১-
মন্ত্রীপরিষদ থেকে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ২৬শে মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল সকল আদালত ও সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবং প্রত্যেক কর্মচারীকে স্ব স্ব পোস্টিং এ অবস্থান করতে হবে। আর এটা বাধ্যতামূলক উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এখন প্রশ্ন হতে পারে এটা কি তারা আসলেও মানবে? কারন সবাই তো এখন বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়বে। কিন্তু না বিজ্ঞপ্তিতে আরও যোগ করা হয়েছে যে সরকারের পক্ষ থেকে যাবতীয় সকল গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
২-
শুরু থেকেই এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামকে করোনা ভাইরাসের জন্য সন্দেহজনক এলাকা ভাবা হচ্ছে। আমাদের দেশে কোন এক অপদার্থ বলেছিলো, করোনা মোকাবিলায় কোন কিছুর ঘাটতি নেই আমাদের। অথচ আজ জানা গেল সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস বা বিআইটিআইডিতে নেই কভিড-১৯ পরীক্ষার কিট। যার ফলে ট্রেনিং থাকা সত্ত্বেও করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের জন্য কিছুই করতে পারছেন না তারা। অথচ এই হাসপাতালে প্রায় এক মাস আগে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট পৃথক আইসোলেশন স্থাপন করা হয়।
৩-
করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা কয়েকজন অভিজ্ঞলোকের করোনার আলামত সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেনঃ
ক: পুরো শরীর জুড়ে অসহনীয় ব্যাথা থাকবে। মনে হতে পারে আপনার মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা হচ্ছে, সেই সাথে চোখ জ্বালা, গলা ব্যাথা। এগুলো করোনা রোগীর প্রথম লক্ষণ।
খ: কানের ভেতরে মাঝামাঝি এবং ভেতরের অংশের মাঝখানে ইউচটাচিয়ান টিউব থাকে। মাঝে মধ্যে ইউচটাচিয়ান টিউবে চাপ দিয়ে দেখতে হবে ব্যাথা আছে কিনা।
গ: প্রচন্ড মাথা ব্যাথা থাকবে। মনে হতে পারে কেউ মাথায় সজোরে আঘাত করছে।
ঘ: চোখ জ্বালা, চুলকানি থাকতে পারে। সেই সাথে শরীরে জ্বর থাকবে।
ঙ: প্রচন্ড গলা ব্যাথা থাকবে। শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হবে, খাবার খাওয়ার সময়ও অনেক ব্যাথা হবে গলায়।
চ: পুরো শরীরে ব্যাথা থাকবে। কেবল কান বা বুকে নয়। সেই সাথে হাত এবং পায়েও ব্যাথা থাকবে।
৪-
মহানবী হযরত মুহ’ম্মদ (সঃ) বলেছেন, যখন তুমি কোন ভূখণ্ডে মহামারি ছড়িয়ে পড়ার খবর শুনতে পাও তবে তুমি সেখানে প্রবেশ করো না। পক্ষান্তরে সেটা যদি তোমার অবস্থানস্থলে পৌঁছে যায় সেই স্থান ত্যাগ করো না। মহানবী(সঃ) আরও বলেন,সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থদের থেকে দূরে থাকবে। এছাড়াও মহানবী (সঃ) লোকজনদেরকে রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতেন।
এই অল্প কয়টি কথায় অনেক শিক্ষণীয় বিষয় লুকায়িত আছে। আর সেসব নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।
৫-
করোনার প্রকোপ যখন বাংলাদেশে ঠিক এমনই একটি মুহূর্তে বাংলাদেশের জনপ্রিয় খাবার অর্ডার ও ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান “ফুডপান্ডা” নিয়ে এসেছে সচেতনতার বার্তা। গ্রাহক, রেস্টুরেন্ট পার্টনার ও রাইডারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য তারা ক্যাশবিহীন পদ্ধতির প্রতি উদ্বুদ্ধ করছে সবাইকে। গ্রাহকদের সুরক্ষার জন্য খাবার তাদের বাসা কিংবা অফিসের সামনে পৌঁছে দিচ্ছে। এছাড়াও সম্প্রতি লাইফবয়ের সাথে একটি চুক্তি করেছে যার অধীনে ফুডপান্ডার সকল রাইডার এবং রেস্টুরেন্ট পার্টনারদের লাইফবয় হ্যান্ড ওয়াশ প্রদান করা হবে যেন প্রত্যেকে সচেতন হতে পারে। তবে এর পাশাপাশি আরও একটি কাজ করছে ফুডপান্ডা আর সেটা হলো, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রথমে এগিয়ে আসা স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও তাদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবীদের বিনামূল্যে ২০ হাজার খাবারের প্যাকেট সরবরাহ করছে ফুডপান্ডা। আমি দোয়া করি আল্লাহ তাদের ব্যবসায় বরকত দান করুক।
loading...
loading...
দেশের সার্বিক দূর্যোগ এবং করণীয় প্রসঙ্গে আপডেইট পেলাম আপনার পোস্টে। ধন্যবাদ।
loading...
ভালো থাকুন।
loading...
শুভেচ্ছায় ভালো থাকুন মাহমুদুর রহমান ভাই।
loading...
আমিন
loading...
তথ্যবহুল পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ।
loading...
খুশী হলাম
loading...