কৃষ্ণা মালিক-এর ব্লগ
স্বতন্ত্রের স্বাতন্ত্র্য সুপিরিয়রের মধ্যে ইনফিরিয়র কমপ্লেক্স তৈরি করে দেয়
শৃঙ্খলা নামক শৃঙ্খল সুপিরিয়র নামক এককের যাবতীয় ক্ষমতার চাবিকাঠি। আসলে সুপিরিয়র মাত্রেই আধারিত ক্ষমতা। আবার উক্ত একক একটা জেলখানা বা খোঁয়াড়ের পাহারাদার ছাড়া আর কিছু নয়, যা তার কর্মক্ষেত্র। শৃঙ্খলা তথা শৃঙ্খলের বাইরে বের হতে চাওয়া কোনো স্বতন্ত্রের স্বাতন্ত্র্য তাই সহ্য করা কোনো পড়ুন
জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৫ বার দেখা | ২৯৭ শব্দ
আমার রবীন্দ্রনাথ
আমার রবীন্দ্রনাথ
সদ্য রবীন্দ্র তিথি গেলো। সবাই তাঁকে নিয়ে পোস্ট করছেন। আমারও শখ হলো পোস্টাতে। একটা বছর তিন-চারের পুরোনো, প্রকাশিত লেখা। আমার রবীন্দ্রনাথ
ভালো বই শিক্ষকের সমান। যে মানুষ বই পড়েন তাঁর অনেক শিক্ষক। আমাদের মাথার উপর অনেক দিকনির্দেশক ছায়ার হাত ছিল। সেইসব হাত পড়ুন
জীবন, ব্যক্তিত্ব | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১০ বার দেখা | ১০২৪ শব্দ ১টি ছবি
মরা ব্যাঙের নাচ
মাঝে মাঝে আমায় বোবায় পায় বলে বাক্যি হরে যায়। মুখে তখন একটা অদৃশ্য ‘কালা হাতে’র মতো সেলোটেপের অস্তিত্ব টের পাই, আর বুকের উপর দিয়ে গোদা পায়ে কেউ নির্ঘাত হেঁটে চলে যায়। কারো কোনো প্রশ্নের উত্তরে একখানা অক্ষর পর্যন্ত মুখের পেট থেকে খসাতে যন্ত্রণা ও পড়ুন
অণুগল্প, জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬১ বার দেখা | ১১৮৬ শব্দ
যাতনার নকশিকাঁথা
আমার পূর্ণ আকাশে তুমি অর্ধচন্দ্র। একদিকে তার মায়াময় বিভায় আমার আনন্দসুষমা, আর বাকি আধখানায় অন্ধকার। সেই আধখানা আকাশ যেন দূরের নক্ষত্র দিয়ে কালো পশমিনায় বোনা একটা যাতনার নকশিকাঁথা। ওগো প্রেম, তুমি তো এমনই! তোমার ভেতর একজন ঈশ্বরীতলার ফুলধূপচন্দনগন্ধের সম্ভ্রম আর শুচিবাইগ্রস্ত। তাকে ধরা পড়ুন
জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৭ বার দেখা | ৮৭ শব্দ
তুমি জেনে রাখো
এভাবেই কান্নাকে বিলিয়ে দিচ্ছি জলের দরে। যার কান্না নেই, সে তো শালগ্রাম শিলা। নিজের হৃৎপিণ্ড ছিঁড়েখুঁড়ে নেবার পর তোমার উঠোনে রেখে গেলাম একটা ওপড়ানো নিষ্পত্র গাছ। তাই এখন আমার কোনো কষ্ট নেই। তোমার দেউড়িতে ঢুকতে না-পারা আমার কথারা গর্ভপাতের মতো নষ্ট হয়। আমার কথারা পড়ুন
জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০২ বার দেখা | ১৭৮ শব্দ
এখন কবিতা লিখি না - ১৬
তীরে যে নৌকো বাঁধা ছিল
আলগা হয়েছে নোঙর
উপড়ে গিয়ে ভেসে যাবে এবার মাঝনদীতে – হয়েছে সময়।
মাঝি থাকে না কখনও শেষ পারানীর। দাঁড় ও হালবিহীন নৌকো চলে যাবে মোহনার দিকে।
তুমি তীরে দাঁড়িয়ে শেষবার দেখে নিও,
সে নৌকো তোমার কখনও হয়তো প্রিয় ছিল! পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৩ বার দেখা | ৪০ শব্দ
মার্চের অসুখ
মনে আছে, সে-বছর তোর ভীষণ অসুখ?
দিবারাত্র কষ্ট, খিদে নেই ঘুম নষ্ট –
এক অসহ্য সুখে তোর পুড়ে যেত বুক। শোনিত মধ্যে ফুলে ভরা আস্ত একটা মার্চ গাছ
মাথা দোলাত হঠাৎ হঠাৎই হাওয়ায়
হাওয়ারও বিরাম ছিল না দু’বাড়ি আসা-যাওয়ায় তোর মাথার ভেতর, নিঃশ্বাসে তখন একটাই নাম
বললাম, ভালো নয়, পড়ুন
কবিতা, জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৪ বার দেখা | ৮৯ শব্দ
কে আছে - আছো কেউ?
রাতের সমুদ্রের সামনে ঠাকুমা আমাকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল ছেলেবেলায়। অন্ধকারে ছুটে আসা ঢেউগুলো দেখে মনে হয়েছিল জমাট কালো দলমার চলমান পাহাড় ধেয়ে আসছে। তার যেন শেষ নেই। তারা করাল শুঁড়ে জড়িয়ে আমায় দূরে ছুঁড়ে ফেলে চূর্ণ করে দেবে একেবারে। ভয়ে ছুটে পালিয়ে পড়ুন
জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮০ বার দেখা | ১৯৫ শব্দ
এখন কবিতা লিখি না - ১২
আমিও বন্দর ছেড়ে পাল উড়িয়ে দিই
ডাঙায় পড়ে রইল ভরাট গাভীচরাট আলো
গঞ্জের স্যাঁতস্যাঁতে মায়াবী ঘরবাড়ি দূরে ভেসে যায় আমার অপার শস্যডিঙি
মানুষের মাথার পিছনে যে মুখগুলি কখনও দেখিনি
তারা পাশে পাশে জলে ভেসে যায় দূর থেকে কুয়াশার ভেতর দেখি পাকুরতলার জাগ্রত দেবি থান –
সে নাকি অনাদি পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৪৩ বার দেখা | ৫৮ শব্দ
গদ্য না পদ্য না - ইয়ার্কির লেখা
দুটো বিরাট ষাঁড় পাশাপাশি গায়ে গা লাগিয়ে সটান দাঁড়িয়ে আছে। দৃষ্টি নৈর্ঋতে। ছবিয়ালা যেন এই ভঙ্গিতে রেখে গালে তুলি ঠেকিয়ে ঘাড় বাঁকিয়ে দেখছে। একটু ওপাশে উঁকি দিলেই পাতার ঝালর পরা একটা লোক ল্যাদনা হাতে গোবেচারা মুখ। কপালে হাত রেখে দূর ঠাওর করে। ওই যে পড়ুন
জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৭ বার দেখা | ১৪৭ শব্দ
ভ্রমর কোয়ো গিয়া
‌যখন নিষেকের আকাঙ্ক্ষায় ধানফুল মেলে দেবে তার গোপন ওষ্ঠপুট। এক আশ্চর্য পৃথিবী খুলে গিয়ে সেই দৃশ্য ডানায় আড়াল করে অন্ধ করে দেবে মানুষের বাচালতা। তখনই ফুলখেলার গন্ধ মাখা বাতাসের প্রবাহ ধরে তুমি আসবে বলেছিলে এই ধুলোর গ্রামদেশে। যেখানে প্রতিটি পথের বাঁকে সরল ঘাসফুলে গোপন পড়ুন
জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০০ বার দেখা | ১৩৩ শব্দ
হাবিজাবি লেখা - ১০
তবু শুকতারা পার হলে আমিও ঘাসে ঘাসে নিহারিত পা,
বেহদ্দ ক্লান্তির পোশাক খুলে নদীতে ডুবি, যেন তেষ্টাপূরণ জল –
আদিগন্তময় নিজেকেই ছড়িয়ে বলি, আঃ! জীবন – এভাবেই প্রথাগত ভালোবাসা লেখার পর যদি ঘৃণার খোলা করতল রাখি –
তবে আর কীসের জয় পরাজয়? অথচ পড়ুন
কবিতা, জীবন | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১২২ বার দেখা | ১২৩ শব্দ
এখন কবিতা লিখি না - ৮
নিজেকে আবিষ্কার করি এক মহাশ্মশানে তুমুল বজ্রপাত আমায় গেঁথে ফেলেছে মাটির সঙ্গে
পোড়া গাছের মতো দাঁড়িয়ে আছি দেখছি করোটির স্তুপ
কবন্ধে রক্তের ফোয়ারা
কোটি কোটি মুদ্রার পত্তনিদার জ্বালিয়েছে চিতা সদম্ভ পদচারণা করে
যত দুঃশাসনের চেলা –
তত পুতনা –
আর বারোভাতারি স্বৈরাচারীর তর্জনী করে খেলা পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯২ বার দেখা | ৪১ শব্দ
গোধূলি -এক
গোধূলি -এক
আজও পৃথিবীতে গোধূলি এসে নামে,
পল্লবের ফাঁকে শিস দিয়ে পাখিরা দেশে গ্রামে
দুলিয়ে যায় বাতাসের শরীর,
সুখের মতো কচি ঘাসে শিশির ঝরে পড়ে শবরীর
মতো, তাতে ফুটে থাকে সূর্যের অফুরন্ত দেয়ালা।
কার্তিকেয় বাতাস এখন প্রথম প্রেমের মতো মেদুর, আর
সবুজ প্রান্তরের উপর গড়িয়ে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০৮ বার দেখা | ১২৮ শব্দ ১টি ছবি
হাবিজাবি লেখা - ৬
জলময়ূরের মতো ব্যথালু ডেকে ওঠে মেঘবৃষ্টির বিকেলটি।
তোমার মনে পড়ে কি ঝাঁপি টেনে নিজেকে গুটিয়ে নিই
গৃহহীন,
ভিজে ভিজে অসুখকে সুখ দিই, জল গিলে শরীর পচিয়ে ফেলি যত
ফুটপাত যাত্রীর সর্পিল লাইন, শরীর টেনে টেনে ছাউনির নীচে এ কোণে ও কোণে
ঘুম সরাই, খিদেমেটার পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৫৮ বার দেখা | ৭১ শব্দ