নেপথ্য ভূমিকায় ঐতিহাসিক 7ই মার্চ
বঙ্গবন্ধু ……আমরা তোমায় ভুলি নি।
তথ্য সংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী।
২৫ শে মার্চ কালো রাতে নিরীহ বাঙালি জাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এই যুদ্ধের কারণে শ্মশানে পরিণত হয় শস্য-শ্যামলা সোনার বাংলা। এরপরও বাঙালির মনে কোনো কষ্ট ছিল না! কারণ তারা স্বাধীন একটি দেশ পেয়েছে।
যে স্বাধীনতার জন্য ত্রিশ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়েছে, লক্ষ লক্ষ মা-বোনের ওপর জুলুম-অত্যাচার করা হয়েছে। এই স্বাধীনতা অর্জন ও নিপীড়িত মানুষের অধিকারের কথা বলতে গিয়ে বারবার জেলে যেতে হয়েছে বাঙালির মহান নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
সেই স্বাধীনতা অর্জনের পর মুক্তভূমিতে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেয় বাঙালি। ৭ ই মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠদিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে ইতিহাসের একজন মহানায়ক তার তর্জুনী উঁচিয়ে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন।
আজ থেকে ৪৮ বছর আগে ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ এক ধারাবাহিক রাজনৈতিক আন্দোলনের পটভূমিতে এসেছিল। লাখ লাখ মানুষের সামনে সেদিনের ১৮ মিনিটের ভাষণে শেখ মুজিব বলেছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
ওই ভাষণে তিনি বাঙালি জাতিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন- ‘ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলায করতে হবে।’
পুরো জাতি তাদের যা কিছু আছে তা নিয়েই প্রিয় নেতা ‘বঙ্গবন্ধু’র ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে। ওইদিনের জনসভার প্রত্যক্ষদর্শী অনেকে বলেছেন, লাঠি, ফেস্টুন হাতে লাখ লাখ জনতা উত্তপ্ত স্লোগানে মুখরিত ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু যখন ভাষণ দিতে উঠে দাঁড়ান এবং বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার’। তখন-ই পুরো রেসকোর্স ময়দানজুড়ে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা।
তবে ভাষণ শেষে আবার স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে রেসকোর্স ময়দান ও এর আশপাশ। বলতে গেলে পুরো ঢাকা শহর। সেদিন থেকেই যেন ‘স্বাধীনতা শব্দটি একান্ত-ই বাঙালির হয়ে যায়। কবি নির্মলেন্দু গুণ কবিতায় বলেছেন,
‘‘… গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর
অমর কবিতাখানি:
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
সেই থেকে ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি আমাদের।’’
বঙ্গবন্ধু, ৭ই মার্চ ও স্বাধীনতা- এই তিনটি শব্দের পূর্ণ রূপ বাংলাদেশ। প্রতিবছর ৭ই মার্চ সংগ্রামের নবতর চেতনায় ১৭ কোটির বেশি মানুষের হৃদয়কে প্লাবিত করে। এটি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিল। স্বাধীনতার ৪৫ বছরে ২০১৭ সালে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামান্য ঐতিহ্য (ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ) অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো।
যা সমগ্র জাতির জন্য গৌরবের এবং আনন্দের। অথচ এই ৭ই মার্চের ভাষণ একটা সময়ে এই স্বাধীন দেশে প্রচার ও বাজানো নিষিদ্ধ ছিল। একটা গোষ্ঠী এই ভাষণকে ভয় পেত পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক জান্তাদের মতো; যেমন ভয় পেয়ে ১৯৪৭ এর পর থেকে বঙ্গবন্ধুকে ১৩ বার কারাগারে বন্দি রেখেছিল জিন্নাহ, আইয়ুব ও ইয়াহিয়ার সরকার।
বঙ্গবন্ধু জীবনভর সংগ্রাম করেছেন মানুষের অধিকার আদায়ে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, এই পাকিস্তান বাঙালিদের জন্য হয় নাই। একদিন বাংলার ভাগ্যনিয়ন্তা বাঙালিদের হতে হবে।
সে লক্ষ্যে পৌঁছার জন্যই এতো আন্দোলন ও সংগ্রাম। যার চূড়ান্ত ফল ৭ ই মার্চ। এ বিষয়ে এক প্রবন্ধে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ লিখেছেন, ‘‘একাত্তরের পহেলা মার্চ ইয়াহিয়া খান যখন আকস্মিক এক বেতার ভাষণে ৩রা মার্চের অধিবেশন এক তরফাভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি করলো, সেদিন ঢাকার রাজপথে মানুষ নেমে এসেছিল। হোটেল পূর্বাণীতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠক চলছিল। জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যদের সমন্বয়ে এই পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ঠিক ওই সময়েই আকস্মিকভাবে ইয়াহিয়া খানের বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ ঘোষণায় হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে এসে হোটেল পূর্বাণীর চতুর্পার্শ্বে জমায়েত হয়। পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠক থেকে বেরিয়ে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু ইংরেজিতে বলেছিলেন, ‘দিস টাইম নাথিং উইল গো আন-চ্যালেঞ্জ।’ অর্থাৎ এই সময়ে কোন কিছুই বিনা প্রতিবাদে যেতে দেবো না। তখন দেশি-বিদেশি সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিল, ‘আপনি কি স্বাধীনতার কথা বলছেন?’ তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘নট ইয়েট।’ অর্থাৎ এখনই নয়।’’
ইয়াহিয়া খানের দায়িত্বজ্ঞানহীন ঘোষণার প্রতিবাদে ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারা দেশে সাধারণ হরতাল আহ্বান করেন বঙ্গবন্ধু। এই ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমি মাওলানা ভাসানী, নুরুল আমিন, প্রফেসর মোজাফফর আহমদ এবং আতাউর রহমান খানের সঙ্গে আলোচনা করব। আগামী ৭ মার্চ রেসকোর্সে এক গণসমাবেশে বাংলার মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার অর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’ [দৈনিক পাকিস্তান, ২ মার্চ ১৯৭১ ]
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এই ভাষণের পর ৬ দফা কিংবা ১১ দফা নয়, তখন দেশ ফুঁসে ওঠে এক দফা-এক দাবিতে। আর তা হচ্ছে- বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ৩রা মার্চ পল্টন ময়দানে ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’-এর জনসভায় ‘স্বাধীন বাংলার ইশতেহার’ পাঠ করা হয়।
এরপর-ই আসে ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ। ওইদিন সকাল থেকেই রেসকোর্স ময়দানে বাড়তে থাকে জনস্রোত। সবার মুখে কথা একটাই- বাংলার স্বাধীনতা। এর মাঝে দুপুর গড়িয়ে বিকেল। এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু জনসভাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।
মঞ্চে জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামান, তৎকালীন ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদসহ নেতারা উপস্থিত। সবার বক্তব্য শেষ । লাখ লাখ জনতা অপেক্ষায় বসে আছেন বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার।
মাইকে ততক্ষণে ঘোষণা দেওয়া হয়ে গেছে, জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এক পর্যায়ে ভাষণ দেওয়ার জন্য তিনি উঠে দাঁড়ালেন, চারদিকে তাকিয়ে চিরচেনা ভঙ্গিতে পোডিয়ামের ওপর রাখলেন কালো ফ্রেমের চশমা। দশ লাখের বেশি মানুষের রেসকোর্স ময়দান তখন নীরব!
বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘ভাইয়েরা আমার’। এরপর বঙ্গবন্ধু টানা বলে গেলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অমর মহাকাব্য। তিনি মূলত স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সমস্ত ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ওই ভাষণেই সামরিক শাসককে বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতা বঙ্গবন্ধু বললেন, মার্শাল ল’ প্রত্যাহার করতে হবে, সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে, যেসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে এবং জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
তার পুরো ভাষণজুড়ে ছিল আসন্ন যুদ্ধের রণকৌশল ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। তবে তা ছিল বেশ কৌশলে। তিনি ‘প্রধানমন্ত্রিত্ব’ নয়, তিনি এ দেশের মানুষের মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু জানতেন, কোন পরিস্থিতিতে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাই এই ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জাতির সামনে কেবল একটি স্বাধীন রাষ্ট্রই উপস্থাপন করেননি, বরং এর ভবিষ্যৎ কী হবে তা-ও তুলে ধরেন।
বঙ্গবন্ধু যা বিশ্বাস করেছেন, ভেবেছেন এবং বাস্তবসম্মত মনে করেছেন- সুচিন্তিতভাবে সেটি-ই করেছেন বঙ্গবন্ধু। আর তা অবশ্যই মানুষের কল্যাণে। বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও আপোষহীনভাবে তা বাস্তবায়ন করেছেন।
৭ই মার্চের বক্তব্যের আগের দিন বঙ্গবন্ধু কী ভেবেছিলেন- তা নিয়ে তারই কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিকে স্বাধীনতার অমর কাব্য শোনাতে রাজনীতির কবি শেখ মুজিবকে সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
স্মৃতিচারণ করে ২০১৮ সালে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৭ মার্চ ভাষণের আগে কতজনের কত পরামর্শ, আমার আব্বাকে পাগল বানিয়ে ফেলছে! সবাই এসেছে-এটা বলতে হবে, ওটা বলতে হবে। আমার মা আব্বাকে খাবার দিলেন, ঘরে নিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিলেন। আব্বাকে সোজা বললেন, তুমি ১৫টা মিনিট শুয়ে বিশ্রাম নিবা। অনেক লোক অনেক কথা বলতে পারে-তাদের কারও কোনো কথা শোনার প্রয়োজন নাই। তুমি সারা জীবন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছ, তুমি জেল খেটেছ। তুমি জান কী বলতে হবে? তোমার মনে যে কথা আসবে, সে কথা-ই বলবা এবং তা–ই হয়তো দেশের মানুষের কাছে সত্য হয়ে উঠবে।
পরদিন অর্থাৎ ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তার হৃদয়ে ধারিত গভীর বিশ্বাস থেকেই ভাষণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। এরপর এই ভাষণ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশাল অনুপ্রেরণার উৎস। ওই সময় দেশের আনাচকানাচে অসংখ্যবার বজ্রকণ্ঠ হিসেবে বাজানো হয়েছে এ ভাষণ।
বিশ্বের অনেক নেতাই বিভিন্ন সময় আন্দোলন করেছেন। এর মধ্যে মার্টিন লুথার কিং কিংবা আব্রাহাম লিংকনও মানুষের অধিকার সংগ্রামে ভাষণ দিয়েছেন। তবে তা ছিল লিখিত এবং সংক্ষিপ্ত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ লিখিত ছিল না। এটি ছিল বেশ সাবলীল ও তাৎপর্যপূর্ণ।
২৬ মার্চের কালরাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে হানাদার বাহিনী। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় বাঙালির স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তবে ওই সময় নিজের শেষ বার্তায় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান বঙ্গবন্ধু। তিনি বলেন, ‘এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।’
এরপর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীণতার সেই ঘোষণা বিভিন্নজন বেতার কিংবা গণমাধ্যমে পাঠ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি অসহযোগ আন্দোলনকে স্বাধীনতার যুদ্ধে রূপান্তরিত করেন। যে আন্দোলনের ফসল স্বাধীন বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তার স্বপ্ন ছিল স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা’ এনে দিতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় প্রায় ১৭ কোটি মানুষের উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা।
এ বছর আমরা জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন করছি। তাই ৭ই মার্চ আমাদের জীবনে এক অন্য রকম উপলক্ষ হয়ে এসেছে। এ ভাষণ সব ধরনের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে বজ্রতুল্য ঘোষণা। যা কেবল একাত্তরেই নয়, বর্তমান সময়েও আমাদের প্রাণিত ও উজ্জীবিত করে চলেছে। বঙ্গবন্ধু আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়ে গেছেন- তার দেখানো পথেই আমরা গড়ে তুলবো ‘সোনার বাংলা’। সোনার বাংলা গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আসুন, দেশ ও জাতির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় আমরা গড়ে তুলি সোনার বাংলা। জয়গুরু!
বাংলা আমার মায়ের ভাষা
– লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
বাংলা আমার মায়ের ভাষা
প্রভাত পাখির গান,
বাংলা আমার জ্ঞানের গরিমা
বাংলা আমার প্রাণ।
বাংলার গাছে দোয়েল নাচে
কোকিলের কুহুতান,
বাংলার মাটি সুজলা সুফলা
মাঠে ফলে সোনাধান।
বাংলার জলে রাজহাঁস চরে
পানকৌড়ি রোজ আসে,
বাংলায় হেরি সবুজ ঘাসে
সোনা ঝরা রোদ হাসে।
বাংলায় শুনি পাখিদের গান
গাছে গাছে ধরে ফল,
ফুলকলি ফোটে ফুলের বাগানে
আসে ধেয়ে অলিদল।
বাংলার মাঠে চাষীরা সকলে
মাঠে মাঠে করে চাষ,
মাটিতে ফলায় সোনার ফসল
সুখে থাকে বারো মাস।
বাংলার পথে একতারা হাতে
বাউলেরা গায় গান,
রাখালিয়া সুরে বাঁশরি বাজে
ভরে ওঠে মনপ্রাণ।
বাংলা আমার মাটি আমার
সুখের স্বর্গীয় ধাম,
বাংলার মাটি মা যে আমার
মাকে জানাই প্রণাম।
loading...
loading...
বাংলা আমার মাটি আমার
সুখের স্বর্গীয় ধাম,
বাংলার মাটি মা যে আমার
মাকে জানাই প্রণাম।
loading...
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথে থাকুন।
জয়গুরু!
loading...
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রমনার জনসভায় শীতলক্ষ্যা নদী পাড়ের সকল শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরাও অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই জনসভায় লাখো মানুষের মধ্যে আমার বাবাও ছিলেন। সেদিন ঢাকার আশেপাশের সকল শিল্পপ্রতিষ্ঠানই বন্ধ ছিল এবং ঐ জনসভায় আমার বাবাও গিয়েছিলেন। শুনেছিলাম আমার বাবার মুখে। তাই মার্চ মাস আসলেই পুরানো সব কথা মনে পড়ে যায়।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।
loading...
Salute
loading...