মুহাম্মাদ মাসুদ (মোঃ মাসুদ রানা)। ১৯৯৫ সালের ১৪ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুর থানার চৌবাড়ীয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
পিতা মোঃ লাল মিয়া, মাতা মোছাঃ জাহানারা খাতুন।
শিক্ষা জীবনঃ চৌবাড়ীয়া টোকের পাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাশ করে স্থল পাকড়াশী ইন্সটিটিউশনে ভর্তি হন। পরবর্তীতে বাড়ির পাশে নতুন স্কুল প্রতিষ্ঠিত হলে ৮ম শ্রেণীতে সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হয় খামারগ্রাম মহাবিদ্যালয়ে। ২০১২ সালে ব্যাবসায় শিক্ষা শাখা থেকে পাশ এইচএসসি করেন এবং ২০১৬ সালে মানবিক শাখায় বেলকুচি সরকারি কলেজ থেকে বিএ (ডিগ্রী পাশ কোর্সে) করেন।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ যৌথভাবে মুক্তচিন্তা (২০১৮) ও নীলপদ্ম (২০১৯ বইমেলা) দন্ত্য ‘স’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশ পায়।
গল্পগ্রন্থঃ হুমায়ূন হিমু (বইমেলা – ২০২০)।
মেঘেদের বাড়ি নেই
অন্যের উঠানে বসবাস।
ছায়াদেহের মৃত্যু নেই
অন্যের মৃত্যুতে হাসফাস।
প্রেমে দুটি অক্ষর আছে
শরীরে মাংস নেই।
প্রেমিকার রেঁধে খাওয়ার দেহ আছে
বিবাহ বাসনা নেই।
আত্মার মাগফেরাত
মামা দুইডা ট্যাকা দেন। মামা দুইডা ট্যাকা দেন। এভাবেই বারবার বলে বলে পিছু পিছু ঘুরছে ছেলেটি। তখন আমি ওভারব্রিজ সিঁড়ির এক কোণে কোণঠাসা হয়ে বসে আছি। আর কান্ডকারখানাগ দেখছি। শেষ পর্যন্ত।
লোকটি (যাকে মামা বলে সম্মোধন করলো) পাশের দোকান থেকে একটি স্পীড ড্রিংকস,
‘ভাই শুধু টাকা জমিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকে রাখে, ইন্সুইরেন্স করছে, ডিপিএস আরও কতকিছু।’
‘না রেখে উপায় নেই। ছেলে সন্তান হয়েছে। কিছু না রেখে পিতাকে গালি দিয়ে বলবে আমাদের কি করেছো?’
‘আমি ভাই কিছুই রাখবো না। আল্লাহ যা রাখে
পেছনের গল্পঃ সর্বপ্রথম ২০১২ সালে একটি কবিতা লিখেছিলাম। প্রথম কবিতাটি খুব বেশি ভালো ছিলো বলে আমার মনে হয় না। তবুও কেন যেন সেই ভুলে ভরা কবিতাটি ‘মুসফিকা স্মৃতি পাঠাগার’ আয়োজিত মেঠোপথ ম্যাগাজিনে প্রকাশ পায়। তখন অবশ্য প্রকাশ পাওয়ার আনন্দ কেমন
হাউমাউ করে কান্নার শব্দ কানে এসে ভিড় করলো। ততক্ষণে কলিজা শুকিয়ে তেঁতুল পাতা হয়ে গেছে। যার চির চির শব্দ বুকের মধ্যিখানে ধুকপুক ধুকপুক ঢোলের কম্বিনেশনে আহাজারি পায়চারি করছে।
বেশকিছু দূরে কেউ একজন কথা বলছে। মুখটা মিষ্টিমুখ, মিষ্টি হাসিতে ভরা।
ভালোবেসে সখি নিভৃতে যতনে, আমার নামটি। গান বাজছে। বারবার বাজছে। ক্রমাগত বাজছে। গানটি শুনতেও বেশ ভালো লাগছে। শুধুমাত্র এই একটি গান শুনলেই বারবার প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে প্রিয়তমার হাতে দুহাত রেখে মুখপানে চেয়ে থাকি অজস্র বছর। অজস্র বছরের
ঝরঝর করে কাঁদতে লাগলো হিমু। কান্নার শব্দে রান্নাঘর থেকে বুয়া বেরিয়ে এসে বললো – মামা, কাঁদছেন কেন? কি হয়েছে?
কিন্তু কিছুতেই হিমুর কান্না থামছে না। আবার কোন কথাও বলছে না। শুধু খাবারের দিকে একনাগাড়ে তাকিয়ে রয়েছে।
বুয়া গিয়ে অতনুকে ব্যাপারটা খুলে বললো।
টিউশনিটা ছেড়েই দিতে হলো। নইলে যে ও কথার ভীড়ের মাঝে লুকিয়ে লুকিয়ে সুর প্রতীকীর সাঁজে নিজেকে সাজিয়ে ফেলতাম। আর নিজের তৃপ্ত কিছু অশোভন ইচ্ছেগুলো মনের নেশায় মাখিয়ে ছোবল দিতেও কুণ্ঠিত বোধ করতাম না। কারণ, অল্প বয়সী মেয়েদের সম্মতি পেতে
সিগারেটের আগুনে ঠোঁটের নীলাভ উষ্ণ আবরণে ছোঁয়াচে সুপ্ত মাংসপেশিগুলো কালচে বর্ণ ধারণ করছে। যার কালি দিয়েও হতো প্রিয়তমেষু পাখির কয়েকটি ছবির স্কেচ তৈরি করা যাবে নিমিষেই। নতুবা মাথার চারপাশের সাদা চুলগুলোয় কালো কালির প্রলেপ দেওয়া যাবে হরহামেশাই। হয়তো তখন পৃথিবীর