অমীমাংসিত লেফাফা ৪
আমি নদীর জল দুই হাতে তুলে নিজের ছায়া দেখতে চেয়েছি,
ধীরে খুব ধীরে কাঁপন ধরা আর্শীতে যখনি নিজেকে
দেখবো বলে ঝুঁকি, আঙ্গুলের ফাঁক গলে হারিয়ে যায়
সব তরল সৌন্দর্য্য। আর নিজেকে খুঁজে পাইনা।
নদীর বুকে সপাং সপাং শব্দ তুলে, যে মাঝি
নদীকে দুই ভাগ করে তার কাঠের বৈঠা দিয়ে
তারও একটা সুর থাকে, লয় থাকে কিংবা
গন্তব্যে পৌছানোর তাড়া। আমার তেমন কোন টান নেই,
তাড়া নেই, সুর নেই কিন্তু সেই ভাঙ্গনের শব্দ ঠিকই আছে
যেমন থেকে যায় কষ্ট ভুলতে আকণ্ঠ সুরা পান করা
মানুষের মনে ভুলতে না পারার জ্বালা। আসলে হিসেবি মানুষই
সবথেকে বেহিসেবি হয় ঠিক যেমন খুব চেনা মানুষ গুলো
অচেনা রং হয়ে ফিরে আসে।
কোন দিন তোমার কোন কিছুই আমার কাছে
অচেনা-আজানা ছিলোনা বলেই তোমাকে আজো
জানতে পাড়লাম না, বুঝতে পারলাম না জীবনের
কোন ভাঁজ কোন সুর কোন রং এর সূতোয় বেঁধে
টেনে তুলতে হয়। জীবনের সকল দায় স্বপ্নের কাছে
বিক্রি হবার জন্য নয়, জীবনের সব দেনা শোধ করার জন্য নয়,
জীবনের সমস্ত প্রাপ্তি উপভোগ করার উপায় নেই কোন,
আর সকল কষ্ট ভুলে সুখ পাওয়া যায় না,
তাই স্মৃতির ফ্রেমে আটকে থাকা প্রতিবিম্ব
সময়ের প্রলোভনের উল্লাসে হারিযে যেতে দেইনি বলেই
আজো নিজেকে দেখতে পাই পারদবিহীন আয়নায়
যেখানে নিজেকে উল্টো করে তুলে ধরতে হয় না
ভালোবাসাকে শুদ্ধো করতে।
এটা কোন কবিতা নয় এটা কুবিতা।
loading...
loading...
‘ধীরে খুব ধীরে কাঁপন ধরা আর্শীতে যখনি নিজেকে
দেখবো বলে ঝুঁকি, আঙ্গুলের ফাঁক গলে হারিয়ে যায়
সব তরল সৌন্দর্য্য। আর নিজেকে খুঁজে পাইনা।’
আমি বিশ্বাস করি … আপনার লিখা অন্য সবের লিখা থেকে স্বতন্ত্র। কোথায় গিয়ে যেন আপনাকে ঠিক ঠিক আলাদা করে ফেলা যায়। কবি নয়; লিখক হিসেবে।
অভিনন্দন স্যার।
loading...