আমার ফেসবুক জীবনের আলোকে এবং ব্লগিং জীবনের আলোকে মন্তব্য বিষয়ে কিছু অভিজ্ঞতার কথা আলোকপাত করতে চাই।
শব্দনীড়েরও একটি অপশন আছে যেটা হচ্ছে “মন্তব্য প্রদানের প্রকৃতি”।
আমি দেখেছি বিশেষ করে কবি/লেখকদের ক্ষেত্রে ফেসবুকে অনেকে শুধু মন্তব্যের কারণে অনেকদিনের পুরোন বন্ধুকে ব্লক করা হয়েছে এবং তাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্কে টানা পোড়েন শুরু হয়েছে। এটা কবি/লেখকদের ক্ষেত্রে হওয়াটা দোষের কিছু আমার কাছে মনে হয় নি। কারণ ফেসবুকে এমন অনেক কবি/লেখক আছেন যাঁদের বন্ধুর সংখ্যা ৫০০০ হয়ে গেছে। তারপর নতুন আইডি খুলতে হয়েছে। সেটাতেও ৫০০০ হয়ে গেছে। আমাদের বাংলাদেশে এমন কয়েকজন কবি/লেখক বন্ধু আছেন যাঁদের ৫টা আইডিতে ৫০০০ ফ্রেন্ড হওয়ার পর ৬ষ্ঠ আইডি ওপেন করতে হয়েছে। ভারতে আমার এক কবি বন্ধু আছেন যাঁর ৩টি আইডি ৫০০০ হওয়ার পর তিনি ৪র্থ আইডি ওপেন করেছেন। এগুলো তাঁদের করতে হয়েছে জনপ্রিয়তার জন্য।
একজন জনপ্রিয় কবি বা লেখকের কাছে যদি কেউ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান আর তিনি যদি সেই ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট এক্সেপ্ট না করেন তাহলে তিনি একজন অহংকারী কবি/লেখক হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন বিধায় তাঁরা এক্সেপ্ট করে থাকেন। তবে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করার ক্ষেত্রে তাঁরা অবশ্যই দেখে নেন মিউচুয়াল ফ্রেন্ড হিসেবে কারা আছেন।
তাই ৩০,০০০ ফ্রেন্ড যাঁর আছে এবং যেহেতু তাঁর টাইমলাইন পাবলিক করা থাকে তাই কেউ তাঁর লেখায় মন্তব্য করলে কমপক্ষে ৪/৫ লাখ ভিউয়ার তা দেখতে পান। আর যদি সেই মন্তব্য এমন হয় যার কারনে উক্ত কবি/লেখক তার ইমেজ নষ্ট হবে বলে মনে করেন তাহলে তিনি উক্ত মন্তব্যকারীকে ব্লক করতেই পারেন।
ধরুন আপনি ভালো লিখতে পারেন এবং তার প্রমাণ বিভিন্ন ভাবে পাচ্ছেন। তখন আপনার মনে একটা আকাঙ্ক্ষা জাগতেই পারে যে, কোনও দিন হয়তো আপনার এই লেখালিখি আপনাকে বিশেষ একটি পর্যায় নিয়ে যেতে সক্ষম। এই ক্ষেত্রে ধরুন আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে ১৫০০ ফ্রেন্ড আছেন আর আপনার টাইমলাইন পাবলিক করা আছে তাহলেও আপনার লেখা ও মন্তব্য কমপক্ষে ১ লাখ ভিউয়ার দেখতে পারবে। এখন আপনার কবিতায় বা লেখায় কেউ যদি আক্রমনাত্মক মন্তব্য করে বা আপনার ভালো চায় না অথচ আপনার অনেক পুরোন দিনের বন্ধু আপনার অতীতের কিছু খারাপ দিক নিয়ে মন্তব্য করে বা তার ইংগিত দেয় যা আপনার লেখালিখির প্রতিভাকে পুরোপুরি বিনষ্ট করে দিতে পারে তাহলে আপনি কি করবেন?
পৃথিবীটা আসলে একটা অভিনয়ের মঞ্চ আর প্রতিটি মানুষ একেকটি ক্যারেক্টার। তাই মানুষকে জীবনের প্রয়োজনীয় মুহুর্তে বিভিন্ন ধরণের অভিনয় করতে হয়। অনেকে জ্ঞান বুদ্ধি হওয়ার আগে না বুঝে অনেক অসামাজিক কার্যকলাপ করে থাকতে পারেন। অনেকে সঙ্গদোষেও তা করে থাকতে পারেন। অনেকের বিভিন্ন ধরণের শারিরীক কিংবা মানসিক অসুস্থতা থেকে থাকতে পারে যা হয়তো এখন নেই অথবা চিকিৎসার কারণে কন্ট্রলে থাকতে পারে। আর এখন সেই আপনি আপনার নিজের সৃষ্টিশীলতা দিয়ে সামাজিক/আর্থিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত বা জনপ্রিয়তা পাবেন! তা হয়তো পুরনো বন্ধুদের অনেকেই নাও চাইতে পারে।
হয়তো বলতে পারে, “আরে! এই সেই বারাইক্যা না? হ্যাতে আবার কবি হইলো কবে?”
কিন্তু এখন বলবো, একটু ভিন্ন বিষয়ে আর তা হচ্ছে, আপনার পুরনো ইতিহাস জানেন না এমন অনেক কবি/লেখকের সাথে আপনার এখন পরিচয় হয়েছে আপনার সৃষ্টিশীলতা এবং মেধার কারণে। এর মধ্যে অনেকে থাকতে পারেন একটু সহজ সরল তাই তিনি হয়তো আপনার কবিতা বা লেখার অর্থ উপলব্ধি করতে পারেন নি তাই তিনি মন্তব্য করে বসলেন, “আপনার কবিতা বুঝি নি”। উনি কিন্তু সরল মনেই বলেছেন কিন্তু আপনার কাছে এই মন্তব্য পছন্দ নাও হতে পারে। আমিও অনেক সময় সরল মনে বেশ কটি মন্তব্য করেছিলাম কিন্তু তাৎক্ষনিক লেখক রিঅ্যাক্ট করেছেন এবং এটাই স্বাভাবিক।
অথবা এমনও অনেক কবিতা আছে যা একেক সময় পড়লে একেক রকম অর্থ মনে হতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে নেগেটিভ বা পজেটিভ বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য হতে পারে। আবার এমন অনেক পাঠক আছেন যাঁরা লেখালিখি করেন না কিন্তু কবিতা/গল্প পড়তে পছন্দ করেন এবং তাঁদের অনেকেই কবিতা না বুঝেও মন্তব্য করতে পারেন। এক্ষেত্রে আমরা যাঁরা লেখালিখির সাথে জড়িত তাঁদের মন্তব্য কেমন হওয়া প্রয়োজন?
আমরা অনেকে ভালো লিখে থাকতে পারি এবং সে কারণে এক ধরণের অহংকার জন্ম নিয়ে থাকতে পারে। যেমন মনে হতে পারে, “অন্যান্যদের চেয়ে আমিই সবচেয়ে ভালো লিখি এই সময়ে”। তাহলে বুঝতে হবে আপনি জ্ঞানের প্রথম স্তরে আছেন এবং এই স্তরটা অত্যন্ত ভয়ংকর। মানুষ যখন জ্ঞানের প্রথম স্তরে প্রবেশ করে তখন মনে করে আমি সব জেনে ফেলেছি। তখন সে অন্যান্যদের থেকে নিজেকে সেরা মনে করতে থাকে এবং এই স্তরে সে লেখালিখির জগত থেকে ছিটকে পড়ে যেতে পারে। জ্ঞানের দ্বিতীয় স্তরে প্রবেশ করলে একটু শান্ত হয়, অন্যকে সম্মান করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং নিজেকে জাহির করা থেকে বিরত থাকতে চায় কারণ যে তখন বুঝতে পারে তার আরও অনেক কিছু জানার বাকি আছে।
আর যখন তৃতীয় স্তর অর্থাৎ শেষ স্তরে প্রবেশ করে তখন নিজেকে রিয়েলাইজ করতে শুরু করে। এগুলো বই থেকে পড়ে বলছি, আমার কথা নয় কারণ আমি অবশ্য এখনো জ্ঞানের প্রথম স্তরের শুরুতেই ঢুকতে পারি নি। আসলে বলতে চাচ্ছিলাম, আমারা যাঁরা লেখালিখির সাথে জড়িত তাঁদের মন্তব্য অন্যান্য কবি/লেখকদের ক্ষেত্রে কেমন হওয়া প্রয়োজন?
এক্ষেত্রে মন্তব্য করতে গেলেও ঝুঁকি আছে আবার মন্তব্য না করলে আপনি অহংকারী হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন। ◾ অনেকে জাস্ট পছন্দের লাইন কোট করে চলে যান কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, এটা লেখকের লেখার মান উন্নয়নে কতটুকু সহায়ক?
◾ অনেকে বেশ কবার পড়ে একটি মন্তব্য করেন। প্রশ্ন থেকে যায়, এখানে মন্তব্য ভেবে চিন্তে কৌশলে করা প্রয়োজন কি?
◾ অনেকে শুধু কিছু উৎসাহ মূলক কমোন কথা বলে চলে যান। প্রশ্ন থেকে যায়, এটার গ্রহন যোগ্যতা কতোটুকু?
◾ অনেকে সরল মনে যা বোঝেন তাই বলেন কিন্তু তা লেখকের পছন্দ নাও হতে পারে। প্রশ্ন থেকে যায়, এ ক্ষেত্রে কি করণীয়?
◾ অনেকে সরল মনে বলেই ফেলেন, আমি বুঝি নি। প্রশ্ন থেকে যায়, এমন মন্তব্য না করে চুপ থাকাই কি ভালো?
◾ আবার যে লেখাটি পড়তে কমপক্ষে ১০ মিনিট লাগার কথা সেই লেখায় অনেকে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে মন্তব্য দিয়ে থাকেন। প্রশ্ন থেকে যায়, এ ক্ষেত্রে মন্তব্যকারী কি জানেন না উনি কয় মিনিট সময় নিয়েছেন এটা দেখা যায়?
◾ আবার কে কতো মন্তব্য করলেন, কে কতো রেটিং করলেন এদিকেও নজর রাখতে হয়।
তাহলে এ ক্ষেত্রে কি করার আছে?
আমার স্বল্প জ্ঞানে মনে হয় মন্তব্যে কৌশলী হওয়া প্রয়োজন এবং আমরা যাঁরা লেখালিখি করি তাঁদের গঠন-মূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানানো প্রয়োজন। আমি মনে করি এখানে অনেক অভিজ্ঞ ব্লগার আছেন উনারা হয়তো মন্তব্যের ঘরে উনাদের মতামত জানিয়ে সহায়তা করবেন এ আশা পোষন করছি।
শুভকামনা শব্দনীড়ের সকল নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত, কবি, লেখক ও পাঠকগনকে!
loading...
loading...
মন্তব্যে কৌশলী হওয়া প্রয়োজন এবং আমরা যাঁরা লেখালিখি করি তাঁদের গঠন-মূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানানো প্রয়োজন। একেবারে শতভাগ সহমত আমি।
loading...
ধন্যবাদ প্রিয় কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী সহমত পোষন করার জন্য

loading...
আপনার মন্তব্য শীর্ষক পোস্টে আমি খানিক পরে মন্তব্য করতে ইচ্ছুক।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ মি. ইলহাম।
loading...
আন্তরিক শ্রদ্ধা জানবেন মুরুব্বী
loading...
আমি সহমত। ধন্যবাদ ভাই।
loading...
ধন্যবাদ প্রিয় খালিদ উমর ভাই সহমত পোষন করার জন্য


loading...
এই ধরনের একটা কমিউনিটি ব্লগে মূলত লেখালেখি করার উদ্দেশ্যই হয়ে থাকে মন্তব্য পাওয়া। কেউ এসে "ভালো লিখেছেন-চমৎকার লিখেছেন" এই জাতীয় মন্তব্য করলে সত্যিই খুব একটা ভালো লাগে না। কিন্তু আমরা নিজেরাও মাঝেমধ্যে এমন মন্তব্য করে থাকি।
এখন আসি আপনার কথায়, আমি অনেক ব্লগারকে দেখেছি যাদের একদম শুরুর দিকের লেখার মান ছিল শিশুশ্রেণীর বাচ্চাদের মত আর এক বছর পরে তাদের লেখারই মান হয়ে গেছে পর্বত সমান। এর জন্য অবশ্যই ব্লগারদের মন্তব্যের অবদান থাকে। মন্তব্যের মাধমে লেখা সম্পর্কে মূল্যবান মতামত জানানো যায়। কেমন হচ্ছে- কি করলে আরও ভালো হয় ইত্যাদি। চাইলে কড়া ভাষায়ও সমালোচনা করা যায়। সাহিত্যে সমালোচনা সব সময়েই কাম্য। তবে নিশ্চয়ই সমালোচনা মানে কাদা ছোড়াছুড়ি নয়।
যারা, এক দুই শব্দে প্রচলিত মন্তব্য করেন এবং দিনশেষে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সংখায় অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকতে চান, সেটা এক প্রকার কমেন্ট মাইনিং। মাইনিং করে বেশীদিন ব্লগে টিকে থাকা যায় না।
আপনার লেখাটা ভালো লাগলো।(দেখলেন তো, কেমন করে দিলাম প্রচলিত মন্তব্য!
)
শুভেচ্ছা মিঃ ইলহাম।
loading...
ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্যের জন্য প্রিয় কবি মিঃ জাহিদ অনিক। এখানে প্রচলিত মন্তব্য বিষয়ক বেশ কিছু সাজেশন আছে। শুভকামনা রইলো মিঃ জাহিদ অনিক


loading...
ইনটারেস্টিং পোস্ট।
কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি। ফেবুতে বন্ধু এড করতে আমি অনেক কিছু দেখি। প্রথমত তার প্রোফাইল পিক। কারণ প্রোফাইল পিক অনেক সময় লোকটার ব্যাক্তিত্ব, মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচয় বহন করে। এরপর নানান জায়গায় তাঁদের পোস্ট এবং কমেন্ট দেখি (যদি সুযোগ থাকে)।
বিব্রতকর পোস্ট বা কমেন্ট আসলে মানসিক অসুস্থতার পরিচায়ক। ওসব পোস্ট বা কমেন্টে রিয়াক্ট করাটাও সুস্থতার পরিচয় বহন করেনা। যাঁদের অনেক বড় বন্ধু লিস্ট তাদেরকে এসবই ফেইস করতে হয়। সেক্ষেত্রে ইগ্নোর করাটা সম্ভবত বেস্ট অপশন; ব্লক করা নয়! কারণ কাউকে ব্লক করা শোভন কিছু নয়।
অযথা কিছু মন্তব্য বা না বুঝে মন্তব্য বা খুশি করার জন্য মন্তব্যও মন্তব্যকারীকে হালকা করে দেয়। মায়ের ভাষায় লেখা গল্প বা কবিতার মূল বক্তব্য বুঝতে সমস্যা হতেই পারে। কিন্তু যদি এমন হয় যে কয়েকটা শব্দ পাশাপাশি বসিয়ে লেখক কী অর্থ করলেন বুঝতে পারলাম না তারপরও যদি মন্তব্য করি, "অসাধারণ" তাইলেও মন্তব্যকারী হিসেবে দাম হারিয়ে ফেলব। সেক্ষেত্রে মন্তব্য না করাই ভালো হয়তো।
তবে ঋণাত্মক মন্তব্য করার চেয়ে মন্তব্য না করা; অথবা মন্তব্য যদি করতেই হয় তাইলে ডিপ্লমেসি এপ্লাই করা বেটার হয়তো।
শেষ কথা হলো, কাউকে এপ্রিসিয়েট করার সুযোগ পেলে অন্তর খুলে তাকে এপ্রিসিয়েট করা উচিত।
loading...
মন্তব্য বিষয়ে বেশ খানিকটা ভেঙ্গে বলাতে একটি ভালো উপসংহার বেরিয়ে এসেছে। আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা মিঃ মিড ডে ডেজারট


loading...
* সুপ্রিয়, সহমত…


loading...
ধন্যবাদ প্রিয় দিলওয়ার ভাই সহমত পোষন করার জন্য


loading...
◾ সোজা কথা বলি; আমাদের নিজস্ব বলতে যদি কিছু থাকে তা বদলানোর সুযোগ নাই। সব কিছু চলছে আমাদের নিজ নিয়মে। আমরা সবাই ব্যস্ত। এখন যদি বলি আলোচনা সমালোচনা কেন করি না !! তাহলে বলি; কে আমাদের বন্ধু আর কে আমাদের বন্ধু নয়; কে একজন ব্লগঅন্তঃ প্রাণ আর কে নয়; কে কতদিন আছেন কতদিন থাকবেন তার সিমানা নাই; তার শব্দ কল্পনায় নিজেকে ইনভলব হয়ে কি হবে ? স্বার্থপরের মত বললাম।
যেভাবে এভাবে চোখ বন্ধ করে হালকা হালকায় পার হওয়া যায়। চলুক না।
loading...
আন্তরিক ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে নিজস্ব মতামত দেয়ার জন্য আপনাকে সাধুবাদ প্রিয় মিসেস রিয়া দাস গুপ্তা।
অনেক শুভেচ্ছা রইলো




loading...
সুন্দর অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন দাদা
অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই—————–
loading...
অনেক শুভ কামনা প্রিয় কবি মিঃ আলমগীর সরকার লিটন


loading...
এইটা আরো বেশী দেখা যায় লাইকের ক্ষেত্রে।
loading...
ধন্যবাদ প্রিয়ভাজন মুল্যবান মন্তব্যের জন্য




loading...
কমিউনিটি ব্লগিংয়ের মাধ্যমে সামাজিকতা আর এই শব্দ যোগাযোগ ব্যবস্থায় জানা বোঝার ব্যাপারগুলো আয়ত্তে আসতে কিছুটা সময় লাগবে। … এমনটা এক সময় ভাবতাম। রোবোটিক লাইফে এখন পারস্পারিক কথোপকথনের মধ্য দিয়ে একটি সুন্দর ও অর্থপূর্ণ আলোচনা গড়ে উঠবে এমন স্বপ্ন দেখি না। প্রত্যাশাও রাখি না। কেননা সকলের এ আকাঙ্খা যুক্তিসঙ্গত কিনা অংকটাই মেলাতে পারি না। এক যুগেও মেলে নি জন্য।
ব্লগিং-প্লাটফর্ম একটি অবাধ আলোচনার ক্ষেত্র হয়ে উঠুক এমন চাই। স্বপ্নই যে জীবন।
loading...
বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আপনাকে প্রিয় মুরব্বী।
আপনার সুদীর্ঘ ব্লগিং জীবনের আলোকে আপনার মুল্যবান মন্তব্যে ব্লগিং মন্তব্যের বিষয়টি প্রায় ৯০ ভাগ খোলাসা হয়ে এসেছে।
জ্বী সত্য বলেছেন, স্বপ্নই জীবন, আমরা স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই।
loading...
শব্দনীড়ে আমরা যাকে মুরুব্বী নামে জানি তার কথা আমার কথা। এই মানুষকে আমি এক শব্দে আলাদা করে নিতে পারি। এই সময়ে তার মতো মানুষ আমি পাইনি আজও। (আজাদ ভাই আপনাকে খুশি করার জন্য মন্তব্য করিনি। কিছু মনে নেবেন না।)
loading...
আপনি সঠিক বলেছেন প্রিয় কবি শাকিলা তুবা।
আমি মুরিব্বীর সাথে সামনা সামনি কথা বলেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে উনি কিছুটা নিজেকে ব্যাপক হারে জাহির করতে অপছন্দ করেন। আপনারাও দেখে থাকবেন উনি খুব কম লিখে থাকেন, শুধু মন্তব্য করে থাকেন কিন্তু আমার অবজার্বেশনে বুঝতে পেরেছি উনি চাইলে অনেক কিছুই লিখতে পারেন তার কিছুটা প্রমান দেখে থাকবেন উনি মাঝে মাঝে কিছু ছবির সাথে উনার কিছু উক্তি সংযুক্ত করে থাকেন। ঐ ছবির সাথে ঐ উক্তি মিলিয়ে দেখলেই অনেক কিছু বোঝা যায়। অন্যান্নদের প্রতি উনার যথেষ্ট সম্মান রয়েছে। উনার জ্ঞানের পরিমাপ করা আমার পক্ষে সম্ভব হয় নি তবে এতো টুকু বুঝতে পেরেছি উনার জ্ঞান অন্তত আমার চেয়ে বিশ গুন বেশি।
loading...
এক্সিলেন্ট। ঢাকায় শব্দনীড় উদ্বোধনীতে আমাকে স্মরণ করেছিলেন তিনি। অসুস্থতায় যেতে পারিনি। আজও আফসোস করি, আহা এই মানুষটার সাথে আমার দেখা হলো না কেনো। সেক্রিফাইস কাকে বলে তিনি নিরলস শিখিয়ে যাচ্ছেন আমাদের। এফবি'তে যিনি একক, যার অণুলেখার তুল্য তিনি স্বয়ং। কী গভীর তাঁর জীবন শব্দের অভিসন্দর্ভ। ভাবলে আমি বিস্মিত হই।
loading...