রাজায় রাজায় যুদ্ধে রাজার কোনো ক্ষতি হয় না। মরে শুধু উলু খাগড়ার দল।
সামনে নির্বাচন। কে জিতবে, কে হারবে, তা বড় ব্যাপার না। বড় ব্যাপার হচ্ছে, আপনি বা আপনারা তথা কর্মীরা নির্বাচনকালীন সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে রাতদিন পরিশ্রম করে প্রার্থীকে জয়ী করেন। অতঃপর প্রার্থী বিজেতা হয়ে রাক্ষস বনে যায়। হোক সে নৌকার সমর্থনে জয়ী কিম্বা ধানের শীষ বা দাঁড়িপাল্লা সমর্থনে বিজয়ী।
রাক্ষস বনবে না কেন? গরুচোর, সাইকেল চোর, চাঁদাবাজ, আর ধর্ম ব্যবসায়ীরা যখন আঙুল ফুলে কলাগাছ হয় তখন সামাজিক মর্যদা বাড়ানোর জন্য বড় বড় নেতাদের ডোনেশন দিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়। আর এইসব মানুষদের কাছে আমরা সামন্য কিছু অর্থের বিনিময়ে গোলাম বনে যাই।
তথাকথিত নেতারা তাদের নিতম্বে ফেবু নামক তেল মর্দন উপভোগ করেন। আর সে মর্দনের তেলসমতিতে জনগনের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে মিষ্টি কোঁয়া চুষুন করে হাসতে হাসতে স্বাদ উপভোগ করেন।
আমরা সাধারণ পাবিলক যারা আছি তারা সবাই নিজ স্বার্থের কথা চিন্তা করি। কিন্তু সমাজ, রাষ্ট্র বা জাতির কথা একটুও ভাবি না। আমাদের চিন্তা এমনই, দেশ যাক রসাতলে আমাদের কি, আমি তো নেতার চামচামি করে আমারটা পাচ্ছি। আর এই স্বার্থন্বেষী লোভের কারণে হাজারো পরিবার না খেয়ে মরে।
সরকার জনগনের উপকারের জন্য যেসব কাজে বরাদ্দ দিয়ে থাকেন, নেতা নামক টেন্ডারবাজরা ঐসব বরাদ্দের ৭০% যদি সম্পূর্ণ করতো তাহলে বাংলাদেশ সোনার বাংলায় রুপান্তরিত হতো।
সোনার বাংলায় অযোগ্যরা নেতা হয় আর যোগ্যরা ঐসব নেতার আমলা বনে বলে দেশের সাধারণ জনগণ কখনোই স্বস্তিতে নিঃশ্বাস ফেলতে পারিনি, পারবেও না। আর এই জন্য দায়ী আমরা সাধারণ জনগনই। কারণ আমরা সব্বাই হিপোক্রেট।
loading...
loading...
অনন্য প্রতিবাদী লেখা!
সময়ের সাবলিল উচ্চারণ।
শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
loading...
সোনার বাংলায় অযোগ্যরা নেতা হয় আর যোগ্যরা ঐসব নেতার আমলা বনে বলে দেশের সাধারণ জনগণ কখনোই স্বস্তিতে নিঃশ্বাস ফেলতে পারিনি, পারবেও না।
loading...