যাবার বেলায় বলেছিলে
ফিরে আসবে হেমন্তের ফসল ঘরে তুলতে,
ফিরে আসবে মাঠের পাকা ফসলের বুকে,
ফিরে আসবে শরীরে জেগে ওঠা শিশিরের ঘ্রাণ পেতে।
সেই থেকে প্রতিটি হেমন্তের আগমনে ফসলের বীজকোষে
আমি কৃষাণি হয়ে যাই। অপেক্ষার প্রহরে পাতার ফাঁকে রাতের
শিশিরজলের প্রত্যাশা নিয়ে বসে থাকি তোমার রেখে যাওয়া
প্রেমের ভ্রুণকে বাঁচিয়ে রাখবো বলে।
ফিরে অাসবার আগে
সব কিছুরই একটি আগমনী গান থাকে
নিজেকে জানান দেবার জন্য;
তেমন কোন সুর আজো শুনতে পাইনি
তোমার রেখে যাওয়া লতা কিংবা বৃক্ষের শাখায়;
দেখাতে পারোনি আজো গৃহস্থের পূর্ণ ফসলের ডোলা।
তবু কোনদিন কারো কাছে বলিনি সোনালী ফসলের মাঠে
হয়নি কভু চোখ মেলে চাওয়া, হয়নি নগ্ন পা’য়ে ছুঁয়ে দেখা
সবুজের শীতল তরল, যে তরল তপ্তরূপে শুষে নেয়
বুকে থাকা জমাট শ্যামল।
শুধুই জেনেছি আমি, পাকা ফসলের ঘ্রাণ
সময়ের ভারে ক্ষয়ে ক্ষয়ে পড়ে জমিনের বুকে।
তবু কোনো বোধনের সুরে ডাকি’নি তোমায়;
সুখের দ্রুপধি স্বপ্ন ভেঙে যাবে বলে। যেমন
হেমন্ত তার সুখস্পর্শ ভেঙে চলে যায়
পৌষ’এর কুয়াশার কাছে।
প্রতিটি শরৎ শেষে উত্তরায়ণে থাকে তনু;
পেতে চায় কিছু হেমন্তে জড়ানো থরথর
সুখের কম্পন হৃদয়ের অাঙ্গিনায়।
মৃদু উষ্ণ শিশিরে জড়ানো মন
নতুন বীজের স্বপ্নে ঝেরে ফেলে
জীবনের যত শব চিটাধান।
এখনো তোমার শরৎ পথের
হয়নি কী অবসান!!
এ গাঁয়ে এখনো মাতাল ঘুঙুর হেমন্তের পা’য়ে
কামনার নৃত্যে বাজে,
এ গায়ে আবারো জরানো চাঁদের আলোতে তারাদের সাথে
রাতজাগে কুমারীর লাজে।
ভিনদেশী তারা বসন্ত দিনের সাথী, সঞ্চিত করো প্রেম সুধা তব
হৃদয়ে হেমন্ত ডাকি
ফিরলে কুলায় দেখতে পাবে, কার্তিক মাসের দ্বাদশীর চাঁদে
জেগে আছে দুৃ’টি অাঁখি ফসলের অাগমনে।
loading...
loading...
"যেমন হেমন্ত তার সুখস্পর্শ ভেঙে চলে যায়
পৌষ’এর কুয়াশার কাছে।
প্রতিটি শরৎ শেষে উত্তরায়ণে থাকে তনু;
পেতে চায় কিছু হেমন্তে জড়ানো থরথর
সুখের কম্পন হৃদয়ের অাঙ্গিনায়।"
loading...
আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা
loading...