৫০।
সুন্দর ছাউনি দেয়া ছোট্ট বাস স্ট্যান্ড, কাঁচের দেয়াল, ভিতরে বেঞ্চ আছে। তাকিয়ে দেখল বিভিন্ন বাসের সময় সূচী লেখা পোস্টারের মত কাঁচের দেয়ালে লাগানো। খুঁজে দেখল তার দরকার যে বাস ওটা আসতে আরও দশ পনের মিনিট বাকি। একটা সিগারেট হলে ভাল হোত। কি মনে করে আর সিগারেট বের করলো না। আশে পাশে তাকিয়ে দেখল ডান দিকে একটু দূরে ট্রেন স্টেশন দেখা যাচ্ছে। এবারে ওই জব সেন্টারে দেখা মারুফ সাহেবের দেয়া ঠিকানা টা পকেট থেকে বের করে দেখল জর্জ স্ট্রীট, আবিংডন। রেস্টুরেন্ট এর নাম হোল্ডিং নং মনে থাকবে। চার দিকে দেখতে দেখতেই বাস এসে দাঁড়াল। মাল পত্র নিয়ে উঠে পরতেই ড্রাইভার মাল রাখার জায়গা দেখিয়ে দিল। যাত্রীদের মালামাল রাখার জন্য গেটের পাশে আলাদা জায়গা আছে। ওগুলি রেখে ড্রাইভারকে ২ পাউন্ড ১০ পেনি ভারা দিয়ে টিকেট নিয়ে সামনের একটা সীটে বসল। এতক্ষণ কি ভাবনাই না ভাবছিলো। লোকাল বাসে এই মাল পত্র কিভাবে কোথায় রাখবে? সে তার নিজের দেশের মত করেই ভেবে নিয়েছিলো। যাই হোক বেশিক্ষণ লাগেনি কিছুক্ষণের মধ্যেই পথে দু এক জায়গায় থেমে শেষ এক জায়গায় এসে দাঁড়াল বাসটা। লোকজন নামার ভাব দেখেই অনুমান করলো এটাই গন্তব্যের শেষ।
বাস থেকে নেমে আবার এদিক ওদিক তাকিয়ে সুবিধা মত একজনকে ঠিকানাটা দেখাতেই দেখিয়ে দিল ওই যে ওইটা জর্জ স্ট্রিট। এদেশের ঠিকানা খুঁজে বের করার কায়দা লন্ডনে ফিরোজ শিখিয়ে দিয়েছিলো। রাস্তার এক দিকে জোড় নম্বর এবং অপর দিকে থাকবে বেজোড় নম্বর। সেভাবেই এগিয়ে মিনিট পাঁচেক হেঁটে একটু দূর থেকেই রেস্টুরেন্টের নাম দেখতে পেল। কাছে গিয়ে দেখে রেস্টুরেন্ট খোলা। একটু ইতস্তত করে কাঁচের দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকেই বাংলা চেহারার একজনকে দেখল চেয়ার টেবিল মুছতে। তখন প্রায় একটা বাজে।
রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকেই মন ভরান একটা সুঘ্রাণ এলো নাকে। দেখল বাম পাশের পুরোটাই কাঁচের দেয়াল। দেয়াল এর নিচে সুন্দর করে সাজানো সুন্দর সব ঘর সাজাবার গাছ। সামনের দেয়ালে বিভিন্ন ছবির ফ্রেম। মেঝেতে সুন্দর কার্পেট বিছানো, তার উপর দুই জন চার জন বসার মত করে আলাদা আলাদা চেয়ার টেবিল সাজানো। টেবিলের উপর সাদা টেবিল ক্লথ বিছানো তার উপর ছুরি, কাটা চামচ, টেবিল চামচ, ন্যাপকিন, ওয়াইন গ্লাস এবং তার পাশে একটা করে কোয়ার্টার প্লেট। ডান পাশে একটা ছোট কাউন্টার এর মত যার ভিতরে নানান রকমের বোতল। দেখে চিনতে পারলো মদের বোতল। এটা রেস্টুরেন্টের বার। পিছনের দেয়ালে ব্র্যাকেটে আরও অনেক বোতল সাজানো। তার নিচে ওই সব মদ পরিবেশনের জন্য বিভিন্ন রকমের গ্লাস। পুরো বারটাই সুন্দর কারুকাজ দিয়ে সাজানো। সামনে দুইটা টেলিফোন, পিছনে একটা টিল, পাশে একটা পিডিকিউ মেশিন যাতে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে লেনদেন করা হয়। সামনে ব্যারেলের লাগার ঢালার কয়েকটা টেপ তাতে বিভিন্ন কোম্পানির লোগো আঁকা।
loading...
loading...
চলুক জীবনের গল্প প্রিয় বন্ধু।
loading...
জীবন! সেতো পদ্মপাতার শিশির বিন্দু। ধন্যবাদ জনাব।
loading...
নিয়মিত পাঠক হয়ে আছি ভাই।
loading...
জেনে খুবই ভাল লাগলো আপা। ধন্যবাদ।
loading...
ভালোবাসা কবি ভাইজান।
loading...
ভালবাসা জনাব দূর্গাপুরি কবি!
loading...
শুভেচ্ছা দাদা।
loading...
শুভেচ্ছা।
loading...
সতীর্থ হয়ে আছি খালিদ ভাই।
loading...
ব্লগে সংী না হলে কি চলে? ধন্যবাদ।
loading...