আলিফ আর ক্যাডাভিয়ার বিয়ে হয়েছে আজ দেড় বছর। তাদের ঘর আলো করে এসেছে এক ফুটফুটে কন্যা সন্তান। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আলিফ যখন প্রথম দেখলো সে তাকিয়ে ছিল সন্তানের দিকে। সন্তানের পাশে শুয়ে থাকা ক্যাডাভিয়া আলিফকে বললো, ছোট বেলায় তুমি তোমার মাকে হারিয়েছিলে এখন দেখো তোমার মা আবার ফিরে এসেছে। কি, তুমি খুশি না?
আলিফ উত্তর দিলো না। কন্যা সন্তান কে বুকে নিয়ে আদর করতে লাগল। ক্যাডাভিয়ার চোখের কোনে একটু জল এলো। আলিফ তাকালো ক্যাডাভিয়ার দিকে। ক্যাডাভিয়া কাঁদতে কাঁদতে আস্তে করে আলিফের কানে কানে বললো, আমি তোমাকে পুত্র সন্তান দিতে পারলাম না!
আলিফ কিছু বললো না। মনে মনে ভাবছে, ও কাঁদছে কাঁদুক, এখন ওর কাঁদতে ইচ্ছে করছে, হয়তো ও পুত্র সন্তান চেয়েছিলো, আমিতো কখনও পুত্র সন্তান কিংবা কন্যা সন্তান এ বিষয়ে কিছুই ভাবিনি এবং ওকে কখনও কিছু বলিনি, সন্তান সন্তানই সে পুত্র হোক কিংবা কন্যা তাতে কি, পুত্র সন্তানও মানুষ কন্যা সন্তানও মানুষ, সন্তান স্রষ্টার নেয়ামত, এমন অনেকে আছেন যারা পুত্র সন্তান পেয়েছেন কিন্তু সুস্থ সন্তান নয়, অ্যাবনরমাল, আমার সন্তান কন্যা হলেও আল্লাহ আমাকে একটি সুস্থ সন্তান দিয়েছেন, এ জন্য আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
আলিফের মনে প্রশ্ন জাগে, পুত্র সন্তান মানুষ কেন চায়? সে বড় হয়ে বাবা-মাকে খাওয়াবে? এটা আশা করা এক ধরণের অবিদ্যা। পুত্র বংশের বাতি জ্বালিয়ে রাখবে? বংশের বাতি মানে কি? আমার শুক্রাণু আর আমার স্ত্রীর ডিম্বাণু মিলে জাইগোট তৈরি হয়েছে এবং তা থেকে এই সন্তান জন্ম লাভ করেছে, জাইগোট তৈরি হতে শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু দুটোই প্রয়োজন, শুধু শুক্রাণু দিয়ে-তো আর জাইগোট হয় না, তাহলে শুধু পুত্র সন্তান কি করে বংশের বাতি জ্বলায়? কন্যা সন্তানও বংশের বাতি জ্বালাতে পারে।
হঠাত আলিফের মোবাইল ফোন বেজে উঠলো।
– মিঃ আলিফ সাহেব বলছেন?
– জী বলছি
– আমেরিকার “গোল্ডেন গোল্ড” কোম্পানি থেকে লিকুইড গোল্ড ইম্পোর্টের জন্য আমার একটা এলসি ওপেন হওয়ার কথা ছিলো। হয়নি কেনো?
– দয়া করে কি বলবেন আপনি কে বলছিলেন?
– এস্টোনিসড! আমাকে তুমি চেনো না! পদ্মা, মেঘনা, যমুনা সবগুলোর গুরু আমি, আমাকে না চেনাটা তোমার অপরাধ হয়েছে এবং এর ভয়ানক শাস্তি হতে পারে
– স্যার! পদ্মা গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ এবং যমুনা গ্রুপের এডমিন, কমার্শিয়াল এবং এম ডি সাহেবের ফোন নাম্বার তো আমার হ্যান্ড সেটে সেইভ করা আছে। আপনার কলটা একটা আন-নোন নাম্বার থেকে এসেছে তাই জানতে চেয়েছি
– আরে! ওরা চ্যালা-পুটি মাছ। রাঘব বোয়াল চেনো তুমি? সব গিলে খেয়ে ফ্যালে?এ দেশের সব গ্রুপই আমার
– স্যার! আমাদের বাড়ীতে একটা পুকুর ছিলো কিন্তু মাছের পোনা ছাড়লে পরে সেগুলো আর থাকতো না, রুই-কাতলাও উধাও হয়ে যেতো
– সো হোয়াট?
– তারপর আমরা পুকুরের পানি সেচে ফেলার পর অনেক বড় একটা বোয়াল মাছ পেয়েছিলাম, প্রায় ১৮ কেজি, তারপর ওটাকে কাটাকাটি করে পিয়াজ বেশি করে দিয়ে দোপেয়াজা করা হয়েছিলো, আহ! দারুণ টেস্ট ছিলো
– স্টপ! স্টপ! তুমি জানো না কার সাথে কথা বলছো
– স্যার! রাঘব বোয়াল নিজেও মাছ আর সে খায়ও অন্যান্ন ছোট মাছ
– হোয়াট ডু ইউ মিন?
– যে মাছ মানুষ খায় সেটাও আমি খেয়েছি
– হোয়াট? হাউ ডেয়ার ইউ গাই……
– স্যার! কথাটা শুনুন! ওটা ছিলো আফ্রিকান মাগুর, আমাদের খেতে ইচ্ছে হলো, বিশাল সাইজ, কেউ ওটা ধরে কাটার সাহস পেলো না, আমি ধরে নিয়ে বটিতে ধরে ঘ্যাচাং করে মাথাটা কেটে ফেললাম
– তুমি কিন্তু মাত্রা ছাড়িয়া যাচ্ছো, তোমাকে এক্ষুণি সেয়ানামি শিখিয়ে দিচ্ছি, তুমি ওখানেই দাঁড়াও
– স্যার! মাথাটা কেটে একটি প্লেটে রেখে দিলাম, তারপর মাছের বাকী অংশ, পেটি পিচ পিচ করে কেটে ফেললাম
– তোমার এসব মাছ কাটার গল্প শোনার টাইম নাই, টাইম ইজ মানি, ডু ইউ নো দ্যাট?
– স্যার! শেষে ঐ কাটা মাথাটাও ৩ পিচ করার জন্য হাতে নেয়ার আগে কাটা মাথাটার দিকে তাকালাম
– তোমার এম ডি কোথায়?
– স্যার! দেখলাম ঐ কাটা মাথাটার চোখ দুটোতে অগ্নি দৃষ্টি, আমিতো ধরেই নিয়েছি ওটা অনেক আগেই মরে গেছে
– সো?
– স্যার! আমি ডান হাত দিয়ে ঐ কাটা মাথাটা ধরতেই আমার বৃদ্ধাঙ্গুলে কামড় বসিয়ে দিলো
– হোয়াট? ওয়াজ ইট আলাইভ?
– স্যার! একেবারে মরন কামড়! আমার হাত থেকে ওটা ছোটাতে অনেক দৌড়-ঝাঁপ দিতে হয়েছে, অবশেষে ছোটাতে পেরেছি কিন্তু আঙ্গুল থেকে রক্ত পড়ছিলো
– ও ও আছা! তারপর?
– ভালো মতই বসিয়েছিলো
– তাই নাকি!
-স্যার! পিরান হো চেনেন? অনেকটা রুপচাঁদা মাছের মতো, ওরাও মানুষকে কামড়ে কামড়ে খায় কিন্তু আমার কাছে পিরান হো মাছের ফ্রাই ভালোই লেগেছিলো
– অনেক শুনেছি, জাস্ট স্টপ ইউর স্টরি! লিকুইড গোল্ডের এল সি ওপেন হবে কবে?
-স্যার, আমি একটু ছুটিতে আছি কারণ আমার সন্তান জন্ম গ্রহণ করেছে তাই আমার স্ত্রী অসুস্থ।
-ওকে, সো হু গোনা টু রিপ্লাই মি????
-আপনি যদি অনুগ্রহ পূর্বক আমাদের এমডি স্যারকে কে একটু ফোন দেন তাহলে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারবেন…… নাহ থাক আমিই বরং এম ডি স্যার কে আপনার নাম্বারে কল করতে বলছি
– ওকে। টেক কেয়ার অফ ইয়র বেবি এন্ড ওয়াইফ। টেল ইয়োর এমডি টু কল মি
আলিফ একটি ব্যাংকের ফরেন ট্রেডের এভিপি। এধরণের ফোন কল হ্যান্ডেল করে ও অভ্যস্থ।
ক্যাডাভিয়া জিজ্ঞেস করল, কে ফোন করেছিলো?
আলিফ কি উত্তর দিবে? একবার ভাবল বলবে, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, আবার ভাবল বলবে, রাঘব বোয়াল, কিন্তু সে বুঝলো তার স্ত্রীর এধরণের উত্তর শোনার সময় এটা নয়, তাই সে বলল, একজন ক্লায়েন্ট ফোন করেছিলো।
সপ্তাহ খানেক পর ক্যাডাভিয়াকে এপোলো থেকে রিলিজ দিলো।
বেশ কিছুদিন যাবত সাড়া বিশ্ব তোলপাড় চলছে। মূলত দ্বন্দ্ব চলছিল চীন এবং অ্যামেরিকার মধ্যে। মহাদেশ হিসেবে এ দ্বন্দ্ব এশিয়া বনাম আমেরিকা। আস্তে আস্তে সে দ্বন্দ্ব সাড়া বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। মাস খানেক যাবত বিভিন্ন পত্র পত্রিকা এবং টেলিভিশনে খবরে বলা হচ্ছে যে কোনও সময়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে।
ইতোমধ্যে দুই শক্তির বিন্যাস হয়েছে। তারা চূড়ান্ত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। পাকিস্তান চীনের পক্ষে ছিলো কিন্তু রোহিঙ্গা এবং বেশ কিছু জটিলতার কারণে আমেরিকার পক্ষ নিয়েছে। ভারত অ্যামেরিকার পক্ষেই ছিলো কিন্তু যেহেতু পাকিস্তান আমেরিকার পক্ষে গিয়েছে তাই ভারত চীনের পক্ষ নিয়েছে। উত্তর কোরিয়া চীনের পক্ষে আর দক্ষিণ করিয়া অ্যামেরিকার পক্ষে। ইংল্যান্ড এবং ইসরাইল সাপোর্ট করেছে অ্যামেরিকাকে আর রাশিয়া সাপোর্ট করেছে চীনকে।
জার্মানি এখনও কারও পক্ষে বিপক্ষে কিছু বলেনি। ফ্রান্সের সাথে ভারতের ভালো সম্পর্কের ভিত্তিতে ফ্রান্স চীনের পক্ষ নিয়েছে। চীন ম্যায়ানমারকে দিয়ে মুসলিম রোহিঙ্গাকে হত্যা করলেও তুরষ্ক, ইরান এবং মুসলিম বিশ্ব চীনের পক্ষ নিয়েছে। বাংলাদেশ চীন নাকি আমেরিকার পক্ষ নেবে বুঝে উঠতে পারছে না।
তবে বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবীরা মনে করছেন চীনের পক্ষ নেয়াটা ঠিক হবে কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মনে করছে আমেরিকার পক্ষ নেয়াই ভালো হবে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ চীনের পক্ষেই গেলো।
আলিফ অফিসেই ছিলো। হঠাত খবর এলো যুদ্ধ বেঁধে গিয়েছে। বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন দেশের উপর আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে। এইমাত্র খবর এলো পাকিস্তান কলকাতাকে টার্গেট করে পরমাণু বোমা বহনকারী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে কিন্তু একটু ভুল প্রোগ্রামিং এর কারণে ক্ষেপণাস্ত্রটি কলকাতায় না এসে ঢাকার জিরো পয়েন্টে এসে পড়বে।
ওটা আসতে ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট সময় লাগবে। খবরে বলা হলো এই সময়ের মধ্যে সবাই যেন ঢাকা থেকে কমপক্ষে ৫০ মেইল দূরে চলে যায়। আলিফ লক্ষ্য করলো অফিস থেকে সবাই দৌড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। সব অফিস এবং বাসা থেকে সব মানুষ বেরিয়ে যাচ্ছে। আলিফ ব্যাংকের লকারে টাকার বস্তা পরিদর্শন করছিলো। মুহূর্তে ব্যাঙ্ক ফাঁকা হয়ে গে্লো। সে ভাবছে এই টাকার বস্তা গুলোর কি হবে। একটা বস্তা নিয়ে গেলে কেমন হয়? সে এক বস্তা টাকা নিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে পড়লো।
ক্যাডাভিয়াকে ফোন করে বলে দি্লো রেডি থাকতে। আলিফ বাসায় এসেই ক্যাডাভিয়া এবং তার সদ্য কন্যা সন্তানকে নিয়ে দ্রুত বেরিয়ে পড়লো বাস স্ট্যান্ডের দিকে। কিন্তু বাস স্ট্যান্ডে এতো মানুষের ভীড় যে বাসে ওঠাই সম্ভব হচ্ছে না। অনেক কষ্টে আলিফ একটি বাসের হাতল ধরেছে ডান হাতে আর বাঁ হাত দিয়ে ক্যাডাভিয়াকে টেনে তুলেছে। ক্যাডাভিয়ার কোলে সদ্য কন্যা সন্তান। এদিকে আলিফ কোনও রকম ভাবে বাঁ হাত দিয়েই ধরে রেখেছে টাকার বস্তাটা। বাসটি চিটাগাঙে যাবে। ক্যাডাভিয়ার কোলে তার কন্যা সন্তান। ক্যাডাভিয়া বার বার জিজ্ঞেস করছে, ওটা কিসের বস্তা? ওটা ফেলে দাও। কিন্তু আলিফ কিছু বলছেওনা আবার বস্তাটাও ফেলছে না।
ক্যাডাভিয়া স্মার্ট ফোন ইউজ করে না। স্মার্ট ফোন থেকে নাকি ছবি চলে যায় পর্ন ছবিতে, এইসব ফোনে সেভ করে রাখা সব তথ্য চুরি হয়ে যায়। এমনও দেখেছে ফোনের আই এম ই নাম্বার চেঞ্জ হয়ে গেছে। তাই বাটন ওয়ালা নরমাল ফোন ইউজ করে। এ জন্য স্মার্ট ফোনের বিবিধ ব্যাবহার সম্পর্কে তার জ্ঞান একটু কম।
হঠাত আলিফের 50G স্যাটেলাইট মোবাইল সেটে একটি মেসেজ এলো। সে মেসেজে দেখলো, চীন এবং আমেরিকার মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ শুরু হয়েছে। তবে এখন কোনও মানুষ যুদ্ধ করছে না।
মানুষ যুদ্ধ করবে পরে। এখন যুদ্ধ করছে রোবট। আমেরিকান রোবট ভার্সেস চাইনিজ রোবট। ড্রোন যুদ্ধ করছে আকাশ পথে, পানি পথে যুদ্ধ করছে নেভাল রোবট। ভূমি থেকে ভূমি যুদ্ধ করছে ল্যান্ড রোবট। মাটির নিচেও যুদ্ধ চলছে। আন্ডার গ্রাউন্ড রোবটরা মিটির নিচে যুদ্ধ করছে। আলিফ 50G স্যাটেলাইট মোবাইল সেটে লাইভ যুদ্ধ দেখছে। চাইনিজ রোবট এয়ার জেট থেকে আমেরিকান রোবট এয়ার জেটে মিসাইল মারছে আবার আমেরিকান রোবট এয়ার জেট তা ঠেকাচ্ছে। আবার আমেরিকান রোবট মিসাইল মারছে এবং চাইনিজ রোবট এয়ার জেট সরে গিয়ে পাল্টা মিসাইল মারছে।
ক্যাডাভিয়া এগুলো দেখে বললো, তুমি কেমন মানুষ বলতো? যেখানে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেঁধে গিয়েছে, পৃথিবী থাকবে নাকি ধ্বংস হয়ে যাবে তার ঠিক নেই আর তুমি সেখানে মোবাইলে যুদ্ধের গেম খেলছো?
আলিফের হ্যান্ড সেটে আবার একটি মেসেজ এলো। এই মেসেজে বলা হয়েছে যে, পাকিস্তানিরা পরমাণু-বাহী সেই ক্ষেপণাস্ত্রটির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করেছিলো যেন সেটা ঢাকায় না পড়ে কিন্তু ঘটনা ঘটেছে ভিন্ন। গতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি এখন আর ঢাকায় পড়বে না ঠিকই কিন্তু ওটা এখন চিটাগাংয়ের দিকে যাচ্ছে। আর ৪৫ মিনিট পরে ওটা ঠিক ডামপারা গিয়ে পড়বে। আর বাস এখন ডামপারা থেকে মাত্র ২৫ কিঃমি দূরে।
বাসে অনেকের হাতেই 50G স্যাটেলাইট সেট ছিলো এবং সবাই এই মেসেজ পেয়েছে কারণ সবাই লাইভ যুদ্ধ দেখছিলো। সাথে সাথে সবাই ড্রাইভার কে বললো, বাস ঘুরিয়ে সিলেটের দিকে যেতে। কেউ কেউ বলছে, এখন সিলেটের দিকে যাবে কি করে? আট লেনের রাস্তায় তো সবাই ঢাকা থেকে চিটাগাংয়ের দিকেই যাচ্ছে। আট লেনের সব বাস, প্রাইভেট, মাইক্রোবাস চিটাগাংয়ে যাচ্ছে। বরং ২৫ কিঃ মিঃ ১০ মিনিটে ক্রস করে বাকী ৩৫ মিনিটে বান্দারবান কিংবা কক্সবাজারের কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব কি না দেখা প্রয়োজন।
বিভিন্ন মানুষের কথা শুনছে ড্রাইভার। একজন বলছে বাস ঘোরাও। কেউ বলছে বান্দারবান যাও। কেউ বলছে ১০০ কিঃমিঃ এর উপরে স্পিড তুলে কক্সবাজার যাও। এ সব শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে ড্রাইভার মুহূর্তেই ব্রেক করে বসলো। আকস্মিক ব্রেক কষতে গিয়ে যাত্রীরা সবাই এক বড় ধাক্কা খেলো। আলিফের বাঁ হাত থেকে ক্যাডাভিয়া, তার কন্যা সন্তান এবং টাকার বস্তা পড়ে গেলো। প্রথমে টাকার বস্তা পড়লো এবং বস্তার উপরে ক্যাডাভিয়া পড়লো, ক্যাডাভিয়ার কোলে কন্যা সন্তান পড়লো। তাই ক্যাডাভিয়া এবং তার সন্তান ব্যথা পায়নি।
বাসটি থেমে আছে। এখনি ঘুরিয়ে ফেলবে নাকি আবার ১০০ কিঃমিঃ স্পিডে চালাবে এই নিয়ে হট্টগোল চলছে। বাসটি হঠাত ব্রেক করার ফলে আলিফও পড়ে যাচ্ছিলো কিন্তু কোনও রকমে সামলে নিয়েছে নিজেকে কিন্তু এখন এক পা বাসের গেটে রাখতেই কষ্ট হচ্ছে আর ডান হাত দিয়ে বাসের হ্যান্ডেল ধরে আছে।
সরাসরি হ্যান্ডেল ধরতে পারেনি। অন্য একজন হ্যান্ডেল ধরেছে এবং আলিফ সেই লোকের হাতের কবজি ধরে আছে। বাঁ হাত দিয়ে কিছু নিতে হলে হালকা কিছু নিতে হবে।
এখন আলিফকে জীবনের একটি কঠিন এবং জটিল সমীকরণ মেলাতে হবে। হাতে সময় নেই। খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নিচে রাস্তায় পড়ে আছে ক্যাডাভিয়া, কন্যা সন্তান এবং টাকার বস্তা। সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কোনও একটি নিতে হবে, হয় ক্যাডাভিয়াকে তুলিতে হবে অথবা কন্যা সন্তান অথবা টাকার বস্তা। আলিফ ভাবছে কি করবে। যা করার খুব দ্রুত করতে হবে। একবার আলিফের মনে হলো জীবনে বেঁচে থাকলে টাকা আয় করা যাবে কিন্তু ক্যাডাভিয়াকে ফেলে রেখে গেলে সে তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে হারাবে এবং সদ্য কন্যাকে ফেলে রেখে গেলে আদরের সন্তান কে হারাবে। আবার মনে হলো, এই পৃথিবীতে কে কার প্রিয়তমা? কে প্রিয় আর কে অপ্রিয়? কে আদরের আর কে অনাদরের? এগুলো নির্ভর করে টাকার উপর। জীবনে টাকা থাকলে প্রিয়তমার অভাব হয় না। আদরের সন্তানেরও অভাব হয় না।
আলিফকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে কি তুলে নেবে। টাকার বস্তা নাকি ক্যাডাভিয়া নাকি সন্তান? বাস হর্ন দিচ্ছে এখুনি ঘুরিয়ে ফেলবে অথবা ১০০ কিঃমিঃ বেগে ছুটবে। আলিফ ভাবছে… সমীকরণ মিলছে না… ভাবতে ভাবতে তার মন চলে গেলো ছোট বেলায়। স্কুলের জীবনটা কত সুন্দর ছিলো! স্কুলের পড়ালেখা আর অবসরে গল্প-কবিতা পড়া। মনে আছে প্রতিবার বাঙলা একাডেমীর ২১শে বই মেলায় গিয়ে অনেক অনেক বই কিনে জমিয়ে রাখতো। ঈদের ছুটিতে যখন দাদার বাড়িতে যেত তখন বই গুলো পড়তো। তার স্পষ্ট মনে পড়ছে একদিন অনেক রাত জেগেছিলো একটি বই শেষ করতে। বইটির নাম আলাপন। হ্যাঁ এইতো হুবহু মনে পড়ে যাচ্ছে। যেনো চোখের সামনে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে। প্রথমে বইয়ের প্রচ্ছদ। তারপর লেখকের নাম এবং বায়োগ্রাফি।
তারপর সূচিপত্র। আলাপন-১, আলাপন-২, আলাপন-৩, আলাপন-৪, আলাপন-৫, হ্যাঁ সেদিন রাতে তো আলাপন-৫ই পড়ছিলো…
এখনও যেন আলিফের চোখে ভাসছে সেই গল্পের প্রতিটি লাইন…
আলাপন- ৫
একটি বালক ঘুমোবার চেষ্টা করছে কিন্তু ঘুম আসছে না। হটাত একটি শব্দ ভেসে এলো……
শব্দ: কি ভাবছো হে বালক?
বালক: আমি এখন ঘুমোব, কে তুমি কথা বলছো?
শব্দ: আমি সেই জন যার কথা তুমি এখন ভাবছো
বালক: আমিতো আল্লাহর কথা ভাবছি, তুমি কে? তোমাকে দেখতে পাচ্ছি না কেনো?
শব্দ: ধরো তুমি যা ভাবছো আমি তাই
বালক: তাহলে তুমি দেখা দাও
শব্দ: সময় হয়নি দেখা দেয়ার। বলো তুমি কি জানতে চাও।
বালক: তুমিই-তো সব কিছু সৃষ্টি করেছো, ঠিক না?
শব্দ: হ্যাঁ করেছি
বালক: কোন জিনিসটা তুমি খুব সহজে সৃষ্টি করেছো?
শব্দ: কোনও জিনিসই সৃষ্টি করা আমার জন্য কঠিন নয়
বালক: সব কিছু সৃষ্টি করা তোমার কাছে একই রকম?
শব্দ: যে কোনও জিনিস আমি হও বললেই হয়ে যায়
বালক: ও আচ্ছা।
শব্দ: তবে একটি প্রজাতি সৃষ্টি করতে গিয়ে আমি একটু বেগ পেয়েছিলাম
বালক: কোন প্রজাতি সেটা?
শব্দ: মানুষ
বালক: কেনো?
শব্দ: মানুষ সৃষ্টি করার পর আমি বুঝলাম আমি নিজেকে বিভাজন করে ফেলেছি
বালক: কিভাবে?
শব্দ: প্রথমে আমি মানুষকে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করলাম
বালক: তারপর?
শব্দ: আমি তার মুখে মুখ লাগিয়ে ফুঁ দিলাম এবং সে জীবন্ত হয়ে উঠলো
বালক: এতেই তুমি বেগ পেলে?
শব্দ: ফুঁ দেয়ার সাথে সাথে আমার পবিত্র আত্মার কিছুটা মানুষের ভেতর ঢুকে গেলো
বালক: তাই নাকি?
শব্দ: আর মানুষ আমার মতো ক্ষমতা পেয়ে গেলো
বালক: তোমার মতো ক্ষমতা?
শব্দ: শুধু কিছু বিশেষ ক্ষমতা ছাড়া
বালক: কতটুকু ক্ষমতা পেয়েছে মানুষ?
শব্দ: যতটুকু আমার পবিত্র আত্মা ঢুকেছিলো ঠিক ততোটুকু ক্ষমতা পেয়েছে
বালক: মানুষ কি জানে সে তোমার কিছুটা ক্ষমতা পেয়েছে?
শব্দ: সবাই জানে না তবে অল্প কিছু মানুষ তা জানে
বালক: কিছুটা ক্ষমতা বলতে কতোটুকু ক্ষমতা পেয়েছে?
শব্দ: তুমি কি জানো, আমি যদি বলি, “হও” তাহলেই হয়ে যায়!
বালক: হ্যাঁ, জানি। “কূন ফায়া কূন”
শব্দ: অর্থাৎ আমি যা ইচ্ছে করি তাই হয়
বালক: হ্যাঁ, বুঝলাম
শব্দ: মানুষ, আমার এই ক্ষমতাটা পেয়ে গেছে
বালক: তাই নাকি?
শব্দ: হ্যাঁ, তবে জন্ম, মৃত্যু, মানুষ সৃষ্টি বা কোনও প্রাণী বা কোনও অপ্রাণী সৃষ্টি এবং আরও বেশ কিছু সুপ্রিম পাওয়ার আমি আটকে রেখেছি
বালক: তাহলে মানুষ যা চায় তা পায় না কেনো?
শব্দ: শোনো, চাওয়া আর ইচ্ছা এক জিনিস নয়, যারা চায় তারা পায় না কিন্তু যারা ইচ্ছা করে তারা পায়
বালকঃ ও
শব্দ: আমি কোনও কিছু চাই না, আমি শুধু ইচ্ছে করি আর হয়ে যায়
বালক: চাওয়া আর ইচ্ছের মদ্ধ্যে পার্থক্য কি?
শব্দ: চাইতে হলে নিজ ব্যাতিত অন্যকারও নিকট চাইতে হয়, আর ইচ্ছে হচ্ছে নিজ থেকে করা
বালক: বুঝলাম না
শব্দ: ধরো তুমি রাতে একটি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ম্যানহোলে পড়ে গেলে
বালক: তারপর?
শব্দ: তুমি যদি ওখান থেকে বাচঁতে চাও তাহলে চেচামেচি, কান্নাকাটি, ডাকাডাকি শুরু করবে
বালক: আর?
শব্দ: তুমি যদি ওখান থেকে বাঁচতে ইচ্ছে করো তাহলে চুপ থেকে আগে খুঁজবে এখান থেকে বের হওয়ার কি কি সম্ভাব্য পথ থাকতে পারে
বালক: তারপর?
শব্দ: তুমি তখন খুঁজতে খুঁজতে পথ পেয়ে যাবে, যদি সেই পথ পিচ্ছিলও হয় তবুও তুমি তার জন্য সতর্কতার পথও পেয়ে যাবে
বালক: তারপর?
শব্দ: এটা ধরে ওটা ধরে, এখানে পা রেখে ওটা ধরে ঠিকই তুমি ম্যানহোল থেকে মাথা বের করে বেরিয়ে আসতে পারবে
বালক: ও, আচ্ছা বুঝলাম চাওয়া আর ইচ্ছের মধ্যে পার্থক্য
শব্দ: তুমি যদি ইচ্ছে করো ডাক্তার হবে তাহলে হতে পারবে, যদি ইচ্ছে করো ইঞ্জিনিয়ার হবে তাও হতে পারবে, যদি ইচ্ছে করো পৃথিবীর ১ নম্বর ধনী হবে তবে তাই হতে পারবে
বালক: এগুলোতো সবাই চায়
শব্দ: এখানেই তো চাওয়া আর ইচ্ছের পার্থক্য, যারা চায় তারা হতে পারে না কিন্তু যারা ইচ্ছে করে তারা হতে পারে, তবে প্রতিটি বিষয়েই ইচ্ছে করার আগে শুধুমাত্র আমার কাছে তার ইচ্ছে পূরণের সাহায্য চাইলে আমি সাহায্য করে থাকি
বালক: বুঝেছি, মানুষ কোনও কিছু চাইতে হলে শুধু তোমার কাছেই চাইতে হবে, অন্য কোনও মানুষের কাছে নয় এবং তোমার কাছে চাওয়ার পর সেটা হবার ইচ্ছে থাকতে হবে
শব্দ: হ্যাঁ তুমি সঠিক ধরেছো, তবে যেহেতু মানুষ আমার এই ইচ্ছে ক্ষমতাটা পেয়ে গেছে তাই সে আমার কাছে ইচ্ছে পূরণের সাহায্য না চাইলেও মানুষ তার ইচ্ছা পূরণ করতে পারে
বালক: তাহলে ইচ্ছে শক্তিই তো যথেষ্ট, তোমার কাছে ইচ্ছে পূরণের সাহায্য চাইতে হবে কেনো?
শব্দ: আমার কাছে সাহায্য না চেয়ে যারা সামাজিক এবং আর্থিক ভাবে বড় হয়, প্রতিষ্ঠা পায় বা খ্যাতি পায় তা ক্ষণস্থায়ী, একটি নির্দিষ্ট সময় পর বা তার মৃত্যুর পর সে হারিয়া যায় কারন তার খ্যাতি থাকলেও মানুষ মন থেকে তাদের ভালোবাসে না
বালক: তাই নাকি?
শব্দ: এখন পৃথিবীতে যারা আর্থিক ভাবে, সামাজিক ভাবে বা অন্য কোনও ভাবে খ্যাতিমান তাদের অনেককেই মানুষ মন থেকে ভালোবাসে আর অনেককে উপরে উপরে ভালোবাসে কিন্তু মন থেকে ঘৃণা করে
বালক: তাই নাকি?
শব্দ: এখন যারা খ্যাতিমান আছে এবং যাদেরকে মানুষ মন থেকে ভালোবাসে প্রয়োজনে তুমি তাদের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করে দেখতে পারো, তারা তদের ইচ্ছে পূরণের সাহায্য আমার কাছে চেয়েছিলো কি না
বালক: ও আচ্ছা। আমি আরেকটি বিষয় জানতে চাই
শব্দ: বলো কি জানতে চাও
বালক: তুমি কি ইতোমধ্যেই সব কিছু সৃষ্টি করে ফেলেছো নাকি আরও কিছু সৃস্টি করার বাকি আছে?
শব্দ: সৃষ্টি বলতে তুমি যা বোঝো তার সব কিছুই শেষ, বাকি নেই তবে…
বালক: তবে কি?
শব্দ: এখনও অনেক কিছুই সৃষ্টি করা বাকি আছে যা তুমি এখন বুঝবে না
বালক: কখন বুঝবো?
শব্দ: আমার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখো
বালক: কি করে তোমার সাথে যোগাযোগ রাখবো?
শব্দ: আমিই যোগাযোগ করবো
বালক: কেনো তুমি আমার সাথে যোগাযোগ রাখবে
শব্দ: তুমি সব সময় আমাকে নিয়ে ভাবো তাই
বালক: আমার মনে হয় তুমি শয়তান
শব্দ: কেনো?
বালক: আল্লাহ বিভিন্ন নবী-রাসূলদের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন, আমি একজন সাধারণ বালক, আমার সাথে তোমার যোগাযোগের দরকার থাকার কথা না, সূতরাং তুমি শয়তান
শব্দ: আল্লাহ নবী-রাসূলদের সাথে যোগাযোগ রাখতেন ওহীর মাধ্যমে
বালক: ওহী আসা তো শেষ নবীর পরেই বন্ধ হয়ে গেছে
শব্দ: ওহী বন্ধ হয়েছে তা ঠিক কিন্তু তাতে কি হয়েছে?
বালক: তার মানে?
শব্দ: ওহী ছাড়াও যোগাযোগের মাধ্যম আছে
বালক: সেটা কি?
শব্দ: সেই মাধ্যম এখনও আছে, কেউ বোঝে, কেউ বোঝে না
বালক: কি সেই মাধ্যম?
শব্দ: এটা অনবরত এই পৃথিবীতে আসছে কিন্তু এক কোটিতে এক জন বুঝতে পারে
বালক: মাধ্যমটার নাম কি?
শব্দ: এই যে আমি তোমার সাথে যোগাযোগ করছি
বালক: বুঝলাম। কিন্তু এই মাধ্যমটার নাম কি?
শব্দ: এই মাধ্যমটার নাম “ইলহাম”
বালক: আমার সাথে তোমার যোগাযোগ করার দরকার নেই
শব্দ: তুমি আমাকে নিয়ে ভাবা বাদ দিলেই আমি তোমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেবো
বালকটি আর কোনও শব্দ শুনতে পেলো না। সে ভাবতে লাগলো ইলহামের মাধ্যমে এখনও আল্লাহ যোগাযোগ করেন? তা আবার এক কোটিতে ১ জন বুঝতে পারে?একজন ভালো আলেম সাহেবের কাছে যেতে হবে, আসলেই ইলহাম নামক কোনও যোগাযোগের মাধ্যম আছে কি না জানতে হবে। হাদীস-কোরানে দেখতে হবে এর কোনও ভিত্তি আছে কি না। না থাকলে এটা বোধহয় শয়তান এসেছিলো। শয়তান তারাতে হলে “লা হাওলা ওয়ালা ক্যুয়াতা ইল্লা বিল্লা” পড়তে হয়। তা ছাড়া আযান দিলে শয়তান দ্রুত পালিয়ে যায়। এরপর ঐ শব্দ আসলেই বালক আযান দেবে বলে মনস্থির করেছে।
loading...
loading...
লেখাটির মাঝ বরাবর পড়ে বুঝতে পারলাম আমাকে দ্বিতীয়বারও পড়তে হবে। লেখায় যথেষ্ঠ যুক্তি আছে যা সচরাচর চোখে পড়ে না। অনেকে এড়িয়ে যায় অথবা জানে না। আসছি।
loading...
ধন্যবাদ প্রিয় কবি সৌমিত্র চক্রবর্তীকে


loading...
"গতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি এখন আর ঢাকায় পড়বে না ঠিকই কিন্তু ওটা এখন চিটাগাংয়ের দিকে যাচ্ছে। আর ৪৫ মিনিট পরে ওটা ঠিক ডামপারা গিয়ে পড়বে"।– –আজ সকালে মা শাকের পাতা বিতরণ করেছিল। সম্ভবত সেজন্য এযাত্রা বেঁচে গেলাম !
loading...
ধন্যবাদ প্রিয় লেখক মিড ডে ডেজারট


loading...
ব্লগ পরিচালক ভাইকে অনুরোধ করছি লেখাটি যেন লেখার ভীড়ে পিছিয়ে না যায়, তার জন্য বিশেষ নির্বাচনে রাখুন দয়া করে।
loading...
বেশ ভেবেচিনতে লিখতে হয়েছে তাই স্বাভাবিক কারনেই ভাল লেগেছে। আমার আবার এই ধরনের গল্প পছন্দ কিন্তু নিজে লিখতে পারিনা, এত ভাবনার সময় পাইনা।
অভিনন্দন!

loading...
অনেক শুভকামনা প্রিয় খালিদ উমর ভাই


loading...
হালকা মনযোগ নয়; মেধার শেষ প্রান্ত দিয়ে লিখাটির বার্তা ছোঁবার চেষ্টা করলাম। আমি বিশ্বাস করি. লিখাটিকে কেউ হালকা ভাবে নিলে পুরো লিখাটিই সস্তা হয়ে যেতে পারে।
জীবনের সাধারণ গতিধারা প্রাথমিকে তেমন বর্ণনা রেখেই শুরু হয়েছে এর প্রারম্ভিকা। যতই এগুচ্ছি, দৃশ্যপট পাল্টাতে শুরু করেছে। কখনও মনে হয়েছে বাস্তবে আছি কখনও এসে ধাক্কাও পেয়েছি সহসা ভূপাতিত হয়ে। ফ্যান্টাসি থেকে সম্যকে ফিরতে হয়েছে।
লিখক একজন। অথচ দ্বৈত চরিত্রে তৈরী প্রশ্ন এবং উত্তরের যে প্রজ্ঞা বোধনের প্রকাশ-লিখনবিধি এখানে প্রদর্শিত হয়েছে একবাক্যে অসাধারণ। সাধারণ অনেকে পারবেন না।
মি. ইলহাম। আপনার প্রকাশনা যেন আলাপন শীর্ষকই থাকে। নিরন্তর শুভেচ্ছা।
loading...
এই তো প্রিয় ভাই আমার। লিখক জীবনের অনেক দীক্ষা আমি তাঁর থেকে পেয়েছি। তাঁর মন্তব্যের পর আমার অবশিষ্ট নেই। এই বলাটাই আমার বলা।
loading...
শুভকামনা প্রিয় কবি!
মুরিব্বীকে আমি অনেক কাছে থেকে দেখেছি, সামনা সামনি কথা বলেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, উনার জ্ঞান অনেক উর্দ্ধে কিন্তু উনি ধরা দিতে চান না।
আমার লেখার জীবনেও আমি উনার কাছ থেকে দীক্ষা এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছি।
loading...
কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় শ্রদ্ধাষ্পদেষু


loading...
আপনার লেখা পেয়ে চলে এসেছি। ভাববেন না যে না পড়েই এসেছি। দারুণ।
loading...
কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় লেখিকা এবং কবি




loading...
পড়লাম পড়লাম পড়লাম মিঃ ইলহাম । অনেক কিছু ভাবালেন- অনেক কিছু বলে গেলেন। চাইতে হয়- চাইলেই হয়। পোষ্টটিতে সত্যিই হালকা মনোযোগে দেখা উচিত না। গভীরভাবে ভাবা উচিত। এত বড় পোষ্ট দেখে ভেবেছিলাম পরে পড়ব। কিন্তু একবার শুরু করে শেষ হবার আগে আর ওঠা গেল না।
loading...
আমি অনুপ্রাণিত আপনার মুল্যবান মন্তব্য পেয়ে প্রিয়ভাজন জাহিদ অনিক




loading...
প্রিয়তে নিলাম
loading...
কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয়ভাজন




loading...
কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় একজন নিশাদ




loading...
লেখাটি বেশ আকর্ষণীয় মনে হলো ইলহাম ভাই।
loading...
কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় কবি ও লেখিকা!
আপনার মন্তব্য পেয়ে অনুপ্রাণিত!
loading...
* ভালো একটা গল্প পড়লাম সুপ্রিয়…
loading...
কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় দিলওয়ার হুসাইন ভাই!
loading...
হৃদয়গ্রাহী লেখা ভীষণ ভালোলাগলো
loading...
কৃতজ্ঞতা জানবেন কবি কাজী জুবেরি মোস্তাক ভাই




loading...