অনিমেষকে প্রায় প্রতিমাসেই একবার সাড়ে তিনশ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। সুপর্নার কাছে ব্যাপারটা অজানা। কাল যখন সুপর্নার সাথে ফেসবুকে চ্যাট করছিলো তখন সে নিজের মধ্যে ছিলো না। অনিমেষ এর টেক্সট দেখে সুপর্নাও বুঝতে পারে না।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই ক্লায়েন্ট এর কাজ শেষ করে হোটেলের কাছেই এক সুপার মার্কেটে গিয়ে কেনা কাটা করতেই মনে পড়লো এই সুপার মার্কেট এর পয়েন্ট কার্ড 💳 করা হয় নাই।
সে ভাবে এই ফাঁকে কার্ডটা করে নিলেই হয়। ভেবেই চলে গেল সুপার মার্কেটের সার্ভিস কাউন্টার এ। এক সুন্দরী সেলসষ্টাফ অনিমেষ এর সাহায্যে এগিয়ে এলো। কথা শুরু করতেই অনিমেষ সেই মহিলার মুখের গন্ধ সহ্য করতে পারলো না। তাঁর পয়েন্ট কার্ড করার ইচ্ছেই উবে গেল।
অনিমেষ এর মনে পড়ে গেল ২০১৪ সালে পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হলে টোকিও তে গিয়েছিল নতুন পাসপোর্ট করতে। শিনজুকুর হোটেলের কাছেই অনেক খাবার এর দোকানের মধ্যে ভারতের খাবারের দোকানে রাতের খাবারটা সেরে নেবে ভেবেছিলো। দোকানের সামনে যেতেই এক ভারতীয় খুব ভালো করে ক্রেতাদের ডাকছে। তার কথা শুনতে অনিমেষের নাকে সেই লোকের বগলের উদ্ভট গন্ধ ভেসে এলো অনিমেষের নানরুটি আর চিকেন খেতেই ইচ্ছে হলো না। পাশের থাই খাবারের দোকান থেকে রাতের খাবার সেরে নিল। পরদিন বাংলাদেশে এমবেসি থেকে ফেরার পথে মেগরু ষ্টেশানে এক নেপালী রেষ্টুরেন্টে আগের রাতের ভারতের খাবার খাওয়ার ইচ্ছেটা পুরন করলো।
আজ সকালের সার্ভিস কাউন্টারের সেই ঘটনার পর অনিমেষ সুপর্নার চুমু খেতে চাওয়ার ম্যাসেজ পেলো। অনিমেষ এর হাতে সময় কম থাকায় একটা সস্তা চুল কাটার দোকানে গেল এক হাজার আশি ইয়েন দিয়ে পনেরো মিনিটে চুল কাটলো। বাইশ বছর ধরে এই দেশে থাকলেও এই রকম দোকানে দ্বিতীয়বার চুল কাটলো সে।
এরপর সে হোটেলের কাছেই এক অনসেন এ গেল। ছয়শ আশি ইয়েন এর টিকেট কেটে স্নান করতে ঢুকে গেল। অনসেন এ বড় বড় বাথটাব অনিমেষ লক্ষ্য করলো অনসেন এ এক চল্লিশ এবং বিয়াল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর দুটো বাথটাব। এই সব অনসেন এ জন্মদিনের পোষাকে যেতে হয়। শরীরে কোন প্রকার কাপড় রাখা চলে না। বাইশ বছরে অনিমেষ এইসবে অব্যস্ত হয়ে গেছে। স্নান শেষ করে সে ৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর সাউনাতে অনেক কষ্টে পাঁচ মিনিট পার করলো। আজ সুপর্না তাঁকে চুমু খেতে ডেকেছে। কোথাও কোন অপ্রিয় গন্ধ রাখা চলবে না।
অনিমেষ সুপর্নার চুমুর কথা ভাবতে থাকে…
loading...
loading...
সুপর্নার প্রতি অনিমেষ এর এই নির্মেদ ভালোবাসার অণুগল্প যদি আরও খানিকটা বিস্তারিত হয়ে অণু না হতো বা হয়ে আসতো … তাহলে কিন্তু কয়েকটি ছক্কা হাঁকিয়ে ফেলতেন স্যার।
লিখেন না লিখেন না … করে করে যখন কিছু লিখে ফেলেন …
লিখা গুলোন কিন্তু অসাধরণ হয়ে যায়। ভেরি গুড জব।
loading...
মোবাইল থেকে এর বেশী লিখা কষ্টের
loading...
loading...
না। অপ্রিয় গন্ধ রাখা চলবে না। অনিমেষ সুপর্নার কথা ভাবতে থাকে… হুম।
তারপর কি হলো দাদা !! ভুলে যাবেন না যে জানাতে হবে।
loading...
তারপর আর একদিন বলবো কি হয়েছিল
loading...
সেলসষ্টাফ মহিলার মুখের দূর্বাস অনিমেষকে সতর্ক করে তুলেছে মনে হলো। সুপর্না'র জন্য কোথাও কোন অপ্রিয় গন্ধ রাখা চলবে না এটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাস জীবনের যাপিত অণুকথা পড়ত বেশ লাগে মিতা ভাই। দারুণ।
loading...
ধন্যবাদ
loading...
বাহ্ বেশ অসাধারন গল্প,,,শুভেচ্ছা জানবেন
loading...
loading...
* সুন্দর…
loading...
loading...
এক সুন্দরী সেলসষ্টাফ অনিমেষ এর সাহায্যে এগিয়ে এলো। কথা শুরু করতেই অনিমেষ সেই মহিলার মুখের গন্ধ সহ্য করতে পারলো না। তাঁর পয়েন্ট কার্ড করার ইচ্ছেই উবে গেল। —– হাসতেই আছি


loading...