প্রথম হলুদ রঙের অলকানন্দা দেখেছিলাম
চিম্বুক পাহাড়ে শ্রাবণের এক ক্ষণে।
বৃষ্টির বারি’তে ভেজা পাহাড়ে ফোটা ফুল
কেমন যেন আড় চোখে তাকিয়ে ছিলো আমার দিকে।
তার স্নিগ্ধতায় আমি
বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম সময়ের পদযাত্রা,
কতটা সময় চলে গিয়েছিলো মনে নেই আজ
ঝিরঝির বাতাসে ঝরে পড়া ফুল তুলে নিয়েছিলাম,
সাজিয়ে ছিলাম দু’হাতের আঙ্গুলে নিজের অজান্তে
তারপর… অনেকটা সময় তাকে নিয়েই ঘুরে বেড়িয়েছি
বন জঙ্গলে, নদীর তীর ঘেসে জেগে ওঠা কাশফুলের ঘরে,
আকাশের দিকে চোখ রেখে দেখেছি সাদা মেঘের পালকি
নদীর পালতোলা নৌকা গুলোকে মনে হয়েছে বাসরশয্যা …
সময়; হায়রে সময়…
ধীরে খুব ধীরে ফুলের বুকে জমে যায় সময়ের মলিনতা
হাতের আঙ্গুল থেকে খসে পড়ে শুকনো অলকানন্দা ছোট নদীটির বুকে,
ভেসে যায়.. ভেসে ভেসে চলে গেছে স্রোতস্বিনী বহমান জলে
আমার বুকের জলের জলছবি শুকনো বালুর মাঝে;
বাতাস ছোঁয়াইয়াছিল বিষয়ের বিষ, সেই বিষ বালুর একটি কণা
চোখের খু্ব গভীরে আজো আটকে আছে ফুলের অতীত হয়ে।
সেই থেকে সব বাঁধন স্বাধীন হয়ে গেছে
সেই থেকে সব ইচ্ছা মুক্ত খাঁচায় বন্দী
সেই থেক সব প্রেম তারা হয়ে খসে
সেই থেকে শব ভালোবাসা নবীন চন্দ্রে জাগে
সেই থেকে আমার হাতের মাঝে কারো হাত আর বন্দী হয় না।
loading...
loading...
সেই থেক সব প্রেম তারা হয়ে খসে
সেই থেকে শব ভালোবাসা নবীন চন্দ্রে জাগে
সেই থেকে আমার হাতের মাঝে কারো হাত আর বন্দী হয় না।
loading...