শীতল হাওয়া এসে দুপুরের তপ্ত রোদকে আলতো ছুঁয়ে দিলো। চুমো খেলো কপোলে ও চিবুকে। রোদের গায়ে জেগে উঠে শিহরণ। সবুজ ঘাসেরা চিকচিক করে হাসতে লাগলো। নদীর জলে ঝিলমিল তারা ফুটলো।
তারাভরা নদীর জলে রোদ হাওয়ার যৈবতী খেলা দেখতে আকাশের চাতক ভূমিতে নেমে এলো। মৎস কন্যারা রঙবাহারি শাড়ি পড়ে অভিনন্দন জানালো।
এদিকে জল বাষ্প ছড়িয়ে আকাশকে চিঠি লিখলো। আকাশ খুশিতে সাত রংগের শাড়ি মেলে ধরলো। রোদ হাওয়ার গায়ে জড়িয়ে ধরতেই তা রাঙধনু হলো।
রামধনু শাড়িতে হাওয়া লাজরাঙা হলো। আকাশ টের পেয়ে হাওয়াকে মেঘের আড়ালে লুকিয়ে রাখলো।
হাওয়াকে হারিয়ে রোদ বেচারার খুব মন খারাপ হলো। সে মনের দুঃখে গান গাইতে লাগলো –
হাওয়া, হাওয়া দেখতে কি পাও?
কাছে এসে আমায় তুমি চুমু দিয়ে যাও।
রোদের ডাক শুনে হাওয়া দৌঁড়াতে লাগলো এবং মেঘের গায়ে আছড়ে পড়লো। মেঘ ভেসে ভেসে কাঁদতে শুরু করলো। আর মেঘের চোখের জলেই বৃষ্টির জন্ম হলো। দেখতে দেখতে বৃষ্টির বোন বর্ষা থৈ থৈ করতে লাগলো।
রোদ বেচারার কষ্টের সীমা নেই। তার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যেতে লাগলো। কবে আসবে শরত বাবু? মেঘের কানে কানে বলবে, আর কেঁদো না লক্ষ্মী ছেলে, আবার তুমি হারিয়ে যাও নদীর জলে।
অবশেষে এক সোনালী ভোরে এলো শরত বাবু। রোদের মুখে হাসি ফুটলো। হাওয়া থেকে উড়ে এলো হাওয়া। রোদকে জড়িয়ে ধরে বললো, এইতো আমি এসেছি প্রিয়..।
loading...
loading...
এমন মুক্ত গদ্য যে কোন পাঠকেরই ভালো লাগার কথা।
শব্দ কথার অসাধারণ বুনন। অনুভব এবং উপলব্ধি হৃদয় কাড়ে।
অভিনন্দন মি. জালাল উদ্দিন মুহম্মদ। মন্তব্য এবং প্রতি-মন্তব্যে ব্লগিং হোক আনন্দের।
loading...
ধন্যাবাদ ও শুভকামনা প্রিয়।
loading...