যোগ বিয়োগের ঈদ
মেয়েটি তখনো কেনেনি ঈদের শাড়ী
বাবা বলেছিলো ফিরবে যখন বাড়ি
আনবে সাথে লাল ফিতা লাল চুড়ি
যাবার বেলায় কপালেতে চুমু মেখে
বলেছিলো সে তুই যে আমার জান
মেয়ে বলেছিলো বাবা …
তোমার জন্য সদা কাঁদে মোর প্রাণ।
বাবা ভাবে
শহরেতে গিয়ে ঈদ তিন দিন রিক্সা চালাবে মেলা
এ সময়ে সব শহরে বাবুদের থাকে বেশ দিল খোলা।
সাথে নিয়ে কিছু চিড়া আর মুড়ি বাবা যায় শহরে,
মেয়ে বসে ভাবে এবারের ঈদ কাটবেই খুশিতে
দুই দিন যায় তিন দিন যায় বাবাতো আসে না বাড়ি
ময়ে বসে ভাবে এইবারে ঠিক বাবার সাথে করে দেবে খুব আড়ি।
চার দিন যায় পাঁচ দিন যায় বাবার খবর নাই
আড়ি ভুলে মেয়ে চিন্তায় পরে কি করি কোথায় যাই।
ছয় দিন পরে খুব সকালে কাঁধে বয়ে এক লাশ
ধীর পায়ে হেঁটে পুলিশ দাঁড়ায় তাদের বাড়ির পাশ।
গলা করে ক্ষীণ পুলিশ শুধায় এটা কাহার বাড়ি
চঞ্চল চোখে মেয়ে তাকায় আলুথালু তার শাড়ী।
দুই দিন আগে মহা সড়কে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট
এই বডি ছাড়া শাড়ি, চুড়ি ফিতা রয়ে গেছে অবশিষ্ট।
রাখুন এই সব আপনার কাছে শেষ উপার্জনের কেনা
দানবের ঘায়ে মুখমণ্ডল তার যায় না মোটেই চেনা।
হাতে নিয়ে চুড়ি শাড়ী নিশ্চুপ মেয়েটি আকাশ পাণে চায়
চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পরে মৃত বাবার গায়।
________________________________
৩১/০৮/২০১১
loading...
loading...
কবিতাটি পড়ে কিছুক্ষণ চুপ হয়ে থাকলাম। নির্মম এক বাস্তবতার চিত্র। ধন্যবাদ বন্ধু।
loading...
কবিতাটি যেভাবে গড়েছেন তার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় মনটা দুখী হলো মন দা।
loading...