রৌদ্রের আড়াল থেকে ডাক শুনে শব্দহীন
নৈঃশব্দের অনির্বচনীয়তার আরণ্যক অন্ধকারে
ফোটে মৃত্যু
ফোটে মৃত্যু, গোপন, নির্বোধ
বৈতরণীর দু’পারে জেগে থাকে
পঞ্চপান্ডবের মৃত্যুর ব্যালাড
সেই পুঁথি পাঠ করে কর্ণ
আর এ-কালের যাবতীয় খাপছাড়া কণ্ঠ
বাঁশী বাজে, রবীঠাকুরের বাঁশী
তবু ঘাসে আর লোলুপ লালায়
আর দুঃস্বপ্নের শিশিরে ভেজা পারস্য গালিচায়
মৈথুনে কম্পিত হয় বাঘের শরীরের সঙ্গে সিংহীর শরীর
আমার সমুদ্রে তোলপাড় তুলে ছুটে আসে
রক্তমুখী হাঙ্গরের পাল …
আমি চেয়ে থাকি, বলি না কিছুই।
টুকরো-টুকরো জীবনের স্পর্শে আর স্বাদে
আর ঘ্রাণে আর পিপাসার মদে
ভেসে যায় আদিগন্ত অনাবিল সবুজ তরঙ্গ
নিরুপায় হাওয়ার ক্যান্সারে
ফুসফুসে জমা হয় পাপ আর গ্লানি।
কতটা আগুন হলে একটি ফাল্গুন
খান্ডবের মত জ্বলে যায়, পুড়ে যায়
ছাইভস্মে লেখে তার চূড়ান্ত ঠিকানা
জানে না সে সর্প তবু ব্রহ্মান্ড পোড়ায়
বিলাসে, বৈভবে, উদগ্র নেশায়।
ছিটকে- পড়া তারার শোকে
অন্তরীক্ষে জ্বেলে দেয় কালের লোবান
ধোঁয়ার চাদরে ঢাকা পড়ে
গোলাভরা সোনালী চাঁদের কণা
শিকড়শুদ্ধ মৃত্তিকা উপড়ে নিয়েছে কারা
এ পৃথিবী জানে তবু বলে না কখনও
সবই যেন ঘেরা থাকে স্মৃতি থেকে নেয়ায়।
loading...
loading...
কোন মন্তব্য নেই