একদিন ঝড় থেমে যাবে
সে তো আমরা সবাই জানি
কিন্তু তবুও তো
ঝড়ের প্রত্যাশা করি আমরা।
গরমে হাঁসফাঁস করা ক্লান্তিকর অবস্থা থেকে
মুক্তি পেতে – জীবনে তো একটা না একটা
কালবৈশাখী চাই।
সে ঝড় হোক না যতোই ‘ভয়ঙ্করী’
ঘন কালো মেঘে আকাশ না ছাইলে
বিদ্যুতে- বিদ্যুতে ঝলকানি না মেললে
সেটা আবার কিসের ঝড়!
প্রলয় ‘ভয়ঙ্কর’ ঝড়ের মুখোমুখি না দাঁড়ালে
সার্থকতা কি আছে জীবনে?
আমরা তো ঘর বাঁধি ঝড়ের ঝাপটা থেকে
বাঁচতে, কখনো কংক্রিটের দেওয়াল তুলে
আটকানোর চেষ্টা করি, কিন্তু
ভয়ানক কালবৈশাখীর আঁচড়কে
তবুও কি সামলানো যায়?
যায় না, এ ঝড় মানে না কোন নিয়ন্ত্রণ
উঁচু উঁচু গাছ কিম্বা অট্টালিকা গুলোতে
গুলতানি করে দমকা বাতাস, গাছেরা
তখন সব নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয় কালবৈশাখীর কাছে, অসহায়ের মতো।
কতো কতো পাখির বাসা বাচ্চা সমেত
ভেসে যায় বাতাসে, মা পাখিটা শুধুই প্রলাপ করে দীর্ঘ অনুশোচনায়।
আসলে অবলা জীব তো, কিই বা করার আছে! মানুষের মতো তো তাদের চটুল বুদ্ধি নেই-ওই ছোট্ট মাথাটাতে।
কতো শত কবি লিখে যায়, অকাল বৈশাখের সুদীর্ঘ পুরাণ।
ঝড়ের রাতে লোডশেডিং আসে, প্রদীপের টিমটিম আলোয় কাব্য লেখা অসম্পূর্ণ থেকে যায়, আগামী কালবৈশাখীর প্রতীক্ষায়।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
loading...
loading...
কতো শত কবি লিখে যায়, অকাল বৈশাখের সুদীর্ঘ পুরাণ।
ঝড়ের রাতে লোডশেডিং আসে, প্রদীপের টিমটিম আলোয় কাব্য লেখা অসম্পূর্ণ থেকে যায়, আগামী কালবৈশাখীর প্রতীক্ষায়। ___ সুন্দর একটি কবিতা উপহার।
loading...
ভালো লিখেছেন
loading...