2020 সাল দুয়ারে কড়া নাড়ছে
ধরনীর বুকে প্রলয়ংকরী অন্ধকার রাত্রি কেঁপে কেঁপে উঠছে
পৃথিবীর শিহরণে জেগেছে চাঁদ, সূর্য, নক্ষত্র :
এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য যখন উন্মুখ রাত্রি
দু’ফোটা জলের জন্য তৃষ্ণার্ত এই আমি,
পাশেই একটা সমুদ্র —
অথচ আমি তখন ছিলাম শূন্যতায় পরিপূর্ণ ;
এক আকাশ নীল আগুনে পুড়েছে আমার স্বপ্ন
কান্না ভেজা চোখ,
মধ্য আকাশে নীল নক্ষত্র এক শূন্য মন !
সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছে দুই হাজার বিশ সাল
মহাকাল বর্ষ চক্রে ঘুরে ঘুরে,
২০২০ সাল এল এবার : অবাক বিস্ময় নিয়ে
পিছনে ফেলে এসেছি কত শত বছর —
সুখ দুঃখের,
হেসে খেলে কেটেছে কত শত দিন
মাস, বছর … ক্ষয়ে গেছে কত শত সময় কাল,
পিছনে পড়ে আছে ধূলিমাখা মলাট বন্দি সময় ;
সমুদ্র ছিল নিঃশব্দ, নীরব..
আজ জীবন সমুদ্র হয়েছে উত্তাল,
রোদের কান্না বাতাসের আঁচলে ভেসে গেছে
অর্ধেক সময় জীবন থেকে চলে গেছে!
আমি পড়ে আছি একাকীত্বের শূন্য বালুতটে
অনেকটা খড়কুটোর মতোই ভাসছি অথৈ সমুদ্রে :
বুকের ভেতর ধারণ করেছি এক পৃথিবী পাপ
ক’দিন’ই বা এসেছি পৃথিবীতে ?
চলে যাওয়ার সময় এসেছে
সাদা কাফনের ভাঁজে ভাঁজে কাঁদে মন দগ্ধচিত্তে ;
বাকী জীবন অপঠিত থেকে গেল
প্রায় বিবর্ণ সময় :
২০২০ সাল বাজাবে বীণ …
আমার মতো লিখবে হয়তো আরও কত নবীন কবি,
কত দুঃখ কষ্ট সময়ের ভাঁজে ভাঁজে রেখেছি তুলে
আজ পাপ স্রোতে অশ্রু টলমল !
কষ্ট বিলাসী মন পুড়ছে অনুতাপের আগুনে
ব্যাকুল ব্যথাচিত্তে দগ্ধ মন,
বুকে ভাসে ফের বন্য বন্যা জল
সমুদ্র গর্জনে ভাসে জীবনের স্মৃতি গুলো,
অন্ধকার রাত্রির মতো ধেয়ে আসছে
শতাব্দীর রুদ্র রুপ! অদৃষ্টের পরিহাসে
ব্যথিত মন কেঁদে কেঁদে ভাসে দুঃখের নোনা জলে,
এসেছিলাম পৃথিবীতে ভালবাসাহীন ভালবাসার এক জীবন নিয়ে শূন্য হাতে ——
আত্মীয় স্বজন, পরিজনে কত মায়ায় জড়িয়েছি
পারিবারিক বন্ধন আমাকে ভালবাসতে শিখিয়েছে …
হায় সৃষ্টিকর্তা ! তোমার কি ইচ্ছে জানিনা :
পৃথিবীতে আসা যাওয়ার মাঝে
ছোট্ট এক তিল জীবনে পাপের পাহাড় জমেছে,
প্রভূ তুমি ক্ষমা করো আমাকে ;
ক্ষমা করো এই আমাকে —
আজ ২০২০ সালে দাঁড়িয়ে লিখছি
মহাকাল বর্ষের এক যুগান্তের কবিতা !
আজ থেকে একশত বছর পরের
২১২০ সালের পৃথিবীতে আমি আর বেঁচে থাকবো না !
থাকবে তো পৃথিবী, নক্ষত্র চাঁদ, সূর্য
থাকবে আমার এ কবিতা,
কবিতার শিরোনাম ২০২০ সাল।
আমি বারবার ফিরে আসতে চাই
এই কবিতার পৃথিবীতে …
সবুজ গল্পের দেশে !
হয়তো নতুন ভোরে গোলাপ হয়ে ফুটবো,
নয়তো শিউলি হয়ে ঝরে পড়ার কান্নার কষ্ট সইবো —-
তবু কিছু একটা হয়ে আসব,
টলমলে কালো দীঘির স্বচ্ছ জলে শ্যাওলা হয়ে
ভেসে থাকব —
এইখানে এই পৃথিবী আমার কত পরিচিত
মাথার ওপর এক আকাশ আমার কত আপন,
নিবিড় মায়াবী রাত্রির ভাঁজে ভাঁজে কবিতার ছন্দ কথা বলে ;
মাধবীলতা সন্ধ্যা
কিম্বা কামিনী ফোঁটা মধ্য রাত্রি
স্নিগ্ধ ভোরে সবুজ ঘাসের সাদা ঠোঁটে ঘুমন্ত শিশিরের গল্প …
বকুল, কদমের ঘ্রাণে দূর্দান্ত ভাললাগার কথা রেখে গেলাম !
আবার আমি আসব এ পৃথিবীতে
মাইলের পর মাইল উড়ে আকাশ বুকে,
শঙ্খনীল চিলের ডানায় রৌদ্রের গন্ধ মেখে —-
২১২০ শতাব্দীতে : দাঁড়িয়ে আমি পৃথিবীর কপাটে
করাঘাত করব দ্বার খোল, দ্বার খোল, আমি এসেছি
হয়তো ভিন গ্রহের নক্ষত্র হয়েই আবার আমি আসব,
জীবনানন্দ দাশের রুপসী বাংলার ধান সিড়ি নদীর তীরে!
২১২০ সালের কোন কবিতা লিখতে :
তখন কেমন হবে আমার বাংলাদেশ !
সোনার বাংলা হবে তো ?
আমার যে বড় বেশি ভয় হয় — — —
13.03.2019
loading...
loading...
দীর্ঘ একটি কবিতা উপহার দিয়েছেন রানু দি। কোন একটি অংশ কোট করলেও কবিতাটি এককথাতে প্রকাশ করা যাবে না। অর্থ্যাৎ মূল বিষয় বস্তুকে ধরে আনা সম্ভব বলে মনে করি না। পূর্ণাঙ্গ কবিতাটিকেই স্বীকৃতি দিতে হবে।
সার্থক কবিতায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
loading...
প্রীতিময় ভালবাসা সহ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয় দিদি ভাই। শুভ সকাল।
loading...
শুভ সন্ধ্যা দিদি ভাই।
loading...
আজ থেকে একশত বছর পরের
২১২০ সালের পৃথিবীতে আমি আর বেঁচে থাকবো না !
থাকবে তো পৃথিবী, নক্ষত্র চাঁদ, সূর্য
থাকবে আমার এ কবিতা,
কবিতার শিরোনাম ২০২০ সাল। অসাধারণ বোন হাসনাহেনা রানু।
loading...
আন্তরিক ধন্যবাদ কবি দাদা সৌমিত্র চক্রবর্তী। শুভেচ্ছা নিন।
loading...
আজি হতে শতবর্ষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি
কৌতূহলভরে–
আজি হতে শতবর্ষ পরে। __ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
কবিতায় যে বেদনার ভার … স্পষ্ট অনুভব করা যায় কবি হাসনাহেনা রানু। গ্রেট।
loading...
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম কবি আজাদ ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা আপনার জন্য।
loading...
ছন্দমুখর বলিষ্ঠ লেখনী। কবিতায় শব্দ ও ভাষার প্রয়োগ সাবলীল। শতাব্দীর কাব্য রচনায়
কবি অভিনব প্রয়াস প্রশংসনীয়।
সুন্দর কবিতা পাঠে মুগ্ধ হলাম। প্রিয়কবির জন্য অভিনন্দন রইল।।
প্রিয়কবিকে আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু!
loading...
সুখ দুঃখের,
হেসে খেলে কেটেছে কত শত দিন
মাস, বছর … ক্ষয়ে গেছে কত শত সময় কাল।
loading...