মনসা মঙ্গল কাব্য ... মা মনসার মর্ত্যে আগমন ও পূজা গ্রহণ (ধর্মীয় কব...

মনসা মঙ্গল কাব্য …. জয় জয় মা মনসা
মা মনসার গল্প (চতুর্থ পর্ব)
তথ্যসংগ্রহ, সম্পাদনা ও কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শাস্ত্রে বর্ণিত আছে যে তিনি নাগকুলের মূল আধিষ্ঠাত্রী সর্পকুলের প্রধান দেবী রূপে জগতে প্রতিষ্ঠিত। মনসা আদি বৈদিক যুগের বা পুরাণের মহিমান্বিত বা রামায়ণ অথবা মহাভারতের যুগের মানুষের আরাধ্য কোনো দেবী নয়। প্রাগৈতিহাসিক যুগের শাস্ত্র গুলি ভালো করে অধ্যায়ন করে স্পষ্ট এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে সেকালে কেবলমাত্র বাসুকি নাগ ও পরবর্তীতে কৃষ্ণের কালে কালীও নাগ নামটি ছাড়া আর অন্য কোনোও বিশেষ সর্পের দেব দেবতার নাম পুরাণাদি গ্রন্থগুলিতে খুঁজে পাওয়া যায় না। নাগ কুলের অধিষ্ঠাতা দেবতা বাসুকি হলেন নাগেদের রাজা। সাংস্কৃত শাস্ত্র ও উপপুরানে বলা হয়েছে নাগরাজ বাসুকির ভগিনী হল এই মনসা দেবী।

সর্পকূলের দেবী নাগিনী নামটির দ্বারা এই সীদ্ধান্তে অনুমান হওয়া যায় যে ইহা আধা নর ও আধা সর্পের এক ভয়ঙ্কর মূর্তি বিশেষ কোনো রূপ অথবা ঐশ্বরিক শক্তিতে বলিয়ান কোনো বিশেষ বিষধর সর্প হবে যার মধ্যে রূপ পরিবর্তন করার ইচ্ছাশক্তি আছে । ইতিহাসের পাতায় যা স্কাইথীয় নামে পরিচিত। কিন্তু মনসা নামটির সঙ্গে সর্পের সম্পর্ক ঠিক কবে থেকে জগতে প্রচলিত হয়েছে তা গভীর অনুসন্ধানের একটা বিষয়।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে তাহার নাগ পরিবার, নাগরাজ বাসুকির ভগিনী তিনি তাই সেই কারনে দেবীর সঙ্গে সর্পের এই রূপ সম্পর্ক। যদিও শৈবপুরাণে দেবাদিদেব মহাদেবের সন্নিকটে যে বিষধর সর্পটির বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে উদয় নাগ উহাতে সর্প দেবতাদের অনুচর স্বরুপ পূজিত হয়ে এসেছে। ব্যাক্তিস্বতন্ত্র রূপে কোনো দেবতা বা দেবী রূপে অধিষ্ঠানের কথা পুরাণের কোথাও বা শাস্ত্রে উল্লেখ নেই।

মা মনসার মর্ত্যে আগমন ও পূজা গ্রহণ (ধর্মীয় কবিতা)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

(চতুর্থ পরিচ্ছেদ)

বিশ্বকর্মা তৈরি করে লোহার বাসর,
সূচীছিদ্র পথ রাখে প্রাচীর ভিতর।
প্রবেশিল কালীনাগ সেই ছিদ্র পথে,
কালীনাগ ভাবে মনে কাটিব কিমতে?

ডানদিক হতে কালী বামদিকে যায়,
লখীন্দরের চরণ লাগে তার গায়।
এবার ক্ষমিনু আমি সুন্দর ভাবিয়া,
পুনঃ পড়িলে চরণ যাব দংশিয়া।

বিধির লিখন কভু খণ্ডন না যায়,
বজ্র কামড় দেয় লখীন্দরের পায়।
গাঙুরের জলে ভাসে কলার মান্দাসে,
মৃতস্বামী কোলে সতী ধোপাঘাটে আসে।

নেতারে বেহুলা বলে ক্রন্দনের সুরে,
তাঁর সাথে সতী চলে ঊর্দ্ধ সুরপুরে।
মনসার কাছে সতী প্রাণভিক্ষা চায়,
সন্তুষ্টা মনসা দেবী স্বামীরে বাঁচায়।

মনসা-মঙ্গল কাব্য অমৃত কথন,
মা মনসার পাঁচালি লিখেন লক্ষ্মণ।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

২ টি মন্তব্য (লেখকের ০টি) | ২ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ২২-০৮-২০২০ | ১৭:০৬ |

    শুভেচ্ছা সহ ধন্যবাদ কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী। অল দ্য ভেরি বেস্ট। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

    GD Star Rating
    loading...
  2. নিতাই বাবু : ২৪-০৮-২০২০ | ৩:০৬ |

    ওঁ তদ্বিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ দিবীব চক্ষুরাততম্।
    ওঁ অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সর্বাবস্থাং গতোঽপি বা।
    যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ।।
    ‘ওঁ বিষ্ণু’‘ওঁ বিষ্ণু’‘ওঁ বিষ্ণু’

    GD Star Rating
    loading...