তবুও থেমে নেই চাল-চুলোহীন নিপাতন জলের পতন
যদিও আমার দুরবিন চোখ একলা হাঁটে নিস্তেজ প্রান্তর
মাঝে মাঝে কেবল শব্দ পোড়া গন্ধে আকুল হয় অন্তর
তবুও ডানাভাঙা পাখিরা কেউ থেমে থাকে না
দেদার চলছে কেনাবেচা……
অশুদ্ধ হাতের শিরা কেটে ভালোবাসার উল্কি আঁকা;
পার্কের ব্যস্ত টুলে টোলপড়া গালে বাদমের যবনিকা!
যেখানে কোনোদিন কোনো অন্ধকার দ্রবীভূত হয় না
তবে সবাই জানে সেখানেও জীবন থেমে থাকে না
ভুলভাল জল পতনের অশরীরী শব্দ খুঁজে নেয় ঠিকানা
তবুও ভালোবাসার নামে হাসে সুখেন পাথরের কংক্রিট
তবুও কবিতার শব্দে নদী পোড়ায় জীবনের হার্টবিট!
অথচ কত কাজলনদী, কতোদিন জল চোখে দেখে না
রাংতার কাজল মেখে ভুল চোখে জীবনের গন্ধ শুঁকে,
আমি নিপাতন জলের শব্দে কৈলাশ পর্বতের ধ্যানস্থ
মুনি-ঋষিদের ধ্যান ভাঙানোর কথা ভাবি
স্বগৃহে নির্বাসিত মহাজাগতিক নির্বাণের কথা ভাবি
বায়ুশূন্য অবস্থানে সামুদ্রিক সাইক্লোনের কথা ভাবি!
তবে এতোকিছুর পরেও.. আমি এখন আর একা নই
এখন শব্দ পোড়া গন্ধ আছে, নৈঃশব্দ বাতিঘর আছে
সেখানে নিপাতন জলের উর্বশী পাতন আছে
কাকতাঁড়ুয়ার মতো একলা দাঁড়িয়ে থাকার ফুরসৎ আছে
আমি সেই শব্দ পোড়া গন্ধে বুঁদ হয়ে থাকার কথা ভাবি
শ্বাপদসংকুল অরণ্যে কবিতার একাকিত্বের কথা ভাবি!
loading...
loading...
নিপাতন জলের উর্বশী পাতন আছে
কাকতাঁড়ুয়ার মতো একলা দাঁড়িয়ে থাকার ফুরসৎ আছে
আমি সেই শব্দ পোড়া গন্ধে বুঁদ হয়ে থাকার কথা ভাবি
শ্বাপদসংকুল অরণ্যে কবিতার একাকিত্বের কথা ভাবি!
loading...
অতুলনীয় লেখা, খুব ভালো লাগলো।
loading...