আমার প্রাণের ঠাকুর গীতিকবিতা-৫
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
যুগপুরুষোত্তম পরম বিভু শ্রীশ্রী অনুকূলচন্দ্রের সৰ্বময় অন্তৰ্যামিত্ব শক্তির কথা সৰ্বজন বিধিত। এই শক্তি তাঁর সৰ্বজ্ঞতাশক্তির অংশ । তাঁর আঠার মাস বয়সে তিনি ভবিষ্যৎ বাণী করে সবাইকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিলেন।
Sree Sree Thakur is omnipotent, omnipresent and omniscient. Devotees used to see him in many places in the same time. Many people have their own open confession about it. These things are miraculousness, but Sree Sree Thakur has said, when people achieved real divinity then, they can try to have the same power. So, there is no miraculousness, because it is possible by a human being.
মাতা মনোমোহিনী দেবী শিশু-সন্তান অনুকূলকে নিয়ে একটি নবজাতককে দেখতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন দেব-শিশু অনুকূল মাকে বলেছিলেন, তুমি তাকে দেখবেটা কি, সে তো মাত্র আঠার দিন বাঁচবে। নবজাতক শিশুটি আঠার দিনই বেঁচে ছিল।
অসংখ্য অলৌকিক ঘটনা নিত্য ঘটতো মানুষের সামনে। ঘটনাগুলোর পেছনে যে কারণ সমূহ থাকতো তা নাছোড়বান্ধা ভক্তদের অনুরোধে অনেক সময় তিনি ব্যাখ্যা করে দিতেন। মানুষের মস্তিষ্ক কোষ ও স্নায়ুর সাড়াশীলতার আওতার বাইরে বিশ্ব-প্রপষ্ণে অনেক বিষয় রয়েছে- যা মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িত, অথচ মানুষ তা জানে না। পরম পুরুষ এরকম অনেক বিষয় করুণা করে মানুষকে শিখিয়েছেন জগতের শিক্ষার জন্যে। কারণ, তিনি লোক-শিক্ষক। অকারণে বিস্ময় সৃষ্টি করার জন্যে কোন অলৌকিকত্ব তিনি দেখাননি।
অলৌকিকত্বের উপর নিৰ্ভর না করতে কঠোরভাবে নিৰ্দেশনা দিয়েছেন। মানুষের যোগ্যতার উদ্বৰ্দ্ধন করে অযোগ্য, অক্ষমকে যোগ্য করতে সাহস, শান্তনা, সেবার দরজা উন্মুক্ত করতে বলেছেন প্রিয়পরম শ্রীশ্রীঠাকুর।
উনবিংশ শতাব্দীর ক্রান্তিলগনে জীবন-বিজ্ঞানের যে অগ্রযাত্রা তিনি শুরু করেছেন; বিজ্ঞান আজও সেখানে যেতে পারেনি। দূরবৰ্তী বিষয় জানতে যে দীৰ্ঘ সময় লাগত তা হয়তো কয়েক মিনিটে জানা যাচ্ছে, এই জানার পেছনে যন্ত্র, মানুষ ও নানা কিছু ক্রিয়াশীল থাকতে হচ্ছে। শ্রীশ্রীঠাকুর যা বললেন, তাতে শুধু মানুষকেই তা করতে হবে।
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আদর্শ ও উপদেশ::
প্রেমের ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র একজন সমাজ সংস্কারও, সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কার দূর করার জন্যও তিনি বিভিন্ন বাণী দিয়েছেন।বর্তমানে বিভিন্ন গুরু বা তাদের শিষ্যের প্ররোচনায় নিজেকে কৃষ্ণ দাবি করেন,অথবা শিষ্যরাই তাদের গুরুকে ভগবান বানিয়ে দেন।সেই গুরুকে ভগবান বানিয়ে তার নাম প্রচার করেন, তার নামে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।তাই এই কুসংস্কার দূর হওয়ার জন্য ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র বলেছেন,
” গুরু ছেড়ে গোবিন্দ ভজে,সে পাপী নরকে মজে।গুরু কৃষ্ণ অভেদ হয় শাস্ত্রের প্রমাণে।এই বাণীর দোহাই নিয়ে অনেক ব্যাভিচার, নিজ স্বার্থ উদ্ধার করছে। ( ইসলাম প্রসঙ্গে, পৃষ্ঠা -১৯৩)
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রও একজন সদগুরু। সদগুরুরা সব সময় ভগবানের কথাই বলেন।কারন ভগবানকে না পেলে কোন দিন মুক্তি লাভ হয় না।সদগুরুরা ভগবানের পরম ভক্ত হয়, তাই তারা শিষ্যকে সব সময় ভগবানের পথে নিয়ে যান। আর ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র এতই উদার, তিনি কখনোই বলেননি যে শুধু আমার কাছ থেকেই দীক্ষা নিতে হবে। তিনি বলেছেন, যেখান থেকেই নেও সদগুরুর কাছ থেকে নিও।
১ / ভগবানকে পেতে গেলে সদগুরুর শরণাপন্ন হতে হয়। ( আলোচনা প্রসঙ্গে – ২১)
২ / প্রশ্ন: আমি কোথায় দীক্ষা নেব?
শ্রী শ্রী ঠাকুর : যেখান থেকে নেও, সদগুরুর কাছে থেকে নিও। ( আলোচনা প্রসঙ্গে -২২,
৩/ যা! তোর ভয় কিসের? তুই নাম নিয়েছিস তোর গুরু আছে,ভগবান আছেন,তুই সেই পথে চলবি।ভগবানকে ভালবাসবি,ভগবান কাউকে ছাড়েন না।তোরাও তেমনি কাউকে ফেলবি না,কাউকে ছাড়বি না।সকলকেই ভালবাসবি,তাদের সেবা করবি।খুব করে নাম করবি,স্ফূর্তিতে কাম করবি। ( আলোচনা প্রসঙ্গে, ৬)
আসুন, আমরা সকলেই শ্রী শ্রী ঠাকুরের নির্দেশিত চলার পথে অগ্রসর হই আর তাঁর আদর্শকে অনুসরণ করে জীবনকে ধন্য করে তুলি। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!
আমার প্রাণের ঠাকুর গীতিকবিতা-৫
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
আমার প্রাণের ঠাকুর সবার দেবতা,
যুগের ঠাকুর তুমি অখিলের ত্রাতা।
প্রাণের ঠাকুর তুমি দেবতা আমার,
প্রণাম জানাই প্রভু চরণে তোমার।
পিতা শিবচন্দ্র তিনি জনক তোমার,
জননী মনমোহিনী পূজ্য সবাকার।
প্রাণের ঠাকুর তুমি দেবতা আমার,
প্রণাম জানাই প্রভু চরণে তোমার।
তুমি রাম তুমি কৃষ্ণ ওগো দয়াময়,
তুমি সৃষ্টি তুমি স্থিতি তুমিই প্রলয়।
প্রাণের ঠাকুর তুমি দেবতা আমার,
প্রণাম জানাই প্রভু চরণে তোমার।
কলির ঠাকুর তুমি জগতের সার,
সবার দেবতা তুমি আরাধ্য আমার।
প্রাণের ঠাকুর তুমি দেবতা আমার,
প্রণাম জানাই প্রভু চরণে তোমার।
loading...
loading...
সুন্দর হয়েছে দাদা
loading...
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথে থাকবেন।
আপনার সামহোয়্যার ব্লগ কেমন চলছে।
আমি তো লগ ইন করতে পারছি না।
সাহায্য করলে বাধিত হবো।
আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।
জয়গুরু!
loading...
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আদর্শ ও উপদেশ পড়লাম মি. ভাণ্ডারী।
loading...
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রও একজন সদগুরু। সদগুরুরা সব সময় ভগবানের কথাই বলেন।কারন ভগবানকে না পেলে কোন দিন মুক্তি লাভ হয় না।সদগুরুরা ভগবানের পরম ভক্ত হয়, তাই তারা শিষ্যকে সব সময় ভগবানের পথে নিয়ে যান। আর ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র এতই উদার, তিনি কখনোই বলেননি যে শুধু আমার কাছ থেকেই দীক্ষা নিতে হবে। তিনি বলেছেন, যেখান থেকেই নেও সদগুরুর কাছ থেকে নিও।
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পাই।
সতত সাথে থাকবেন।
প্রত্যাশা রাখি।
পরমপিতার অমিয় পরশে সবাকার জীবন ধন্য হোক।
জয়গুরু!
loading...
গুরু জীবনী এবং জুড়ে দেয়া আপনার অনুভূতি ভালো উপহার হয়েছে কবি।
loading...
জগতের প্রতিটি মানুষ তার যাবতীয় সুখ-দুঃখ পরম পূজ্যপাদ আচার্যদেবের চরণে নিবেদন করে সান্ত্বনা ও সমাধান পেয়ে চলেছে। কারণ একটাই আমার পরিবারের অভিভাবক যে তিনি; পরম পূজ্যপাদ শ্রী শ্রী দাদা! তাই আজও নিত্য লাখ লাখ মানুষ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের, বিভিন্ন সংস্কারের, তাঁর শ্রীচরণে আশ্রয় পেয়ে ধন্য হচ্ছেন। আজ পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ এই সৎ নামে দীক্ষিত হয়েছেন। দীক্ষা গ্রহণের এই ধারা অব্যাহত আছে, থাকবে যুগ যুগ ধরে।
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পাই।
সতত সাথে থাকবেন।
প্রত্যাশা রাখি।
পরমপিতার অমিয় পরশে সবাকার জীবন ধন্য হোক।
জয়গুরু!
loading...
অভিনন্দন কবি।
loading...
পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের মুখনিঃসৃত যে হাজার হাজার বাণী ও প্রশ্ন-উত্তর যা কিনা মনুষ্য জীবনে অমৃততুল্য, মাতৃদুগ্ধের ন্যায় অপরিহার্য। তাঁর একেকটি বাণী এককটি মুমূর্ষু মানবের কাছে জীবনদায়ী। ভাষা দিয়ে পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুরের প্রকাশ ঘটানো কখনো সম্ভব না।
আসুন, আমরা সকলেই শ্রী শ্রী ঠাকুরের নির্দেশিত চলার পথে এগিয়ে যাই
আর আমাদের এই তুচ্ছ জীবনকে ধন্য করে তুলি।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু!
loading...
ঠাকুর এর প্রতি শুভেচ্ছা জানালাম কবি।
loading...
আসুন, আমরা সকলেই শ্রী শ্রী ঠাকুরের নির্দেশিত চলার পথে এগিয়ে যাই
আর আমাদের এই তুচ্ছ জীবনকে ধন্য করে তুলি।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু!
loading...
কলির ঠাকুর তুমি জগতের সার,
সবার দেবতা তুমি আরাধ্য আমার।
প্রাণের ঠাকুর তুমি দেবতা আমার,
প্রণাম জানাই প্রভু চরণে তোমার।
loading...
ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তাকে কোন নামে ডাকা সর্বোত্তম, আমরা এ বিষয়ে অনেক সময় দ্বিধায় পড়ে যাই।তাই ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র আমাদের এ বিষয়ে সকল সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন, যাতে আমাদের মনে আর কোন দ্বিধা না থাকে।
শ্রী শ্রী ঠাকুরের নির্দেশিত চলার পথে এগিয়ে চলুন।
আর আমাদের এই তুচ্ছ জীবনকে ধন্য করে তুলি।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু!
loading...
প্রণাম প্রিয় কবি দা।
loading...
ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র এমনি পরম ভক্ত ছিলেন যে, তার সারা জীবনের সকল কর্ম, বলা,চলা সকল কিছুই ভগবানের কৃপা বলে মনে করতেন।এবং সকলেই বুঝাতেন ভগবানের সাথে আমাদের সম্পর্ক কতটুকু।
শ্রী শ্রী ঠাকুরের নির্দেশিত চলার পথে এগিয়ে চলুন।
আর আমাদের এই তুচ্ছ জীবনকে ধন্য করে তুলি।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু!
loading...