বই গুলোর ভাগ্যে কি ঘটেছিল!
কিছু সাথে নিয়ে এসেছিলাম। ঠিক এক বছর পর ফিরে গিয়ে দেখি কিছু পোকার আক্রমনের মুখে, কিছু বেহাত। বইয়ের চেয়ে বেশি খারাপ লাগছে কিছু চিঠির জন্য। বইগুলো ইচ্ছে করলেই আবার সংগ্রহ করা যাবে অবশ্য সেই রকম ইচ্ছে নেই।
বইয়ের চেয়েও যা হারিয়েছি তা হলো, ‘চিঠি’। আমাকে লেখা অনেকেরই চিঠি ছিল। তোমারও থাকতে পারে। সেই চিঠি গুলোর ভাগ্যে কি ঘটেছিল জানি না। অবশ্য অনেকেই বলেন, তুমি তো রবীন্দ্রনাথ না যে তোমার মৃত্যুর পর তা নিয়ে বই বের হবে! আসলেই তাই। আমি তো রবীন্দ্রনাথ নই, কিন্তু আমি যে আমি। চিঠির মতো ভালো কিছু হতে পারে তা আমি মনে করি না।
আমার যৌবনে ম্যাসেঞ্জার, এস এম এস ছিল না। কতো কিছুই বলা যায় চিঠিতে, যা মুখে বলা যায় না।যে কখনো চিঠি লিখে নাই, চিঠি পায় নি সে কতো কিছু থেকে বঞ্চিত তা যদি বুঝতো! এক বিছানায় এক ছাদের নিচে থাকার পরও আমরা দুই জনও চিঠি লিখেছি একে অন্যকে! পৃথিবীতে অনেক কিছুই আছে, থাকে। সেই চিঠিতে ভালোবাসা ছিল, কান্না ছিল। আনন্দ ছিল। বিচ্ছেদ ও ছিল। কারো সাথে সম্পর্ক ভেঙে যাবার পেছনেও চিঠিরও বড় ভূমিকা ছিল, অবশ্য তিনি কখনোই বুঝতে পারেননি, এখনও নয়।
সে প্রসঙ্গ থাক। বইগুলো চাইলেই তোমাকে দিতাম। এতোদিন পর বললে ..
এখন আর বই সংগ্রহে রাখি না। পড়া শেষ হলে কাউকে দেই। অথবা বইটা শেষ করার পর সেখানে রেখে আসি, কারো ভালো লাগলে নিতে পারে। এখন একটা ভাবনার মধ্যে থাকি যা পছন্দ করে আলমারি ভর্তি করছি, চলে যাবার পর অন্যের আগ্রহ না থাকলে তা শুধু বোঝাই হবে তাদের জন্য। তা বইই হোক আর ফুল ই হোক।
এখনো অনেকের সাথে ম্যাসেঞ্জার বা এসএনএস এ অনেক কথা হয়, কি জানো আমি তা মুছে ফেলি না। একটা মজার কথা বলি, একজনের সাথে আমি বছরের পর বছর চ্যাট, ফোন এ কথা বলেছি। আমাদের দুজনের মধ্যে কম করে হলেও বিশ বছরেরও বেশী বয়সের পার্থক্য ছিল। অবশ্য আমি কখনো তার বয়স জানতে চাইনি, তিনিও। দুই জন দুই জনকে তুমি সম্বোধন করতাম। একদিন সে প্রেমে পড়ে গেল, তারপর তার সাথে বিয়ের আগে ঘন্টার পর ঘন্টা আলাপ হলো..
বাবা যে কথাটা আমাকে বলেছিলেন তা নিজের মতো করে বলেছিলাম। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সবটুকু যখন নিজের কাছে থাকে এর দায়ও নিজেই নেবে। সবাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, তুমি পারছো। তোমাকে অভিবাদন।
তারও পরে সে আমাকে বলেছিলো, আমি তোমার সাথে চ্যাট গুলো মুছে ফেলতে চাই না। আমি তোমাকে ‘আপনি’ করে লিখবো। তুমি করে বললে বা লিখলে কেউ যদি অন্য কিছু মনে করে! শুধু ‘তুমি’ দিয়েই দুই জন মানুষের সম্পর্কের পরিমাপ করা যায় না। আমার মা র মতো কতো মানুষই স্বামীকে ‘আপনি’ সম্বোধন করেই এক একটা জীবন চালিয়ে দিয়েছেন বা দিচ্ছেন।
যে কথাটা তাকে বলিনি –
‘তুমি উদার বলেই যে তিনিও হবেনই এমন তো কোন গ্যারান্টি নেই। ভালোবাসা যে সব সময় ঔদার্য দেয় এমনও নয়। অনেক সময় মানুষকে তা সংকীর্ণ, ঈর্ষাকাতর করে তোলে। সেটা প্রেমিক প্রেমিকার দোষ নয়, ভালোবেসেও পজেসিভ না হওয়াটা অত্যন্ত উচ্চ মার্গের স্ত্রী পুরুষের পক্ষেই সম্ভব।’
তোমাকেও একই কথাটি বলতে চাই।
তোমাদের দুই জনের সম্পর্কটা কিভাবে গড়ে উঠেছে, জানি না।
loading...
loading...
বিচ্ছিন্ন অথবা ছিন্ন কোন না কোন স্মৃতি জীবনে কোন না কোন অধ্যায়ে এসে ভীষণ রকমের ছায়া ফেলে যায়। মনে হয় … এই এক জীবনে কোন স্মৃতিই ফেলনা নয়। ছোপে ছোপে লেগে থাকে ভালোবাসা আর ভালোলাগার অবিচ্ছিন্ন অনুভূতির অনন্য মিশেল।
loading...
ধন্যবাদ
loading...
সুন্দর একটি লেখা পড়লাম।
loading...
ধন্যবাদ।সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা।
loading...
অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়া হলো।
loading...