শাহারা’র উত্তপ্ত বালুরাশি মাড়িয়ে
রাজস্থানের গ্রামগুলো পেরিয়ে
কাঞ্চনজঙ্ঘা ডিঙিয়ে,
অম্বরে খচিত হলো একটা ময়ূরপঙ্খী নাও।
সেখান হতে বর্ষার ধারায় ঝড়ে পড়ল
একদল পত্রবাহক।
পত্র এলো তাকে খুজে পাওয়া গেছে।
ঈশানে নিবাস তার শ্রেয়সী অতি,
দুহাত ভরা তার সাতটি অমরাবতী।
তার নেত্রের কোন ঘেষে বয়ে যাওয়া বাতাসে
উত্তর মেরুতে আজও কনকনে

চলো দুজনে দু’টো পায়রা কিনব,
দু’টো পায়রায় পাল্লা দেব।
একটিকে খাওয়াবো আমার আবেগ
আরেকটিকে তোমার অবজ্ঞা।
তোমার অবজ্ঞাভরা পায়রা ডানা মেলতেই
আমার আবেগভরা পায়রা’টা;
আগ্রায় দু’টো চক্কর দিয়ে
যেয়ে তোমায় ছুঁয়েও নেবেতুমি দেখে নিও!
সেদিন তোমার পাশে আমায় দু’ক্ষণ ঠাঁই দিও। চলো একদিন দু’টো নদী কিনব,
দু’জন পাড়ে দাঁড়িয়ে রব।
একটিতে

কেউ কি বলেছে তোমায়!
তোমাকে গড়ার নথি’গুলোর প্রথম পাতায়
বেশ কিছু শিল্পের অস্তিত্ব আছে!
তোমার চোখ, তোমার চিবুক, তোমার ঠোঁট,
আর; নগরীর বুক চিরে তোমার সরু নাক
হয়ে উঠেছে নগরীর প্রধান সড়ক! ওদিকে কিছু নিগ্রো জনপদ
চুলের ছদ্মবেশে বাস করে নগরীতে।
কেউ কি বলেছে তোমায়!
তোমার চোখের চেয়ে প্যারিস

তোমার চুলের গন্ধ নেব এক দীর্ঘ বসন্ত জুড়ে।
নাফ নদীর মাঝে কোন ভেলায় ভেসে,
কিংবা ভাওয়ালের শালবনে মাচা পেতে।
তুমি যদি বলো যাব আমাজনের তীরে;তবু
তোমার চুলের গন্ধ নেব এক দীর্ঘ বসন্ত জুড়ে। সকাল যাবে, দুপুর হবে,মাঝে মাঝে সন্ধ্যা হবে
অপলক তাকিয়ে রবো তোমার সিঁথির দিকে
ক্লান্ত

তোমার দূরত্ব আমার ভীষণ প্রিয়! তোমার দূরত্বে,
আমার প্রতিটি ক্ষণকাল
রূপ নেয় মহাকালে।
সেই তোমাকেই দর্শিলে,
কয়েকশত মহাকাল
গুটিয়ে আসে,
হয়ে যায় ক্ষণিকের উল্কাপাতের সময়কাল।
তোমার অবহেলায়,
বয়ে চলা আমার ক্ষুদ্র জীবন
রূপ নিয়েছে লক্ষ বছরের
দীর্ঘ এক নদীপথে।
একজীবনে লক্ষবছর বয়ে চলার স্বাদ!
হোক সে তিক্ত!
মাঝে মাঝে তুমি তীরে এসো
আমি বয়ে যাব