মাঠে মাঠে সোনা ধান……. হেমন্তের গান (তৃতীয় পর্ব)
তথ্য-সংগ্রহ, সম্পাদনা ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
হেমন্তে সোনালি ধানের সম্ভার আর সুঘ্রাণে ভরে থাকে বাংলার মাঠ প্রান্তর। কৃষক ব্যস্ত হয়ে পড়ে ঘাম ঝরানো সোনালি ফসল কেটে মাড়াই-ঝাড়াই করে শুকিয়ে গোলা ভরতে মাঠে মাঠে সোনা ধান। বৈচিত্র্যময় রঙ ও পাতা ঝরার ঋতু হল হেমন্ত। ঝাউ গাছগুলো ছাড়া সব গাছেরই পাতা এ সময় ঝরে যেতে শুরু করে এবং শীতের আগমনের আগেই সব বৃক্ষই ন্যাড়া হয়ে যায়।
হেমন্তকাল হচ্ছে শরৎ ও শীতকালের মধ্যবর্তী একটি পরিবর্তনশীল পর্যায়। দিনের শেষে তাপমাত্রার ব্যাপক পতনের ফলে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই বিকেলে হিম পড়তে শুরু করে আর ঘাসের ওপর জমে শিশির; কুয়াশাও দেখা যায় প্রায়ই। সাধারণভাবে সর্দি, কাশি, জ্বর প্রভৃতি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। হেমন্তকালে মাঠে মাঠে থাকে সোনালি ধান। এ সময় চাষীরা ধান কেটে ঘরে তোলে এবং ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব শুরু হয়।
স্নিগ্ধ হেমন্তকাল যেন আমাদের কে একটু বেশিই বিমুগ্ধ করে। সকালে ধানগাছের ডগায় যে শিশির জমে থাকে তা হেমন্তের মায়াবী রূপের এক ঝলক সৌন্দর্যেরই পূর্বাভাস জানান দেয়। সকালের প্রথম রোদের বর্ণচ্ছটায় গাছের পাতাগুলো যেন হেসে ওঠে।
আলোকোজ্জ্বল অপূর্ব একটি সকাল তার অভাবনীয় সৌন্দর্য নিয়ে যেন অপেক্ষমান। গাছের নরম-কচি পাতাগুলোর ফাঁকে ফাঁকে মিষ্টি রোদ আর সুনীল আকাশ যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে।
হেমন্তের রাতে মেঘমুক্ত আকাশে ফালি ফালি জোছনার আলো অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশিই ঠিকরে পড়ে। কালের চাকায় ভর করে আবারো আমাদের মাঝে সমাগত প্রিয় হেমন্তকাল।
হেমন্ত মানেই শিশিরস্নাত প্রহর। শরতের কাশফুল মাটিতে নুইয়ে পড়ার পরপরই হেমন্তের আগমন ঘটে। এর পরে আসে শীত, তাই হেমন্তকে বলা হয়ে শীতের পূর্বাভাস। হেমন্তে সকালবেলা আবছা কুয়াশায় ঢাকা থাকে চারি দিকের মাঠঘাট।
মাঠে মাঠে সোনা ধান….. হেমন্তের গান
গীতি কবিতা-৩ (তৃতীয় পর্ব)
কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
কার্তিকের ধানের খেতে ভোরে হিমেল হাওয়া,
সবুজ তরুর শাখে শাখে পাখিদের গান গাওয়া।
খেতের আলে ফিঙে নাচে দেখতে ভালো লাগে,
উথলে ওঠে খুশির জোয়ার চিত্তে পুলক জাগে।
কার্তিকের ঐ ধানের খেতে উপচে পড়ে হাসি,
মাথায় বোঝাই ধানের আঁটি যাচ্ছে গাঁয়ের চাষী।
কার্তিকের ঐ ধানের খেতে সোনার ধান পাকে,
উত্তরে বয় হিমেল হাওয়া অজয় নদীর বাঁকে।
শিশির ধোওয়া ঘাসের উপর সোনালি রোদ ঝরে,
রাখালিয়া সুরে বাঁশি বাজে পরাণ পাগল করে।
দিনশেষে পড়ে বেলা সূর্য ডোবে নদীর কিনারায়,
সাঁঝের আঁধার আসে নেমে প্রদীপ জ্বলে সন্ধ্যায়।
আকাশ জুড়ে তারা ফোটে, চাঁদ ওঠে আকাশে,
ধীরে ধীরে রাত কাটে পরে সকাল হয়ে আসে।
loading...
loading...
আকাশ জুড়ে তারা ফোটে, চাঁদ ওঠে আকাশে,
ধীরে ধীরে রাত কাটে পরে সকাল হয়ে আসে।
প্রকৃতির চিরায়ত রূপ কবি।
loading...
আপনার সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম।
শুভেচ্ছা রইল প্রিয়কবি। সাথে থাকুন।
জয়গুরু!
loading...
পড়ে বেলা সূর্য ডোবে নদীর কিনারায়, আঁধার আসে নেমে প্রদীপ জ্বলে সন্ধ্যায়।
loading...
আপনার সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ ও আপ্লুত হলাম।
শুভেচ্ছা রইল প্রিয়কবি। সাথে থাকুন।
জয়গুরু!
loading...
নিজের পোস্ট ছাড়া আপনাকে অন্যের পোস্টে মন্তব্য দিতে দেখি না দাদা।
loading...
কথাটা মনে রাখলাম। অন্যের পাতায় মন্তব্য করতে পারি না তাই নিজেকে
বড় অপমানিত মনে হয়। আজ কিছুদিন ধরে খুব ব্যস্ততায় আছি।
কবিতা পোস্ট করার সময় পাচ্ছি না।
শুভেচ্ছা রইল প্রিয়কবি।
সাথে থাকুন।
জয়গুরু!
loading...
আপনার লেখার মাঝেও হেমন্তের সুঘ্রাণ পাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় কবি দাদা। হেমন্তের শুভেচছা জানাচ্ছি।
loading...
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। আপনার পাতায় যেতে পারছি না।
মার্জনা চাইছি। আজ কিছুদিন ধরে খুব ব্যস্ততায় আছি।
কবিতা পোস্ট করার সময় পাচ্ছি না।
শুভেচ্ছা রইল প্রিয়কবি।
সাথে থাকুন।
জয়গুরু!
loading...
ভালোবাসা কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী।
loading...
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। আপনার পাতায় যেতে পারছি না।
মার্জনা চাইছি। আজ কিছুদিন ধরে খুব ব্যস্ততায় আছি।
কবিতা পোস্ট করার সময় পাচ্ছি না।
শুভেচ্ছা রইল প্রিয়কবি।
সাথে থাকুন।
জয়গুরু!
loading...
হেমন্তের গানে মুগ্ধ হলাম প্রিয় কবি দা।
loading...
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। আপনার পাতায় যেতে পারছি না।
মার্জনা চাইছি। আজ কিছুদিন ধরে খুব ব্যস্ততায় আছি।
কবিতা পোস্ট করার সময় পাচ্ছি না।
শুভেচ্ছা রইল প্রিয়কবি।
সাথে থাকুন।
জয়গুরু!
loading...