পরজীবী বৃত্ত
পর্বতের গুহায় আটকে আছে জীবনের পান্ডুলিপি
বন্যদশা থেকে তাই মুক্তির মুক্তা সাগরের গভীরে,
মাছের মত নোনা জল থেকে অক্সিজেন নিতে পারিনি;
অবুঝ অবক্ষয় সবুজের বাগানে পালন করে কীট
ক্ষত গুলো তাদেরই তৈরী।
গুহার উল্টো পাশে শ্রমজীবী মৌমাছিদের গৃহ
প্রতি দিন জীবনের পান্ডুলিপির ক্ষয়ে যাওয়ার গুনগুন শব্দকোষ দিয়ে যে মধু তৈরী করে তার সবটুকো চালান হয়ে যায় সৌখিন মোড়কে খাবার টেবিলে।
বিভাজন হতে হতে হতে…
এক কোষী প্রাণী হয়ে বেঁচে আছে সব গতরখাগির দল,
নিজের শরীরের নরম অংশ গুলোও চিবিয়ে খেয়েছে,
হাড়গোর গুলো ডাক্তারের দখলে, দেখে, শুনে,বুঝে যে ঔষধ লিখে দেবে তারও বাজার মূল্য পাহাড় চূড়ায়;
ততটা পথ হেটে যাবার মত শক্তি হারিয়েছে অনেক আগে তাই পরজীবী হয় ফুলের বাগানে ঘুমিয়ে থাকে।
আকাশে পাখি অবাধ স্বাধীন, উড়ে বেড়ায় যত্রতত্র তারপর দিন শেষে তাকে অাশ্রয় নিতে হয় বৃক্ষ ডালে বা পাহাড় গুহায় অার তাই আঁধার চেপে ধরে নীল পাখিদের পাখাদুটো।
কিছু মানুষ বৃক্ষ হয়, কিছু মানুষ দিন,কিছু মানুষ ম্লান চাঁদ, কিছু মানুষ রাত, কিছু মানুষ পাহাড় চূড়ায় গড়ে রাজ্যপাট, কিছু লোকের দরজা বন্ধ খোলে না কপাট,
কিছু রাজা ভেল্কি দেখায় প্রজাদের চোখ ঘুম কাতুরে তবুও কিন্তু সোজা, পেটের ভিতরে সুরঙ্গ অাছে যায়না কিছুই বোঝা।
যত সব আউলা মগজ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়
রাতকানা রোগী
দিনের বেলা দিনের আলো সবটুকু চেটেপুটে পেটপুরে
সন্ধ্যা নামার আগেই তলপীতলপা গুছিয়ে গুহার ভিতরে ঢুকে যায়,
আর কর্মী মৌমাছি কষ্টের গুনগুন নিয়ে আবার খুঁজে চলে বনফুলের মধু।
loading...
loading...
সন্ধ্যা নামার আগেই তলপীতলপা গুছিয়ে গুহার ভিতরে ঢুকে যায়,
আর কর্মী মৌমাছি কষ্টের গুনগুন নিয়ে আবার খুঁজে চলে বনফুলের মধু।
* শুভ কামনা সবসময়…
loading...
প্রণাম জানাই মন দা। এমন সব লেখা হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
loading...
জীবনের কবিতা কবি দা।
loading...
আক্ষরিক এবং শব্দ ভাব এর ভাবকথনে লিখাটি যথেষ্ঠ সমসাময়িক। এভাবেই আমাদের নিজস্ব সব দিনরাত্রি। কখনও বদলায় হয়তো বদলায় না কখনও এই সামাজিক ক্ষরণ।
loading...
সুন্দর কবিতা।
loading...
অসাধারণ
loading...