আমার ভালোবাসার কোন
পঞ্জিকা নেই
কোন ঔপনিবেশিক লুঠ নেই
প্রতিদিন বাঁচি -প্রতিদিন মরি! দু’ হাত পেতে চেয়ে নিই
এক বুঁদ ভালোবাসা, বেহোশী!
মৃত্যু লিখি জীবনের ঠিকানায় রোজ
আমার ভালোবাসার
কোন বয়স নেই
কোন শরীর নেই, আমার ভালোবাসার!
নীল খামে অভিমান ঢোকায় আর বের করে
পোস্ট

দানের ফটোগ্রাফির উল্কি আঁকা
পিঠটা খোলা রেখেছি
তুমি তাকিও অন্তত একবার
অনেক পিঠের উল্কি কাপড়ে ঢাকা, তার নীচে আবার লাইলিং।
বাহবা, তালি-খালি কিস্যু নেই! অতএব
আমার খোলা পিঠ নিলামে,
তুমি তাকাবে না, সোনা?

হয়তো এভাবেই আমিও গান রেখে দিয়ে চলে যাবো;
যেভাবে মোহ থেকে মায়া সরে যায় একটু-একটু করে, ঠিক সেভাবেই। সন্ধের একটা নিবিড় গন্ধ থাকে, যে-গন্ধ উপেক্ষা করা বড়ো কঠিন; তবুও চলে যেতে হয়। চলে যাবো। দুরারোগ্যের পাশে গালে হাত দিয়ে দীর্ঘশ্বাস যেভাবে

অনেকদিন যাওয়া হয়নি পাপের কাছে,যেমন যাওয়া হয়নি বুকখোলা নদীর কাছে! সে বারবার ডেকে ফিরে গ্যাছে। আমি তখন বাগান লিখছিলাম নিজস্ব কোণে। শুনতে পেয়েছিলাম কী পাইনি, আজ আর তা মনে নেই। পরে জেনেছি সে এসেছিল। হরিণীর হাসি ছড়িয়ে পড়েছিল এ তল্লাটে।
ঝুমঝুম শব্দে

চোখের সামনে খুন হতে দেখলাম।
অথচ, দিনের পর দিন পুলোওভারে
মহীয়সী আলোর মতো সজাগ ছিল সে বা তারা।
তাই ছিল প্রতিটি কথারই নানা রং!
‘আজি যত তারা তব আকাশে’ চোখের সামনে মার্জিতভাবে ধর্ষিত হল সে।
সাজানো ছকে সব থেকে গেল
হাইটেক-টেকনোলজির ড্রাইভে। হার্ড-ডিস্কে। চোখের সামনে তিল-তিল করে মরতে-মরতে
সে

প্রতিটি দুঃখের সাথে লেগে-লেগে থাকে একটি গানের সম্পাদনা। আড়িতে বেজে ওঠে তাল। পা_নি পানিতে ভেসে যায়। খাবি খায়। আমি তোমার মুখে স্বরলিপি লিখি
প্রত্যেকটি দুঃখ মানেই
এক-একটি নীরবতার সম্পাদনা আমি তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি কেবল;
তুমি তো জানো কবি, তোমার প্রতিটি জন্মদিনে আমি

এক-একটা বিশ্বযুদ্ধের গায়ে যেমন বাসি রক্তের পাশাপাশি সারাজীবনের না-বলা জমা থাকে; সেভাবেই এক-একটা হাইফেন ইস্যুর ভিতরে জেগে থাকে অভিমান আর হিরণ্ময় অক্ষর।
অগোছালো অক্ষরে আলো মেলে
মুখটিপে হেসে ওঠা নির্বাসিত চাঁদ ঘোরের ভিতর আমাদের স্বজন ও সন্ততি
ঘরের ভিতর ভিড়
ঘোরের ভিতর খিদে
ঘরের ভিতর ছল
ঘোরের

আমরা মানুষ তৈরি করি
কিন্তু ‘মানুষ’ করে উঠতে পারি না। বেয়াড়া রঙের ফুলগুলোর ফিসফিস করে বলে যাওয়া কথা এসব। হ্যাঁ, বেয়াড়া রঙই তো! কাদায় খুব বেশিক্ষণ হাত রাখলে একসময় কাদার থেকেও কদর্য হয়ে পড়ে ওই হাত। এভাবেও বলা যায় যে হাতেদের

কলমে আমার আতর নেই।
আমার কলমে ঘুঙুরের ফানকার নেই; পল রোপসনকে হত্যার কোনও ব্লু-প্রিন্ট নেই। কলমের মুখে প্রেম-শব্দ নেই, লাইভ-পোস্টের মতো আডভেঞ্চার নেই, কোনও ক্ল্যারিফিকেশন নেই। পুরুষদের নিয়ে ভারসাম্যের খেলা নেই। যেটুকু লিখি সেখানে সেই মুহূর্তের সত্যিরা সত্যিকারের হাত ধরাধরি করে

ক্ষমা চাইতে সবাই জানে না। অথচ, ক্ষমার অযোগ্য অসম্মানে শব্দের জন্য ধরে আনে কোনও গো-পালক। ভুল বুঝলে কথা দিয়ে কথা ঘিরে রাখে; এবং নেপথ্যে কেউ-কেউ ‘তাল সে তাল মিলাও” অথবা উস্কানিকে ধুমধাম জাগিয়ে রাখে। কথারা কী প্রবল উড়ে আসে; জানান

লয় আমার চারপাশ এখন তোমারই ছড়ানো-ছিটনো জড়ের দুনিয়া।
যেখানে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে তাজমহলটা
জন্মদিনে তোমারই দেওয়া
সন্তান ক্রোড়ে মাতৃমুর্তি। যমুনা জেনে গ্যাছে চলার
ছন্দ
সুর
তাল

পাঠ অথবা যত-যতবার তুমি বলো শ্বাসের মত জরুরি, জীবনের মত জরুরি, বেঁচে থাকার মত জরুরি; ততবারই ঠিক এভাবেই আরও একবার পড়ি নিজেকে! পৌঁছে যাই আয়নাগ্রামে ছুঁয়ে দেখি কত-কত জন্মের ভালোমন্দ! অবাধ্য চুলগুলোর ভেতর থেকে হুহু করে বেরিয়ে আসে এক

আন পাব্লিশড কবিতার মতো তুমি জমছ আমার গর্ভে।
কাটাকুটিতে ভরে আছে পাণ্ডুলিপি।
তেমন কোনও প্রকাশক পাইনি এখনো,
যাঁর হাতে তুলে দিতে পারি তোমায় কেউ বলেছিল একটা কাজরি শোনাতে
ঘোর বর্ষা ভেতরে, বাইরেও
স্বপ্নের মতো না-ফেরা মুখ
সাঁতরে চলে কেবল জীবন থেকে জীবনে
জন্ম-দরজায় বারবার করাঘাত ওখানে কে? কে ওখানে?

কবিতা ও গানে সর্বনাশ ডেকে এনে, আমাকে করো পথ সমগ্র লিখে রাখুক অতিক্রমের ধারাবিবরণী। বাতাসে নির্মেদ-বিশ্বাস। রং তার হিজলপাতার। বুকে ছড়ানো উর্ধমুখী দু-পাশের শিরা, সমর্পণের গড়ন। কোনো নাটমন্দিরে নেচে-গেয়ে ওঠা বিভোর যেন! কবিতা ও গানে সর্বনাশ ডেকে এনে, আমাকে করো পুনঃপ্রতিষ্ঠা। একটা -একটা করে মহামারী

কাঁটাচামচে লেগে থাকা মাংস তাহলে থাক। আগুনের গল্প জ্বলুক নিজের মতো। পোশাকহীন হেঁটে যায় সময়। নির্লজ্জ চোখ থেকে ধুয়ে যায় ইতিহাস
বরং ঠাণ্ডা ঘরে জমে উঠি আমরা
যেমন জমে উঠতাম প্রতিবার
সেফ জোনে থেকে সব দ্যাখা আর নানারকম ফল ছুঁড়ির আগা থেকে মুখে টেনে