কি, হিংসে হয়? আমার মতো হতে চাও ?
মদ খাও মানুষ হও।
.
বর্তমান সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে যাওয়া ডায়লগ/ট্রলের জন্মদাতা সেফাত উল্লাহ (সেফুদা) এর সব অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ বিশ্রী ভাষা আর মদ খাওয়া চিত্র গুলোকে কেনো আমরা ধারণ করছি ? আক্রান্ত হচ্ছি কেন ?
.
তার সম্পর্কে কতটুকু জানি আমরা ? নাকি আদতে কিছুই নাহ! হয়তো জেনে শোনে’ই তাকে অনুসরণ করছি!
.
ইউটিউবে ঝড় তুলা একটা ভিডিওতে সেফাত উল্লাহর স্পিক শোনলাম ‘পৃথিবীর কোনো ধর্মেই সে বিশ্বাসি নাহ’। এমনকি ইসলাম ধর্মতেও নাহ’।
.
মহা গ্রন্থ পবিত্র আল কুরআন, বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদ (সঃ)কেও বিশ্রী ভাষায় যাচ্ছে তাই গালাগাল করছে। যে স্রষ্টার সৃষ্টি (ধর্ম) বিশ্বাস করেনা, নামধারী মুসলমান হয়েও ইসলামধর্ম মানেনা, সে নাস্তিক নয় কী ?
.
এতসব পেছনে ফেলে রাজনৈতিক/সেলিব্রেটিদের গালির সাগরে ডুবিয়ে দিচ্ছে দেখে যারা তাকে বাহ বাহ দিচ্ছি তারাই বা কোন ধর্মের ? কেমন মানুষ? নাকি তারাও বোতলমারা পাবলিক!
.
যে মহা গ্রন্থ আল কোরআন মানেনা সে নিজেকে মহা পণ্ডিত দাবী করে। সুন্নি বলে দাবী করে। পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মের কবি সাহিত্যিকরা যেখানে কোরআনের ভাষার মাধুর্যতার কাছে হার মেনেছে অতঃপর তারা কবি, সাহিত্যিক। অন্যদিকে সেফাত উল্লাহর সেসব কথা আমরা মহৌষধ মনে করে গলাধঃকরণ করছি।
.
ব্যাপারটা আরেকবার বলি:- যে বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদ( সঃ) কে গালি দেয় সেই আবার হাদীসের কথা শোনায়,অন্য ভিডিওতে দেখলাম সেফাত উল্লা হজ্জে যাচ্ছে/গিয়েছে! কি লাভ তাতে, সে তো কোনো ধর্ম মানেনা।
.
অনেকে বলবে ‘পাগলে কি না বলে আর ছাগলে কিনা খায়’। তবে পাগলের পাগলামোরও একটা লিমিট থাকা চাই। যদি আনলিমিটেড হয় তাহলে তার স্থান পাগলাগারদে হওয়া উচিৎ। নাহ অস্ট্রিয়ায় হয়তো পাগলাগারদ নাই।
.
আরেক ভিডিওতে দেখলাম যারা(সেফাত) এর মাকে তুলে গালি দিয়েছিলো সে কোনোরূপ প্রতিবাদ ছাড়াই তাদের শান্তশিষ্ট ভাবে (মাকে তুলে গালি দিওয়োনা, তোমারো তো ঘরে মা বোন আছে) ইত্যাদি অসাধারণ লজিক দ্বারা বুঝাচ্ছে। ঐ লজিক’টা জাস্টিফাই করলে দেখবেন, লজিকটা বরাবর ঠিক।
.
কিন্তু সমস্যা হলো লজিক ছাড়া আমারা কোনো কিছুই আমলে নিইনা। কোনটা বুলি, কোনটা গালি!কোনটা হালাল কোনটা হারাম! কে মানুষ। আর কে মানুষরূপী অমানুষ। সেফাতের বেলায় ও নাহ।
.
ব্যাপারটা বুঝুন সেফাত উল্লাজ নিজেই অন্যর মাকে অশ্লীল ভাষায় গালি দেয়। আবার লজিক দেখায়। ব্যাপারটা ভূতের মুখে রাম নাম শোনার মতো হয়ে গেলো না?
.
তাকে গালিবাজ বললে চলবেনা, লিডার অব বেড নেমার, কিংবা নির্ভুল একটা গালির ডিকশনারি। অভদ্র ইতর প্রকৃতির মানুষরূপী অমানুষ।
কুরআনে মহান আল্লাহ মুমিনদের ভদ্রতা শিক্ষা দিয়ে বলেছেন-
“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কোনো দল যেন অপর কোনো দলকে উপহাস না করে। কেননা, যাদের উপহাস করা হল তারা উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং নারীরা যেন অপর নারীদের উপহাস না করে। কেননা, যাদের উপহাস করা হল তারা উপহাসকারীনী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরকে দোষারোপ করো না এবং মন্দ নামে ডেকো না। ঈমানের পর ফুসূক অতি মন্দ। যারা তওবা করে না তারাই যালেম।” (সূরা হুজুরাত : আয়াত-১১)।
.
মুমিনের পরিচয় দিতে গিয়ে এক হাদীসে মহানবী সা.বলেন, মুমিন কখনো দোষারোপকারী, অভিশাপকারী, অশ্লীল ও গালিগালাজকারী হয় না। (জামে তিরমিযী হাদীস : ২০৪৩)।
.
অতঃপর মানুষের বাচ্চা হয়েও আর কারা সেফাত উল্লাকে নিয়ে প্রাউড ফিল করবেন! আইকন অব জেনারেশন বলবেন! তার ভণ্ডামি গুলোকে লিজেন্ডারি ভাববেন! তার মতো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করে বোতল মেরে মেরে বলবেন…
.
”কি হিংসে হয়? আমার মতো হতে চাও ?’
মদ খাও মানুষ হও।
loading...
loading...
দুঃখজনক একটি চরিত্র। তাকে আমার ভারসাম্যহীন অমানুষ মনে হয়।
শব্দনীড় এ আপনাকে স্বাগতম মি. সাব্বির। ভালো থাকবেন।
loading...
আমার মনে হয় লোকটা ধান্ধা করতেছে,
loading...
আলবৎ। এখানে কোন সন্দেহ নাই। তিনি আলোচিত হতে চাচ্ছেন।
loading...
অদ্ভুত এই এক লোক। ইদানিং বেশী পরিমাণে আলোচনা দেখছি সামাজিক মাধ্যমে। আপনার পোস্টে আরও বিশদ জানলাম। স্বাগতম দাদা।
loading...
ধন্যবাদ আপু
loading...