৭৬।
এখানে বসে আরও কয়েকটা পাব দেখা যাচ্ছে ভিতরে মৃদু বাজনার শব্দ আসছে। আজ মঙ্গল বার তাই ভিড় নেই। হাতের সিগারেটটা শেষ হলে ফেলে দিয়ে এবারে উঠে দাঁড়ালেন। রেস্টুরেন্টে ঢুকার পথে কিচেনের ভিতর দিয়ে ঢুকতে হয়। তাকে দেখেই বলে উঠলো কি ভাই সাহেব কোথায় গেছিলেন? রাশেদ সাহেব সারা দিনের ফিরিস্তি দিলেন। এখানে এসে ইফতার করে যেতে পারতেন, ক্ষুধা লেগেছে কিছু খাবেন? আমতা আমতা করে বললেন-
-হ্যাঁ দিবেন কিছু?
-কি খাবেন?
-যা দিবেন তাই।
-তাহলে একটা নান খান।
মারুফ একটা নান বানিয়ে তন্দুরির ভিতরে ঢুকিয়ে জিজ্ঞেস করল-
-কি দিয়ে খাবেন?
-যা দিবেন তাতেই হবে ঘরের বাইরে যখন এসেছি তখন আর কোন চাহিদা নেই যা দিবেন তাই আলহামদুলিল্লাহ।
সেই সেদ্ধ করা ভেড়ার কিমা দিয়ে তাদের এই বিলাতি কায়দায় একটু নেড়ে চেড়ে কি একটা করে বললো—–নেন খান।
-এটা কি দিলেন?
-এটা হলো কিমা ভুনা।
-ও আচ্ছা তা আসেন আপনারাও আসেন!
-না আপনে খান আমরা খাইছি
-বেয়াই সাহেব শুনছেন কাল ঈদ!
-তাই নাকি? বেশ তা হলে ঈদ মোবারক সবাইকে।
-কোথায় যাবেন ঈদের দিন?
-কেন কাল কি বন্ধ নাকি?
-হ্যাঁ দিনের বেলা বন্ধ তবে রাতে খুলবো।
-না ভাই আমি কোথায় যাব এখানেই ঘুরা ঘুরি করবো আজকের মত, আপনারা কি করবেন?
-আজকে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে আমরা সবাই লন্ডন চলে যাব, আসাদ মিয়া যাবে অক্সফোর্ড তার ভাইয়ের কাছে শুধু কবির থাকবে।
-কেন কবিরও কি আমার মত নাকি?
-না ওর অনেকেই আছে তা উনি কোথাও যাবেনা, আপনের জন্যে ভালো হবে একা একা থাকার চেয়ে।
-আপনাদের তো সবার গাড়ি আছে কিন্তু নুরুল ইসলাম আর আসাদ ভাই কেমনে যাবে এতো রাতে বাস পাবে কোথায়? বাস বন্ধ হয়ে গেছে দেখে আসলাম!
-নুরু যাবে আমার সাথে, আসাদ যাবে ওসমানের সাথে। ওসমানের বাসাও অক্সফোর্ডে।
এমন সময় সামনে থেকে খবর এলো রাশেদ সাহেবের ফোন।
loading...
loading...
ভালবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই …শুভ সন্ধ্য।। <3 <3
loading...
শুভেচ্ছা প্রিয় বন্ধু।
loading...