তিনঃ
– আমি আসছি।
ছোট দুই ভাইবোনকে বসতে বলে প্রমিতি ওর মার খোঁজ নিতে গেল। তিন কক্ষ পরেই। আলতো করে দরজা খুলে সে ভিতরে প্রবেশ করলো। তিনি গভীর ঘুমে। এসির রিডিং ১৮ থেকে ২১ করে প্রমিতি দরজার দিকে পা বাড়াচ্ছিল। মায়ের মুখমণ্ডলে তার চোখ আটকে গেল। সফেদ চুলগুলি এলোমেলোভাবে তাঁর কপাল দখল করে নিয়েছে। নিজের মায়ের এই অপার সৌন্দর্য সে মন ভরে দেখল। “ঈশ্বরও বুঝি এমন রুপে মুগ্ধ থাকেন” -প্রমিতি মনে মনে বললো।
মিনিট সাতেক পর প্রমিতি বৈঠকে ফিরলো।
আটশ বছর আগে ডায়েরিতে মার লেখা কথাগুলি সে তার ভাইবোনকে পড়ে শোনাচ্ছে। কোনটা শোনাবে কোনটা শোনাবেনা তা সে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল।
-বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমাজ এবং শ্রেণিতে এই প্রেম ও বিয়ের বিষয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি হয়ত ভিন্ন ছিল। কিন্তু সর্বকালেই নারীরা তাদের মাতৃত্বকে সব কিছুর ওপরে রেখেছে। প্রায় আটশ বছর আগে আমাদের মা যখন রাণী ছিলেন তখনও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সেজন্যই হয়তো তাঁর এই আটশ বছরের অপেক্ষা!
প্রমিতির ডায়েরি পড়া শেষ হলে মিতি মন্তব্যটা করে।
দ্বিতীয় ডায়েরিটা খুলতে যাচ্ছিল। দরজায় মৃদু নক শুনে প্রমিতি থামল। আরিয়ান দরজা খুলে দিয়েছে। বাইরে তারামন দাঁড়িয়ে। চা বা কফি লাগবে কিনা জানতে এসেছে। সে ঘুমিয়ে পড়বে।
অতঃপর প্রমিতি দ্বিতীয় ডায়েরিটা খুললো; সাথে ওটার জন্য কার্বন ডেটিং এর সনদও। প্রথম ডায়েরিটার মতো একই হাতের লেখা। তবে এটা আড়াইশ বছর আগের।
“আঠারোশ আটষট্টি সালের কথা”।
প্রমিতি তার মায়ের দ্বিতীয় জন্মের কাহিনি বলা শুরু করলো।
“তিনি ময়মনসিংহ এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে ছিলেন। টমটমে করে মহাবিদ্যালয়ে যেতেন। মধ্যবয়সী এক লোক সেই টমটম চালক ছিল। লোকটা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রাম থেকে তারই আপন ভাতিজা নতুন চালক হয়।“
এটুকু বলে প্রমিতি থামে। জল খেয়ে নেয়।
-আমি বরং ডায়েরিটা তোদের পড়ে শোনাই
-আচ্ছা দিদিয়া।
মিতি সায় দেয়।
সাইড টেবিল থেকে চশমাটা নিয়ে প্রমিতি দ্বিতীয় ডায়েরি পড়া শুরু করে।
“নতুন চালককে দেখিয়াই আমার ভিতরটা যেন কেমন করিয়া উঠিল! পরে অবশ্য ইহার হেতু বুঝিয়াছি। তাঁহাকে চিনিতে আমার বেগ পাইতে হয়নাই। বেশ কয়েকদিন আমি তাঁহাকে হাবেভাবে বুঝাইতে চেষ্টা করিয়াছি যে, গত জন্মে আমরা দুইজন দুইজনের ছিলাম। কিন্তু সে কিছুই মনে করিতে পারিতেছিলনা। যখন কোন ভাবেই কাজ হইলোনা; তখন বিষয়টা লইয়া তাঁহার সহিত আরও গভীরভাবে আলাপ করিবার প্রয়োজন বোধ করিলাম। একদিন নিরলে বসিয়া নিকট অতীতে দেখা আমার একটা স্বপ্নের কথা তাঁহাকে বলিলাম, যেখানে এই জন্মে তাঁহার সাক্ষাৎ পাইবার ঘটনা ছিল। সেই ঘটনার সহিত তাঁহার এই চাকরিতে যোগদান কাহিনির সম্পূর্ণ মিল রহিয়াছে। যাহা হউক, আমি তাঁহাকে বলিলাম যে, সেই স্বপ্ন অনুযায়ী তাঁহার ডান হাটুর ভিতরের দিকে বোতামের সমান ভ্রমরকালো উঁচু ত্বক থাকিবার কথা যেখানে অস্বাভাবিক কিছু চুলও রহিয়াছে। ইহা তাঁহার আগের জন্মে ছিলনা। অবিকল একই জিনিস একই জায়গায় আমার এই জন্মে আছে; আগের জন্মেও ছিল। ইহা বলিয়াই আমি এদিক সেদিক তাকাইলাম এবং আমার ভ্রমর-কালো ত্বকটা তাঁহাকে দেখাইলাম। সে বিস্মিত হইল এবং হঠাৎ যেন তাঁহার মাথা খুলিয়া গেল। সে বলিল, মনে পড়িতেছে সেই জন্মে আপনি রাণী ছিলেন এবং আপনার সাড়ে চার বছরের একজন কন্যা ছিল। ইহাতে আমি খুব আনন্দিত হইলাম এবং মৃদু স্বরে বলিলাম, পাইয়াছি”!
ওইটুকু পড়ে প্রমিতি দম নিল। হাত থেকে ডায়েরি রেখে সে বললো,
– বাকি অংশ সংক্ষেপে বলি। ঘটনাটার এক পক্ষকাল পর সেই যুবক চালক অজানা কারণে নিখোঁজ হয়ে যায় এবং কোথাও তাকে আর পাওয়া যায়না।
এরপর প্রমিতি তৃতীয় ডায়েরিটা হাতে নিল। ওতে মূলত গত তিন বছরের কথা লেখা আছে। জুন ২০১৬ থেকে।
-এই ডায়েরিটা আমাদেরকে পড়ে শোনানোর দরকার নাই। আরিয়ান মন্তব্য করলো।
তবে একটা প্রশ্ন আমার মাথায় ঘুরছে দিদিয়া
-কি ভাই?
-বিশাল বড় টাইম পিরিয়ডে তিন জন্মের তিনটা ডায়েরি মার কাছে কেমনে এলো?
-এটা আমার অনেক পুরান একটা প্রশ্ন। মাকে করতে পারিনি। পাছে স্পর্শকাতর কোন ভুল হয়ে যায়। যাহোক কার্বন ডেটিং এর পর আমার প্রশ্নটা নাল এন্ড ভয়েড হয়ে যায় এই জন্য যে, বিজ্ঞান নিশ্চিত করেছে একই হাতের লেখা আটশ বছরব্যপি ছিল! তাই অন্যসব বিস্ময় নস্যি হয়ে গেছে!
-দিদিয়া, তুমি কি পুনর্জন্ম বিশ্বাস কর? মিতি প্রশ্ন করে
-আবারও একই কথা বলি, যা প্রত্যক্ষ করেছি তা অস্বীকার করি কেমনে? তবে তোর প্রশ্নটা আমি বুঝতে পেরেছি। আমি ধারণা করি, প্রত্যেকটা মানুষেরই পুনর্জন্মের ইতিহাস বা স্মৃতি আছে। আমার, তোর, সবার। অধিকাংশ মানুষের সেই স্মৃতি শতভাগ ঢাকা পড়ে থাকে। মিতি, হয়তো তোরটাও তাই। কেউ কেউ আবছা আবছা কিছু ঘটনা চোখে ভাসাতে পারে; কিন্তু সেটা নিছক ভ্রম কিনা তা রুল আউট করতে পারেনা। তবে এই মনুষ্যকুলের অতি ক্ষুদ্র একটা অংশ হয়তো আগের জন্মের কিছু স্মৃতি স্পষ্ট করতে পারে! আমাদের মা সেটাই করছেন।
চারঃ
বাংলো বাড়িটাতে ওরা সাধারণত আনন্দ করতে আসে। আজ ভরা পূর্ণিমা। অথচ ছাদে বসে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইবার বদলে ওরা ক্লোজড ডোর বৈঠক করছে।
প্রমিতির মোবাইল বেজে ওঠলো।
-তোরা বস; আমি আসছি
প্রমিতির স্বামী ফোন দিয়েছে। স্বামীস্ত্রীর প্রেম নিয়ে ছোট দুই ভাই বোন সুযোগ পেলেই মজা করে। এই ফাঁকে মিতি ওঠে গিয়ে তিন কাপ চা করে নিয়ে এলো। প্রমিতি ফিরে এলে শুকনা মুড়ি দিয়ে তিন ভাই বোন চা খেল।
-যে লোকটার কথা দিদিয়া তুমি এবং মা জানো সেইই যে আটশ এবং আড়াইশ বছর আগের সেই লোক এটা নিশ্চিত করলে কেমনে? চা খেতে খেতে আরিয়ান প্রশ্ন করলো।
-তোদেরকে আমি অবিশ্বাস্য যে কটি প্রমাণ দেখিয়েছি ওরকম কিছু সেই লোকটার কাছেও আছে। প্রায় বছর তিনেক আগে কাকতালীয়ভাবে লোকটার সাথে মার অনলাইনে যোগাযোগ হয়। তখন দুজনের ভিতর অদ্ভুত কিছু অনুভুতি কাজ করে। সেই সময় থেকে উনারা কথা বলেন এবং একে অপরের সাথে সবকিছু মিলিয়ে নেন।
-উনি এখন কোথায়?
-সেটা এখন অনুল্লেখ থাক আরিয়ান। বিষয়টা নিয়ে আমরা পজেটিভ্লি আগাবো কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেয়া এখন জরুরি। প্রমিতি জবাব দেয়।
-সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমরা পজেটিভ না হওয়া মানে প্রকারান্তরে গত আটশ বছরের যন্ত্রণার বোঝা মায়ের কাঁধেই রেখে দেওয়া। আরিয়ান মন্তব্য করে।
-হুমম। মিতি সায় দেয়।
পাঁচঃ
ভোর হতে বেশি বাকি নেই। বৈঠক আপাতত শেষ। প্রমিতি মনে করছে, প্রাথমিকভাবে একটা কার্যকর সিদ্ধান্তে পৌঁছা গেছে। এরপর সময় নিয়ে পরবর্তী পরিকল্পনা করতে হবে। একই সাথে প্রমিতির এই আশংকাও হচ্ছে যে, মিতি যে রকম মা-ভক্ত এবং আবেগপ্রবন মেয়ে; শেষে সে আবার বেঁকে না বসে। যাহোক, যে যার কক্ষে চলে যাচ্ছিল। ওদেরকে আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলে প্রমিতি আবার মায়ের কক্ষে গেল। সে জানে, এইসময় তার মা লোকটার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলেন এবং তারপর নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে যান।
প্রমিতিকে দেখে সুতনুকা হেড ফোন খুললো। তার আগে অবশ্য তিনি অন্যপাশকে একটু লাইনে থাকতে বলেছেন।
-তোমার অনুমতি ছাড়াই আটশ বছরের কিছু কথা মিতি এবং আরিয়ানের সাথে শেয়ার করেছি। প্রমিতি খুব নিচু স্বরে ওর মাকে বলে।
-আচ্ছা। মা সুতনুকা নিহিয়াল মুচকি হেসে জবাব দেন।
-ওদেরকে ডাকি মা?
-ডাকো। খুব শান্ত কন্ঠে সুতনুকা সম্মতি জানান।
মিনিট খানেকের মধ্যে মিতি এবং আরিয়ান তাদের মায়ের কক্ষে প্রবেশ করে। তিনি নীল সুতি শাড়ি এবং খোঁপায় হাস্নাহেনার মালা পরে ল্যাপ্টপের সামনে বসে আছেন। কপালে বড় লাল টিপ। মায়ের এমন স্বর্গীয় রুপ তারা যেন আগে কখনো দেখেনি।
অন্যপাশে সাদাকালো পাঞ্জাবি পরা একজন বয়স্ক লোক। হাত নেড়ে দুপাশ দুপাশকে গ্রিট করলো। দুইভাই বোন খেয়াল করল, লোকটার কপাল বেশ প্রশস্ত; ফিনফিনে চুল হাওয়ায় উড়ছে। তাঁর গলার বাম পাশে জীবন্ত নীল প্রজাপতির মত অদ্ভুত একটা জন্মদাগ যা প্রথম এবং দ্বিতীয় ডায়েরিতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে!
হঠাৎ কী মনে করে যেন প্রমিতি আটশ বছর আগের ডায়েরিটা আবার খুললো। এরপর ওটার একটা পাতা বের করে তার দুই ভাইবোনকে পড়তে দিল। সেখানে সবিস্তারে এক শিশু কন্যার বিবরণ লেখা যার সাথে মিতির বিস্ময়কর সব মিল আছে!
“আ—বা—রো?!”,
এক অজানা আশংকায় আরিয়ান বিড়বিড় করলো!
————————
প্রথম পর্বের লিঙ্কঃ পরাবাস্তব কাহিনি নিয়ে লেখা দুই পর্বের গল্পঃ তিন জন্মে (১)
'আমি ধারণা করি, প্রত্যেকটা মানুষেরই পুনর্জন্মের ইতিহাস বা স্মৃতি আছে। কেউ কেউ আবছা আবছা কিছু ঘটনা চোখে ভাসাতে পারে; কিন্তু সেটা নিছক ভ্রম কিনা তা রুল আউট করতে পারেনা। তবে এই মনুষ্যকুলের অতি ক্ষুদ্র একটা অংশ হয়তো আগের জন্মের কিছু স্মৃতি স্পষ্ট করতে পারে!।'
পরাবাস্তব নিয়ে ঠিক ভালো কোন আইডিয়া আমার নেই। কিছুটা হলেও নিজের সাথে মেলালাম। সূক্ষ্ম দৃষ্টি কপালে ভাঁজ ফেলে কিছু ইয়াদ করার চেষ্টা নিলাম। ছায়া আসে না।
লিখাটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ মি. মিড ডে ডেজারট। ধন্যবাদ।
loading...
"পরাবাস্তব নিয়ে ঠিক ভালো কোন আইডিয়া আমার নেই। কিছুটা হলেও নিজের সাথে মেলালাম। সূক্ষ্ম দৃষ্টি কপালে ভাঁজ ফেলে কিছু ইয়াদ করার চেষ্টা নিলাম।"—-পরোক্ষভাবে এখানে যেন লেখাটার সার্থকতা খুঁজে পেলাম!
মন্তব্যে মুগ্ধ হয়েছি মিঃ মুরুব্বী!
loading...
স্বপ্ন আর জাগরনের মধ্যে যে বিরোধ সেটাই পরাবাস্তবতা। এখানে এমন সব চিত্রকল্প সৃষ্টি হয় যা কিনা বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না। যেমনটা অবচেতন মনের প্রভাবে যে সব ইমেজ আমরা স্বপ্নে দেখে থাকি, তখন চিন্তার প্রবাহ যুক্তির পথ ধরে চলে না। কিন্তু একটা সময়ে এই স্বপ্নকে বাস্তবের সঙ্গে অংকিত করতে হয়। করতে হয় নয়, অংকিত হয়ে যায়।
loading...
ঠিক তাই! অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি!
loading...
যাক শেষ পর্যন্ত একটি যুক্তির অবয়ব তাহলে দাঁড়িয়েই গেলো।
loading...
মন্তব্যে খুশি হয়েছি! অশেষ ধন্যবাদ !
loading...
এখনও পরাবাস্তবতার (ভার্চূয়াল রিয়েলিটি) দৌড় কল্পবিজ্ঞানেই সীমাবদ্ধ। পরাবাস্তবতার বৈশিষ্টই হলো এতে ইন্দ্রিয়ানুভূতি গুলোন পাওয়া যায়। পরাবাস্তবতা হলো বাস্তবতার একটা ডিজিটাল প্রতিরূপ, যেখানে একটা সিমুলেটেড (ঠিক ভেবে পাচ্ছি না বাংলা পরিভাষাটা কি হবে) পরিবেশে ব্যবহারকারীরা নিজেদের ইন্দ্রিয় – অনুভবগুলোন টের বা ব্যবহার করা যায় ঠিক সত্যিকারের মতো। অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ডেজারট ভাই।
loading...
পরাবাস্তবতার একটা বড় সংজ্ঞা পেলাম। অশেষ ধন্যবাদ সুকবি!
loading...
ছোট ছোট বাক্যে উপস্থাপন দারুন লাগে আমার কাছে।
loading...
মন্তব্যে মুগ্ধ হয়েছি। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে!
loading...
ইম্প্রেশনিস্টিক লেখাটি দারুণ হয়েছে প্রিয় মিড দা। অভিনন্দন জানাই।
অনেকটা ছোঁয়ার মত। ধরা নয়।
loading...
দারুণ মন্তব্য। মুগ্ধ হলাম দিদি!
loading...
দুই পর্বই বেশ চমৎকার লেগেছে আমার কাছে,,
শুভেচ্ছা জানবেন শ্রদ্ধেয় প্রিয় কবি
loading...
পুরো লেখার স্বীকৃতিতে আনন্দিত হয়েছি। অশেষ ধন্যবাদ!
loading...
পরাবাস্তবতার মূল সংজ্ঞাটা মূলত নিজের অন্তর্দৃষ্টি। একজন গভীর ভাবনায় নিমজ্জিত লেখকই পারেন সেখানে পৌঁছাতে। একজন্ম থেকে আরেক জন্মের ব্যবধান শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনা কেবল একজন কল্পনাবিলাসী লেখকের পক্ষেই সম্ভব ।
এ গল্পে সুতনুকা নিহিয়ালের জীবন, তাঁর তিন জন্মের ব্যাখ্যা থেকে পাঠক আকৃষ্ট হবেন অন্তরের আকুলতা ধরে । নিজেদেরকে এভাবেই অন্য জগতে আবিষ্কার করার এক অভিনব কৌশল খুঁজবে পাঠক আজীবন।
গল্পটি মারাত্মক সুন্দর ।
loading...
অসাধারণ মন্তব্য, সাথে স্বীকৃতি এবং কমপ্লিমেন্টে ভীষণ আনন্দিত হয়েছি!
অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা রইলো!
loading...
সুন্দর একটা গল্প পড়লাম। দুই পর্বের লেখনীর সাথে গল্পের শেষাংশও সুন্দর । ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।
loading...
মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম।
অশেষ ধন্যবাদ!
loading...
পরাবাস্তব কাহিনী নিয়ে লেখা দুই পর্বের গল্পঃ তিন জম্মে (১) পড়লাম।
—— সেখানে সবিস্তারে এক শিশু কন্যার বিবরণ লেখা যার সাথে মিতির বিস্ময়কর সব মিল আছে।
" আ —বা –র?!"
এক অজানা আশঙ্কায় আরিয়ান বিড়বিড় করলো!
অসাধারণ উপাস্থাপন করেছেন প্রিয় কবি মিড ডে ডেজারট।শুভ কামনা।
loading...