করোনায় একজন প্রবাসী (২য় পর্ব)

জনমানবশূন্য মরু প্রান্তর। আমি আর আমার সাথে ভেড়ার পাল। যেন আমি শিক্ষক ওরা আমার ছাত্র। মোটা তারের বেড়া দিয়ে আবদ্ধ ভেড়ার সাথে ছাগলও আছে কয়েকটা। পাশে তাবু আমার থাকার ঘর। প্রচন্ড গরমে মনে হয় সূর্যটা দৃষ্টি সীমানার প্রান্ত শেষে। পানির তৃষ্ণায় শুকনো গলায় কথার বাহির হচ্ছে না। গাড়ি হতে নেমে কাপড়ের ব্যাগ রাখলাম তাঁবুতে। বালুর ভিতর একটা কার্পেট বিছানো। সৌদি আমাকে বসতে বললো। আমি অবনত মাথায় নিরীহ নির্বাক। সাত চল্লিশ ডিগ্রী তাপমাত্রায় দপ করে মুখটা জ্বলে উঠলো। হৃদয়ে ভেসে উঠলো তিন বছরের মেয়েটার কথা। টাকা নেই তার জন্য যে দুধ কিনবে। মায়ের শ্বাসকষ্টের ঔষধ ফুরিয়ে আসছে। এনজিও আশা এবং চাচা আছে পিছনে পিছনে তবে কমুদ বাবু মেনে গিয়েছে। বলেছে তোর সুবিধা মত টাকা দিস তবে তাড়াতাড়ি দিলে সুদ কম হবে। তাবুতে আমার দিন রাত মাঝখানে ভেড়ার খেদমত। ইস! এই টাকায় প্রবাসীদের বউ চোখে কালো চশমা পরে টাউনে গিয়ে দোকানে দোকানে সৌন্দর্য বিলি করে। ভাইটা পড়ার নাম করে টাকা নিয়ে নিজের এ্যাকাউন্টে জমা করছে। ক্ষমতাশালী রাজনীতি করে চাঁদা নিয়ে মাদক ও নারীতে মগ্ন থাকে। ছোট বোন রাত জেগে নেটে ছবি দেখে। মা বাপ কখনো কখনো চোখের নেত্র বিসর্জন দেয়। ছোট ছোট শিশু সন্তান বলে বাবা কখন আসবে বাড়িতে। তারের বেড়ায় লোহার উপর হাত রাখতে ছ্যাঁত করে উঠে। ফোসকা পড়ে যায় হাতের তালুতে। য়ে দিকে তাকাই স্বচ্ছ আকাশ আর আকাশ। এই দেশে শীতকালে বৃষ্টি হয় আর গরম কালে রৌদ্রে আগুন ধরে।

স্বর্গে ডানে বামে সামনে পিছনে সুন্দরী হুর থাকবে খেদমতে। না চাইলেও থাকবে তারা। আর এখন আমি শিশুর দুধ কিনতে পারছি না। কি আজব রহস্য মরণের পর হুরের গন্ধে আমি হবো মাতোয়ারা আর এখন এক অযোগ্য বাবা। যাকে তুমি আরব দেশের রাখল বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছো। সাদা, হলুদ গোলাপী রংয়ের হুরের সাথে সুরা হাতে এরাবিক নৃত্য হবে, মাঝে জয় জয় বলে চিৎকার করবো। নেশাগ্রস্ত হয়ে লুটিয়ে পড়লে হুর আমাকে চুমা দিয়ে শিহরিত করবে আর এখন আমি মায়ের হাঁপানির ঔষধ কিনতে না পারা অযোগ্য সন্তান। তুমি কি জানো ঈশ্বর আমার মা আমার কাছে স্বর্গ। যে চাঁদ আলো দিয়ে অন্ধকার পৃথিবী জ্যোৎস্নাময় করে সেই চাঁদ হতেও আমার মা বেশি জ্যোৎস্নাময়। আজ তাঁর হতে অনেক দূরে ধুধুবালু প্রান্তরে সৌদি আরবের গভীর জঙ্গলে মেষপালক আমি। মায়ের সন্তান প্রসব করার সময় যে ব্যথা হয় তার সামান্য পরিমাণও যদি পুরুষদের দেওয়া হয় তাহলে মেরুদণ্ডের বাইশটা হাড় ভেঙ্গে চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে যাবে। তুমি সেই মা‘য়ের ঔষধ ও দুধ কিনতে আমাকে অপরাগ কেন করে রাখবে হে অধিপতি। আমার দেশে শত শত লোক হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে ব্যাংকে জমা করছে। তাদের সন্তানেরা বিদেশে উন্নত জীবনযাপন করছে। আর আমার সন্তান দুধ ভাতও পায় না। আমজনতার হোক মেরে খাওয়া লোক কত আরাম আয়াস করে আর তুমি আমাকে শাস্তি দিতে ব্যস্ত। দেশের শাসকও বৈষম্য তৈরি করে শিক্ষা চিকিৎসা ও আইনে আমাদের সেবা দেয় তুমিও তাই করছো।

সৌদিয়ান একজন ভারতীয় বাঙ্গালী সাথে করে নিয়ে ফেরত আসে। গায়ে সাদা লম্বা জামা তবে গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা যাতে রোদ না লাগে। উনি এসেই বাংলা বলায় আমার আর কথা বলতে বেগ পেতে হলো না। কথা বলে বুঝা গেল কাজের পারদর্শী সে। কেমন আছো বাপু। আমি ফকির শাহ। পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদ বাড়ি। অনেক দিন আছি এখানে, সৌদি লোকটা ভালো। তুমি মন লাগিয়ে কাজ করো আস্তে আস্তে সব ভালো লাগবে। আর এখানে নিরাপদ থাকবা। আমি নিরব হয়ে তার কথা শুনি। সৌদিয়ান পঞ্চাশ রিয়েল আমাকে দিয়ে চলে যায়। পাশে রেস্ট হাউজে কাজ করে ফকির শাহ। আমি তার পিছে পিছে চলি। দরকারের চেয়ে একটু বেশী বলে ফকির শাহ। প্রাচীর ঘেরা রেস্ট হাউজ যেন রাজ প্রাসাদ। নানা জাতের ছোট বড় অসংখ্য খেজুর গাছ। পানির কৃত্রিম লেক, কুপ এবং ঝর্ণায় সজ্জিত। গেইট রাস্তায় কিংবা ঘর সব নিরাপত্তায় ঢাকা। সিসি ক্যামেরা ও নিরাপত্তা ঘন্টা দেওয়া আছে। তাবুতে চা গাওয়া (কফি) খায়। এবং মেহমান আসলে বসে। লিপটন, কুব্বুস, শ্রীলষ্কান চায়ের পাশে ফ্রাসী, তুর্কী আমেরিকান এবং মালাই, কোন কফি নাই তাদের। সবই আছে সাজানো আর বানানোর কারিগর ফকির শাহ।

ফকির শাহ কাজ করে রেস্ট হাউজে। তার জন্য আলাদা থাকার ঘর আছে। সেই ঘরে যাবতীয় সরঞ্জাম আছে। ভেড়া দেখার লোক ছুটিতে তাই সে ভেড়ার পালকে খাবার পানি দেয়। আমি তার কথা শুনি আর মাথা ডান বাম করি। ফ্রীজ হতে মোরগ বাহির করতে করতে বলে আজ মোরগটা ভালো করে রান্না দিতে হবে গো। আমি তার কোন কথায় মন দিতেছি না। আমার নাকে ঘুরে ভেড়ার বিচ্ছিরি গন্ধ। সকাল বিকাল খাবার দেওয়া। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। রোগ জীবাণু হলে সেবা করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো ভেড়া হতে দুধ বাহির করতে হয়। এরাবিয়ানদের কাছে উট, ভেড়া এবং ছাগলের দুধ খুবই প্রিয়। এমনকি দুধ হতে মাখন বানিয়ে বিক্রিও করে। এমন অনেক এরাবিয়ান আছে যাদের কাছে শত শত ভেড়া কিংবা উট আছে। এইটা এদের কৃষি কাজ। সরকার এই কৃষিকাজে উচ্চ হারে ভতুর্কি দেয়। গম এবং কাঁচা ঘাস উট ও ভেড়ার খাদ্য। সীমানা হীন মরুভূমিতে বাঙ্গালীরাই কৃষি কাজে জড়িত। বাথরুমে ঢুকে পানির ঝর্ণা ছেড়ে দিই মাথার উপর। দশ মিনিটের গন্ধ সহ্য হচ্ছে না অথচ মানুষ শত দিন হাজার দিন এই কাজে নিয়োজিত। অার আমি! আমার কান্নার জল ঝর্ণার জলে মিশে হারিয়ে যায়। কাজ করতেই হবে, কাজ পারতেই হবে। ভয় পেলে পুরুষ কিসের। (চলবে)

করোনায় একজন প্রবাসী
(৩য় পর্ব)

আমার এলাকার এক হাই স্কুলের শিক্ষক সৌদিতে এসে ভেড়া পালনের কাজে পড়ে ভিসা দালালের মিথ্যার কারণে। সৌদিতে গিয়ে কাজের কথা শুনে উনি হতবাক। পরে অনেক দেন দরবার করে উনার সাবেক ছাত্ররা টাকা দিয়ে টিকেট কেটে দেশে ফেরত পাঠায়। উনার সৌদি মালিক কিছুতেই উনাকে রিলিজ দিতে কিংবা দেশে যেতে দিতে রাজি না। সৌদিয়ান বলে আমি ভিসা দিতে কোন টাকা পয়সা দাবি করি নাই। কারণ যে আসবে সে কষ্ট করবে তাই ভিসা বিনা পয়সায় দিয়েছি যাতে একজন মিসকিন কৃষক আসতে পারে। শিক্ষক কেন এই ভিসায় সৌদিতে আসলো। এইটা শিক্ষকের ভুল, আমার না। তাকে বুঝানো গেল না ভিসার দালাল মিথ্যা বলেছে। সৌদিয়ান বলে তোরা সবাই বাঙ্গালী মিথ্যাবাদী। যেহেতু আমার ভিসা নষ্ট হয়েছে এবং কাজের জন্য লোকও নাই তাই এখন এই কাজ করতেই হবে। ঊনি এর বাসায় ওর বাসায় পালিয়ে থেকেছেন কিছু দিন পরে এক পুলিশ অফিসারের সহযোগিতায় দেশে আসেন। এখনো উনি হাই স্কুলের শিক্ষকতায় নিয়োজিত। আসলে গরিবের জন্য শিক্ষাটাই অত্যন্ত উপকারী সম্পদ। যে কোন সময় এইটা বিক্রি করে আপনি খেয়ে পরে চলতে পারবেন। হয় আপনার কাছে অগাধ টাকা পয়সা থাকতে হবে না হয় যথেষ্ট শিক্ষা থাকতে হবে। আপনি অশিক্ষিত দীনহীন সময় পার করেছেন। তবুও মা বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। তাদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া কামনা করেন। কিন্তু বর্তমানের সন্তান বলবে কেমন মা বাবা যারা আমাকে পড়াশোনাও করতে দেয়নি সম্পদও রেখে যায়নি। তাদের ভুলের কারণে আজ আমি অশিক্ষিত, তাই আমি খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে কষ্ট পাচ্ছি। এই জন্য সন্তানকে আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত কর্মময় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চেষ্টা করুণ। যাতে সন্তান শিক্ষার সুফল পায়।

ভাই তোমার নাম জানা হলো না। আমি আর তুমি এক ভাষার মানুষ। মন খুলে চলবা আমার সাথে। আমি আবুল কালাম। বাংলাদেশে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি আমার বাড়ি।
এই লও বিড়ি খাও। পাতার বিড়ি এইটা। এত দিন একজন কথার বলার লোকও ছিল না। এখন তুমি আসায় ভালো লাগছে। চলো, ঘরের ভিতর দেখো। আমার মালিক লোক ভালো টাকা পয়সা ঝামেলা করে না। বৃহস্পতিবার বিকালে আসে পুরা পরিবার আবার শনিবার রাতে চলে যায়। এই দুই দিন আমার কাজ বেশী থাকে। দম ফেলতে পারি না। সে সরকারি বড় অফিসার তাই বিভিন্ন লোক আসে। খাওয়া – দাওয়া হয় প্রচুর। অনেকে আমাকে বকশিস দেয়।
আমি মন দিয়ে ফকির শাহর কথা শুনি। বাড়ির ভিতর সব কিছু এত দামি দামি যে চোখ ধাঁধানো। মনে হয় যেন রাজার মহল এইটা। দালানে রংয়ের কারুকর্ম, বাহারি বাতি, দামী ফার্নিচার। এইটাইতো স্বর্গ গরিবের জন্য।

দুইটা মেয়ে বিয়ের বয়স পার হয়েছে। এখনো বিয়ে দিতেছে না ছোট একটা পোলা আছে সেই বিরক্ত করে। ছেলেমেয়েদের পিছনে বেতনের অর্ধেক টাকা পনের দিনে শেষ করে। দামি দামি পোষাক কসমেটিক্স কিনে। এরপরও বিউটি পার্লারে যায় দুইবোন। বড় লোকের মেয়ে বড় লোকের কাছে বিয়ে দিবে। মোহরানাও অনেক বেশী দাবি করে। এমনিতে বিয়ে করতে হলে একজন লোকের বাড়ি গাড়ি সংসার খরচ যাবতীয় পরিপূর্ণ থাকতে হয়। এই মেয়েদের বিয়ের কথা হলে তাদের বাবা এক লাখ রিয়েল মোহরানা দাবি করে। আমাদের দেশে মোহরানার কথা, বিয়ের পরে আর কারো খবরই থাকে না। এইখানে কলমা পড়ার আগেই তার লেনদেন শেষ হয়। যাদের টাকা পয়সা বেশী থাকে বহু বিবাহ করে। এইটা ইসলামের সুন্নত। অথচ নামাজে অনেকে সুন্নত পড়েই না। আর বহু বিবাহ করে সুন্নত পালন করে। সবচেয়ে আচার্য্য কথা বৃদ্ধ বয়সেও যুবতী মেয়ে বিয়ে করে বাচ্চার বাপ হয়। ঘরের ভিতর নারীর নূন্যতম মর্যাদা নেই। তবে বাহিরে কেউ চোখ তুলেও তাকাতে পারে না। একসাথে কয়েকটা মেয়ে কালো বোরখা পরে চললে মনে হয় পেঙ্গুনের দেশ।

অথচ এই এরাবিয়ানই গরিব দেশ হতে গৃহকর্মী নিয়ে আসে বেশীর ভাগ যৌন কাজের জন্য। ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া এবং বাংলাদেশ হতে আসে এইসব গৃহকর্মী। ফিলিপাইনের বিধর্মী মেয়েরা আসার সময় সেই রকম প্রস্তুতি নিয়েই আসে। আবার সৌদিয়ান প্রচুর ফিলিপাইন ভ্রমনেও যায়। এইসব গৃহকর্মীদের বরাতে বিয়েও করে। থালা বাসন ধোঁয়া হতে ঘরের সমস্ত কাজ করতে হয়। ঘর পরিষ্কার, কাপড় পরিষ্কার, শিশুদের দেখাশোনা এবং ঘরের পাশে গ্রোসারি দোকানে যেতে হয় খরিদ্দার হয়ে। খুব কম সময় মিলে ঘুমানোর জন্য। ঘুমানোর জায়গা হয় রান্না ঘর কিংবা স্যাঁতসেঁতে অস্বাস্থ্যকর ঘরের কোণা। এর ফাঁকে ঘরের যুবকের যৌন লালসায় পড়তে হয়। বাপ ব্যাটা উভয়ের কুনজর থাকে গৃহকর্মীর উপর। প্রাপ্তবয়স্ক বয়স্ক পুরুষ মানে কাদ্দমা (গৃহকর্মী) ভোগ। আর এর পরিমাণ হয়তো শতকরা আশি জনের ঘরে। প্রতিবাদ করলে নির্যাতন নেমে আসে বর্বরোচিতভাবে। যেমন আমাদের দেশে বড়লোকের বউরা করে ছোট গৃহকর্মীদের উপর। খবুই কম সৌদি পরিবার আছে গৃহকর্মীদের যৌনসংগমে বিরত থাকে। এবং হাদিস কোরানে প্রভাবিত হয়। তবে ঘরের বাহিরে এদের চলাফেরা দেখলে মনে হবে না এরা এমন বর্বর। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শতকরা ৯৮জন লোকই পড়ে। এবং সুযোগ পেলে কোরান তেলাওয়াতও করে। চীনের নকল পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার এই সৌদি। আবার এরা হালাল হারাম খাবার খুজে চীনে গিয়ে। আজব কথা হলো এইসব গৃহকর্মীদের কোন আজনবী ( সৌদিয়ান নয়) এর সাথে কথা বলতে দেখলে তারা খুব রাগ করে। বলে এইটা হারাম, ইসলাম অবমাননা। প্রেম ভালোবাসায় জড়ালে পড়তে হয় ইসলামি আইনের ম্যারপ্যাচে। হয় জেল জুলুম এবং অবশেষে নিজ দেশে ফেরত।

হাসপাতালের আয়া কিংবা নার্সের কাজে যারা আছে তারা ভালো আছে। নার্সের জায়গা ফিলিপাইনের দখলে আর আয়ার দখলে বাংলাদেশ। রাস্তা ঝাড়ু, অফিস আদালত ঝাড়ু, বিমান বন্দর ঝাড়ু কিংবা বাথরুম ঝাড়ু সব বাংলাদেশের পরিচ্ছন্ন কর্মীর দখলে। অথচ বাংলাদেশের রাজনীতিক নেতারা কথায় কথায় বলে দেশ অনেক উন্নত যে কানাডার মত। এইসব ঝাড়ুদারের রেমিটেন্স পাঠানো টাকায় রাজনৈতিক নেতারা নিজ পরিবার কানাডায় রাখে বলে তারা স্বপ্নিল থাকে। হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ভালোবাসার মধু পান করতে গিয়ে করে অনৈতিক কাজ। এবং কখনো কখনো সীমাহীন প্রতারিত হয় মেয়েটা। যেমন এখন বাচ্চাসহ এক বছর ধরে জেলবাসী নোয়াখালীর জেসমিন। তার সহকর্মী কুমিল্লার ছেলের সাথে প্রেম তারপর বিয়ে। (চলবে)

(চলবে)।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

১টি মন্তব্য (লেখকের ০টি) | ১ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ০৬-০৭-২০২০ | ১৮:৪৬ |

    যাপিত জীবনের কথা গুলোই যেন উঠে এসেছে আপনার এই দ্বিতীয় পর্বে। আশা করবো সব ছাপিয়ে ভালো এবং মন্দ গ্রহণে আপনার সীমাহীন ধৈর্য্য হোক আগামীর পাথেয়। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    GD Star Rating
    loading...