চুপ পাথর
রোজই আমি বাড়ির কাজের ফাঁকে ফাঁকে
মোবাইলে ট্যাপ করে ফেসবুক ঘুরতে আসি।
রোজই দেখি কতগুলো ঈশ্বরের সন্তান পদ্য
লিখেছে, আমি পৃথিবী ঘুরে চাদরে আদর
করে ধোপানি হয়েছি, তখনি বুঝি এখানে
ধোপাদের পাড়ায় বেড়াতে আসি, এত কষ্ট
করার পর হয় রেগে উঠি নয় চুপ পাথর হই।
ধোপা, ধোপানীরা রা কাড়ে না
মৌবনী
কতবার ভেবেছি তুমি যদি মাঝি হয়ে
আমায় জলের বুকে ভাসিয়ে নিতে
দাঁড় বেয়ে বেয়ে চলে যেতে বহুদূর
আমি শাপলা পদ্ম তুলে নৌকায় রাখি
তুমি না হয় একটা মালা গড়ে দিও
কানপাশা খুলে ছোট্ট একরত্তি চুমু
তারপর নিয়ে যেও অচেনা এক পারে
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৫১ বার দেখা
| ৯৩ শব্দ ১টি ছবি
আসল অভিপ্রায়
অনাগত সন্তান, স্ত্রী সব বাজে কথা, সব ছল
অনেকটা সময় লেগেছে ওই বোবাকে বুঝতে
আসল কথা চুপ করে থেকে মানুষকে খুঁচোনো
এটাই উদ্দেশ্য, হাজারটা দোষ ঢাকবে কি সে?
তার ওপর আবার জমজমাট সহোদরের নীরব প্রেম
এখন তার ডিজিটাল অক্সিজেন না পেয়ে জীবন মরণ
নিজের অহংকারে নিজেই হয়েছে পতন —-
তাই
কথার পুতুল
কতবার তোকে খুন করতে গিয়েও
হাতগুলো সরিয়ে নিই
তোর হিরন্ময় মন, তোর হিরন্ময় কথা
কথাদের আমরা সাজাই নানান ভাবে
তাদের গায়ে রং দিই, আলখাল্লা জড়িয়ে দিই
দেখতে দেখতে কথাগুলো এক একটা পুতুল হয়ে ওঠে
এই ছুঁড়ি তুই এতগুলো প্রেম সামলে কি করে
এত কিছু ভেবে যাস
রহস্যটা বলবি ?
মাকড়সার জাল থেকে
বারণ
বলতে চাইলে বলতে পারো কথা
বারণ কিছু কোনটাতেই নেই
বেখেয়ালের খেয়ালবশে কত
ভাবনা থাকে আপন মনেতেই
তার চেয়ে বল বেশ ত চুপ চাপ
উদোর পিন্ডি ভুদোর ঘাড়ে দেই
কথার ঘাড়ে কথা পড়ে না আর
মাথা আছে মুন্ডু কেবল নেই
চোখ নেই মোর অন্ধ বোবা কালা
লক্ষ্য যদিও থাকে বেজায় ঠিকই
বাইরে খালি লোক দেখানি
সবসে মিঠা চুপ
কে জানছে কার গভীর অন্তঃস্থলে
কত দুঃখ লোকানো ?
বাইরে থেকে কতটুকু বোঝা যায় ?
আমি এতগুলো মানুষের কষ্ট গিলে গিলে
আর তাদের “অযাচিত ভাবে” দেওয়া কষ্ট
সহ্য করে করে শারীরিক ও মানসিক অসুস্থ।
আর আমি স্বীকার করলাম এ আমার স্বভাবদোষ।
সাধারণ নির্ঝঞ্ঝাট মানুষরা শুনে বলবে,
“ঘরের খেয়ে বনের মোষ
চামউকুনি উলূপী
গতজন্মের মরা মেয়ে বলে নিয়েছিলাম কোলে
পরিবর্তে ছুঁড়ে দিল তার মনের গভীরতা।
স্বর্ণকলস যেন ককিয়ে ওঠে তার বিমূর্ত হাতের ছোঁয়ায়
কি অপরূপ ভাবে কবিতা আঁকে, যেন পটুয়া বসেছে
মৃন্ময়ীকে চিন্ময়ী রূপ দেবে বলে।
নাসারন্ধ্র তার ফুলে ফুলে ওঠে
যখন তার প্রতিভা ফুটে বেরিয়ে ওঠে অবাক দর্জিপাড়ায়।
আমি দেখে ভাবি, কন্যা
নান্দনিক
নান্দনিক তার চলাফেরা, নান্দনিক তার হাসি
দুটি গজদন্ত শ্বাপদ হয়ে ছুঁড়ে দেয় খাবার বাসী
অপরূপ তার ভঙ্গিমা, অপরূপ তার কালিমা
সেই অপরূপে মন মেজে নিয়ে হয় বৃন্দাবাসী।
নাগর এসে একমুঠো করে ধুলো ছুঁড়ে দেয় বাতাসে
আমরা অভাজন তাই চেটে খাই আরও পাবার আশে
বার করে নেওয়াটাই আসল কথা নাগর দিল
ভাগ্যদোষ
মানুষই থাকতে চেয়েছিলাম বরাবর
ভাগ্যদোষে হলাম এক গুপ্তচর
অনটনের সংসার, আজ আছে কাল নেই
ভাগাড় থেকে শকুনের সাথে
খাবার ভাগ করে খাই
তাই দেখলাম এ ব্যবসা টা নেহাত মন্দ নয়
প্রপিতামহ সুত্রে প্রাপ্ত
তাই হতে দিই না তাকে বাজেয়াপ্ত
তবে অন্যেরা যাতে এ জীবিকায়
জীবন না বিলিয়ে দেয় তাই
সব কিছু জানান দিয়ে দিই
হাভে