
গোধূলির রংয়ে বেজে ওঠা বিদায়ী সানাইয়ের ধুনে
জেগে ওঠে শেষঘন্টার হা-হুতাশ;
অস্তরাগের আবীরে মাখামাখি কিছু প্রত্যাশাও
বাকী থাকে যেন।
মানচিত্রের বাইরে থেকে পৃথিবীটাকে একবার দেখে নিতে চেয়েছিলাম;
জ্বলজ্বলে লাল দাগের বাইরে যেতে পারলোনা চোখ।
loading...
loading...
‘জীবন ফুরিয়ে যায় যেমনতেমন;
খোলামকুচির মতো অবজ্ঞায় ফেলে দেয়া সময়ের হাহাকার তবু বেঁচে থাকে।’
… অনন্য সুন্দর কবিতা। শুভেচ্ছা রইলো আপা।
loading...