দেশের নামের সাথে গণতান্ত্রিক বা রিপাবলিক লেখা থাকলেই সেই রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে এমন কোন কথা নেই। যেমন চীন।
আবার নাম মাত্র গণতান্ত্রিক দেশের বেশিরভাগ দেশের জনগন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। কোথাও আগের রাতে ভোট হয়, আবার কোথাও প্রতিপক্ষকে মামলা দিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ থেকে বিরত রাখা হয়, এমনকি মেরেও ফেলা হয় যেমন রাশিয়া। চীনের নামের সাথে পিপলস রিপাবলিক লেখা থাকলেও ঐখানে সাধারণ পিপলের ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। এমনকি যে কেউ ইচ্ছে করলেই পিপলস পার্টির সদস্য হতে পারে না। পিপলস পার্টির সদস্য হতে হলে এলিট শ্রেণীর বা পরিবারের সদস্য হতে হবে। সেই দেশের সাধারণ জনগণের ভোট দেওয়ার ইচ্ছা খুব প্রবল, একটা উদাহরণ দেই …
জাপানের কিছু আইডল গ্রুপ আছে এই গ্রুপ গুলো জাপানের বাইরেও খুব জনপ্রিয়। সেরকম একটা গ্রুপ হচ্ছে AKB 48, নামের মতোই এই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৪৮ জন। সবাই মেয়ে। এই গ্রুপের সবচেয়ে মাঝখানে কে থাকবে তা নির্বাচন করা হয় ফ্যানদের ভোটে। ভোটার হতে হলে সিডি কিনে ব্যালট সংগ্রহ করতে হবে। যেহেতু চীন দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেন না। তাই ইয়াংদের মধ্যে AKB48 এর মধ্যমণি নির্বাচন খুবই উৎসব মুখর হয়ে থাকে।
আমেরিকার নাগরিক না হয়েও আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠা মানুষের মধ্যে নিজ দেশের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারার বেদনাও আছে। ইনবক্সে বা টাইম লাইনে ট্রাম্প এর বিকৃত ছবি, মুভি বা কার্টুনও পাঠিয়েছেন। যেখানে নিজের দেশের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে দুই কলম লিখতে পারবেন না সেখানেই এই প্রবণতা প্রবল।
ট্রাম্পের বিকৃত ছবি বা ভিডিও ক্লিপ যারা পাঠিয়েছেন তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, বাইডেন এর অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বা পররাষ্ট্র বিষয়ে কিছু জানেন কি না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা জবাব দেন নাই।
আমি একটা কথা বলি, যে যাই বলুক “আমেরিকা ইজ রিয়েলি গ্রেট”। আমেরিকান ড্রীমের লক্ষ্যে মানুষ আমেরিকায় স্থায়ী হতে চায়, চীনে নয়। এমনকি চীনারাও।
আমেরিকা দূর্বল হলে উন্নয়নশীল দেশ গুলোই সবচেয়ে সমস্যার সম্মুখীন হবে। সেই সাথে আমেরিকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় আসলে পৃথিবীর অন্য দেশেও গণতান্ত্রিক স্বৈরাচার এর জন্ম নিবে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সমগ্র বিশ্বকে নেতৃত্ব দেন একথা ভুলে গেলে চলবে না। বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও আমেরিকার ৮০% মানুষ করোনা পরবর্তী অর্থনীতি উদ্ধারে ট্রাম্পকেই যোগ্য মনে করেন। আবার ঠিক একই সংখ্যক মানুষ বাইডেন করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল হবেন বলে মত দিয়েছেন।
loading...
loading...
গণতান্ত্রিক দেশের বেশিরভাগ দেশের জনগন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না … যেমন বাংলাদেশে। দূর মার্কিন রাজ্যের ইলেকশান বা গণতন্ত্র চর্চার যত বড়সরো বুলি যে যতই কপচাক না কেন … যে যায় লঙ্কায় সে-ই হয় রাবণ।
দিনশেষে আমরা সেই আমরাই।
loading...
সত্যি কথা
loading...
বেশ ভালো লাগলো
loading...
ধন্যবাদ
loading...
দুনিয়ার হালচাল এরকমী
loading...