ইন্দ্রাণী সরকার-এর ব্লগ
দিনান্ত শেষে মেঘমালা
দিনান্ত শেষে মেঘমালা
হেমন্তের বিকেলের ডিম রাঙা সূর্য্য
পাইন বনের ওপারে দীর্ঘ ছায়া ফেলে
সমুদ্রের জলের আয়নায় মুখ দেখে।
তখন নিঃ স্তব্ধতা, কচি পাতার ঘ্রাণ,
কালপুরুষের দীর্ঘ ছায়া আকাশ পারে
ম্লান হয়ে আসে ধূসর বিকেল পেরিয়ে। দূরে বৃহৎ গাংচিলের ডানার শব্দ
পতঙ্গদের কান্নার মত ক্রমশঃ বিস্তৃত হয়।
জলপাই রঙের মেঘ আকাশে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৪৩ বার দেখা | ৫৭ শব্দ ১টি ছবি
খেয়াজাহাজে সাগর পাড়ি
খেয়াজাহাজে সাগর পাড়ি
যাত্রীবাহী জাহাজ জল
কেটে কেটে এগিয়ে চলে
সমুদ্রবক্ষের উপর দিয়ে। ধবধবে সাদা তার রং
নীল নীল কাচের জানালা
পর্যবেক্ষণের জায়গা রেলিং দিয়ে ঘেরা
জাহাজের তিন দিক
সামনের দিকে ড্রাইভার এর কেবিন অপূর্ব ফেনিল জলরাশি সরে সরে যায়
তারই মাঝ দিয়ে বয়ে চলে সমুদ্রপাখি মাঝে মাঝে তিমি, ডলফিন, সী গাল
জলের উপর পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৪৬ বার দেখা | ৮০ শব্দ ১টি ছবি
নৌকাযাত্রা
নৌকাযাত্রা
নদীবক্ষে নৌকা বওয়ার শব্দ ছলাৎ ছলাৎ
গলুইয়ের ভিতর দুটি প্রাণ স্বামী ও স্ত্রী
নতুনা বিবাহের পর জামাইয়ের
সস্ত্রীক শ্বশুরবাড়ি যাত্রা। জলের ওপর শাপলা, শালুক ও
পদ্ম পাতা ফুটে রয়েছে। মৌমাছিদের গুনগুনানি, জলের
তলায় ছোট ছোট মাছ, প্রজাপতিদের
পাখায় রং বেরঙের আঁকিবুঁকি,
দূফরে মাঠে রাখালের বাঁশির সুর। ধীরে ধীরে নৌকাটি আপন পড়ুন
কবিতা | ৮ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৫১ বার দেখা | ৪৮ শব্দ ১টি ছবি
নিশ্চুপ মন
নিশ্চুপ মন
অনেক দূরের যে পথটা এঁকেবেঁকে চলে যায়
তার পাশ দিয়ে বয়ে যায় একটা পাহাড়ি ঝর্ণা।
কুলুকুলু জলের শব্দ, একরাশ ফেনিল উচ্ছ্বাস
তারই মাঝে মাঝে থোকা থোকা বেগুনি ফুল।
এলোমেলো বাতাসে পাইনের পাতা তিরতির
সারি সারি দেবদারু পথের ধারটি ঘিরে থাকে।
বাহারি সব পাখিরা এদিকে ওদিকে গেয়ে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১২৬ বার দেখা | ৫৮ শব্দ ১টি ছবি
রংবাহারি ফুলের মেলা
রংবাহারি ফুলের মেলা
বাগানের ফুলটি জানে
ফুটলে ভালোবাসা হয় জুঁইফুলের গন্ধ মেঝে
অমৃতপাত্রে হাত রাখি। বাহারি পাতার ঝাড়ে
মৃদু কম্পন খেলে যায় দুটো পদ্মের পাপড়ি
খসে পড়ে মৃদু ঠোঁটে। গভীর গন্ধে ঘন শ্বাস
হাতের পাতায় মুখটি গাল থেকে ঝরে পড়ে
চুয়া চন্দন আর আবীর। পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৫৪ বার দেখা | ৩০ শব্দ ১টি ছবি
একটি রাতের কথা
নীরব নিশুতি রাতে যখন চলি একা,
দূর থেকে ভেসে আসে বকুলের গন্ধ।
সারি সারি গাছের ফাঁকে আঁকাবাঁকা পথ
ফুলের গন্ধে সুগন্ধি বাতাস বয় মন্দ। দূরের আকাশে ওঠা একফালি চাঁদ
আলোয় ভরায় আমার অজানা এ পথ।
ভয় হয় যেন না হারাই এই আঁধারে
চলার সাথে সাথে গতি হয় শ্লথ। দূরে শুনি পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২১১ বার দেখা | ৮৫ শব্দ
হযবরল

তোমায় ভালোবাসি প্রিয়া আগের জন্ম থেকে
মুখেও বাত পায়েও বাত অপেক্ষাতে রেখে
নত হব না তোমার পাশে যদিও পুত্র সমান
কাটব কচু খাওয়াব কচু রুস্তম মোর নাম। ২
নধর আমার শরীরখানি রাখি তাদের তরে
তোমার জন্য আনি প্রিয়া গবাদি পশু ধরে
তবুও যদি তাকাও তুমি অন্য পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২৫ বার দেখা | ৫২ শব্দ
কষ্ট পেও না
কষ্ট পেও না
অপরাধবোধে তারা চুপ করে থাকে
তুমি কেন কষ্ট পাও ? দেখেছি তোমার কষ্ট আমার কথা ভেবে
অচেনা অজানার অশ্রু আমায় ছুঁয়ে গেল
এ জগতে কে কার কথা ভেবে কাঁদে ?
সব কান্নাতেই জুড়ে যায় নিজের স্বার্থ ওরা সাময়িক ভ্রমে আছে যে বিষয়ে
তারা নিজেরাও পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৮৩ বার দেখা | ১৪৪ শব্দ ১টি ছবি
শ্রাবণের আসা যাওয়া
শ্রাবণের আসা যাওয়া
যতবার এই পথে সে আনাগোনা করে
জলভরা মেঘ হয়ে জাপটে ধরে
পা দুটো অবশ হয়ে যায়
নিজে কাঁদে আমাকেও কাঁদিয়ে দিয়ে যায় চোখের পাতায় রেখেছে শ্রাবণ
অতিথি বাতাস হয়ে ফিরে ফিরে আসে
নির্বিবাদে ছড়িয়ে পড়ে বৃষ্টি সুবাস
তমিস্রা রাত্রে করতলে কিছু পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২৩ বার দেখা | ৪৩ শব্দ ১টি ছবি
অহ্যলার জীবন্মুক্তি
অহ্যলার জীবন্মুক্তি
যশোমতির পাহাড়ি উপত্যকায় আমি প্রথম
দেখেছিলাম তোমার চোখে অপূর্ব ভালোবাসা,
সেই থেকে পাহাড় পাহাড় আমার বড় প্রিয় ।
আমি ছুটে চলি আটলান্টিক থেকে
প্রশান্ত মহাসাগরের সমুদ্রতটে ভেসে যাই ।
প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের শীর্ষে
বুক ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে বন্ধ করি চোখের পাতা,
হাত বাড়িয়ে পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৫৩ বার দেখা | ৮৬ শব্দ ১টি ছবি
বলে দাও আমি কি নিয়ে কথা বলব?
বলে দাও আমি কি নিয়ে কথা বলব ?
বলে দাও আমি কি নিয়ে কথা বলব ?
উর্দু কবিটি যখন জানলার সামনে দাঁড়ায়
তখন তার অনুচ্চারিত স্নেহ আর তার প্রতি
আমার তৎসহ অন্য কবিদের দুর্ব্যবহারের
কথা মনে হয়, ছেলেটিও একটু অদ্ভূত।
চিরকাল তার প্রেমিকা দুটি ছোবল মেরে গেছে,
কি কষ্ট দিয়েছে কি বলি, পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৬৮ বার দেখা | ৭০ শব্দ ১টি ছবি
সংক্ষিপ্ত পরিচয়
সংক্ষিপ্ত পরিচয়ের মানুষ, কদিনের
আগে পরিচয় বুঝি নি।
একা পাশে থেকে একাঙ্ক নাটক করেছে
জানি না তাতে কে কতটা পর্যুদস্ত হয়েছে।
স্বল্পভাষী মানুষ বহুদিন পর ধরা দিল।
মায়ায় ভরা শরীর, এককালীন দস্যি
ভাইকে স্নেহের চোখে দ্যাখে, অহিংসা ধর্ম।
যে টুকু বলে কয় তার ভালোর জন্যই বলে।
নিজের মানুষটি সরে পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৪৩ বার দেখা | ৬২ শব্দ
বসতি
বসতি
পাহাড়ের স্নেহ আঁকতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলি
দিগন্ত বিস্তৃত ক্ষেত, মাঝে মাঝে জলে ডোবা ধানজমি
আর পানের বরজ, আলের পথ পেরিয়ে দেখি পাহাড়।
কোনো ভাষা নেই, চলন নেই, কখনো সখনো ধস নামে।
কিছু বিলাসী বা ঘরহারা মানুষদের পাহাড়ের কোলে বসতি।
দূরে বৃক্ষের পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৬ বার দেখা | ৫৪ শব্দ ১টি ছবি
অভিধান
অভিধান বিচিত্র মানসিকতায় থাকি
একটা শকুন, একটা পেঁচা
আর একটা চিল —
অনুশোচনা শব্দটি অভিধানে
রাখি নি বা প্রকাশ করি না। কাউকে ছুঁতে না পারার বিষ
সবার মনে ঢেলে দিই,
সংক্রামক রোগের মত সেগুলো
এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়িয়ে পড়ে,
শেষমেষ সবাই চুপ করে যায়
আমরা করি না। একটা কানা ছেলে,
তিন চারটে অভিনেতা, কিছু গায়ক,
যাকে পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৩৫৪ বার দেখা | ৫৬ শব্দ
আগমনী
আগমনী
পূজোর মরশুমে নাচে ঢাক ঢোল ঘন্টা
তাই দেখে বেজে ওঠে নিদারুণ মনটা।
জগজ্জননী মাতার সবেতেই লক্ষ্য
জানা নেই কবে তিনি কার নেন পক্ষ।
প্রণাম মাত: তব চরণে রাখি পুষ্পাঞ্জলি
তুমি না রক্ষিলে সন্তানের আকুলি বিকুলি।
পদ্মিনী শঙ্খিনী তুমি, নও কভু হস্তিনী
তব নামে চরাচরে ছুটে আসে আগমনী। পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩০৬ বার দেখা | ৪০ শব্দ ১টি ছবি