১৯৭১ সালে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল, তারাই আজ পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে কথা বলছেন। পদ্মা সেতু নিয়ে যে হারে আওয়ামীলীগের বিরোধী দলদের চুলকানি তাতে মনে হচ্ছে তারা একাই জনগনকে ভালবাসেন।
মানলাম! আপনাদের ভাষ্য মতে পদ্মাসেতু করতে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু পদ্মার ওপাড়ের মানুষদের তো স্বস্তি ফিরেছে। আপনাদের চিন্তাধারা তো এমনই! বৃহস্পতিবার রাতে মদ পান করবো, পরদিন আবার জুমার নামাজ পড়বো। কিন্তু এইটা মানেন না যে, একবার মদ পানে চল্লিশ দিন নামাজ হয় না। সুতরাং হোক না চুরি, তাতে কি! মানুষের উপকার তো হবে।
রোগী নিয়ে ফেরীর জন্য অপেক্ষা করতে করতে রোগী ফেরীতেই মারা যেত। ঈদ করার জন্য বাড়িতে যাওয়ার জন্য কতটা যন্ত্রণা সইতে হতো তা ঐপাড়ের মানুষজনই জানে। বাবা-মা বা আত্মীয় স্বজন মারা গেলে বাড়িতে গিয়ে জানাজার নামাজে শরীক হতে অনেকেই পারতো না কারণ ফেরী ও দুর্যোগ। এখনতো মানুষের এই সমস্যায় আর পড়তে হবে না।
আর্ন্তজাতিক ভাবে সফলতা অর্জন করার প্রধান ফটক হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। আর এই যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে পদ্মার ওপাড়ের জনগন পাবে হরেক রকম সুযোগ সুবিধা। পদ্মা বহুমুখী সেতু চালু হলে শিল্পায়ন ও বানিজ্যিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় তিন কোটি মানুষের জীবনে পরিবর্তন আসবে।
বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দেশের মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ বা কমপক্ষে তিন কোটি মানুষ সরাসরি এই সেতুর মাধ্যমে উপকৃত হবে। এতে বলা হয়, এই সেতুর মাধ্যমে আঞ্চলিক বাণিজ্য সমৃদ্ধ হবে, পাশাপাশি দারিদ্র বিমোচন হবে এবং উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি গতি ত্বরান্বিত হবে। দেশের ওই অঞ্চল থেকে রাজধানী ঢাকার দূরত্ব গড়ে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত কমবে।
আরেক সমীক্ষায় এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) নির্মানের ফলে দেশের আঞ্চলিক ও জাতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে লক্ষনীয় অগ্রগতি হবে। এই সেতু চালু হলে মানুষ ও পণ্য পরিবহনের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে, যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানী ও আমদানি ব্যয় হ্রাস পাবে।
এডিবি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সেতুর মাধ্যমে শিল্পায়ণ ও বানিজ্যিক কর্মকাণ্ড প্রসারের লক্ষ্যে পুঁজির প্রবাহ বাড়বে, পাশাপাশি স্থানীয় জনগনের জন্য অর্থনৈতিক ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়াও স্থানীয় জনগন উন্নতর স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষনের জন্য খুব সহজেই রাজধানী ঢাকা যেতে পারবেন।
এডিবি’র মতে, এই সেতুর ফলে দেশের জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশ এবং আঞ্চলিক জিডিপি ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
ভারতের ‘ইকোনমিক টাইমস’-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, এই সেতুটি (পদ্মা সেতু) বাংলাদেশের জন্য গৌরবের এবং অর্থনীতির জন্য যুগান্তকারী ঘটনা। যা ২০২১ সালের মধ্যে দেশটিকে ‘মধ্যম আয়ের’ দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক আমেরিকান সোসাইটি অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স (এএসএমই)-এর মতে, এই সেতুটি (পদ্মা সেতু) রাজধানী ঢাকা ও তুলনামূলকভাবে উন্নত অন্যান্য এলাকার সাথে সংযুক্ত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের রূপান্তর ঘটাবে। এতে আরও বলা হয়, ঢাকা- কলকাতা (ভারত) সংযোগ সড়কে অবস্থিত এই সেতুটি এশিয়ান হাইওয়ে এবং ইউরো-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সিস্টেমের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হবে।
আমি মনে করি পদ্মা সেতুর বিরোধীতা তারাই করে যারা এই দেশের জনগনের ভালো চায় না। বর্তমান সরকারের সাফল্য বলে এই পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করা হচ্ছে, আর কিছুই না।
loading...
loading...
"পদ্মা সেতুর বিরোধীতা তারাই করে যারা এই দেশের জনগনের ভালো চায় না। বর্তমান সরকারের সাফল্য বলে এই পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করা হচ্ছে, আর কিছুই না।" … সহমত।
loading...
এটি আমাদের গৌরবের প্রতিক, অহংকারের প্রতিক, সৎ সাহসিকতা ও ইচ্ছার প্রতিক, সাহসের প্রতিক, জাতীর পিতার কন্যার সাহসি সিদ্ধান্তের প্রতিক!
সুন্দর আগামির পথে রাষ্ট্রিয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পদ্মা সেতুর উদ্ভোধন এর প্রাক্কালে সেতু নির্মানে দেশি বিদেশি সকল শ্রমিক কর্মকর্তা কর্মচারী প্রকোশলি সেতু কর্তৃপক্ষ ও জাতির পিতার কন্যা কে বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালবাসা জানাচ্ছি।
জয় ✌ বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু! জয়তু মুজিব কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
loading...