কোয়ারেন্টাইন (জনবিচ্ছিন্ন) থেকে লোকজন পালিয়ে যাচ্ছে ...

এখন যদি ইটালী থেকে আসার পর আপনাকে হজ্ব ক্যাম্পে ১৪দিন রাখা হয়, আপনিও পালিয়ে যাবেন। ইটালি না, আপনি কক্সবাজার গিয়েছেন, ফিরে আসার পর জানলেন, আপনাকে ১৪ দিন আটকা থাকা লাগবে। সেটা ফ্লোরে তোশক বিছিয়ে। বিপদের সময় এখন তাই আবদ্ধ থাকতেই হবে। কোন সন্দেহ নেই। তবে, এটা কি একটু ভালোভাবে হতে পারে না?

এরা তো আর চুরি করে পালিয়ে আসে নাই। কেউ কেউ ভীতি থেকে এসেছেন। বাকিরা স্বাভাবিক যাওয়া আসা করেন, ফ্লাইট রেগুলার চলাচল করে। এই মানুষ গুলোকে এভাবে না রেখে তাদের জন্যে একটা বাড়ি ভাড়া করে, সঠিক দামে খাট কিনে ও একটা আলমারি দিয়ে তাদের কি রাখা যেতো না? যে দেশে লাখ টাকায় পর্দা কিনা হয়, লাখ টাকায় বালিশ কিনা হয়, কোটি টাকায় কলাগাছের লেনদেন হয়। সেখানে এই একটা কাজে দুর্নীতি না করে কিছু খাট কিনে, একটু ভালো পরিবেশ দিয়ে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের রাখা হলে কি খুব খারাপ হতো? ওয়াইফাই দিয়ে পরিবারের সাথেও কথা বলার জন্য সুযোগ দেয়া যায়। দিলে কি এমন ক্ষতি হবে। বা পরিবার থেকে পাঠানো খাবার চেক করে তাদের কাছে কি দেয়া যায় না? ১০ লাখ রোহিঙ্গাদের ঘর বাড়ি হয়, আর আমাদের সম্মানিত রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কপালে জোটে ক্যাম্প। কত টাকা লাগতো এতে? একটা বালিশ আর একটা কলাগাছের টাকা দিয়ে তো এরকম ১৫০ জনকে ৩ মাস খাওয়ানো যায়। ভয় লাগে, কবে না জানি দেশের শাসকদের কপালে এরকম সেবা জোটে।

(করোনা আক্রান্ত যেসব দেশে কেরালার নাগরিক রয়েছে তারা দেশে ফিরতে চাইলে তাদের সাদরে গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্য সরকার। কেরালার কোন নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও ফিরে আসতে চাইলে তাদেরকে সসম্মানে গ্রহণ করা হবে এবং যথোপযুক্তভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের তাদের পছন্দ মতো খাবার সরবরাহ, ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ওয়াইফাই’র ব্যবস্থা ও রোগ থেকে সেরে উঠতে কাউন্সেলিং করছে কেরালা।
যারা বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে আছে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য পর্যালোচনা করে চিকিৎসা করছে কেরালা সরকার। এ জন্য চালু করা হয়েছে বেশ কয়েকটি হটলাইন নাম্বার, যাতে ফোন দিয়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য জানতে পাচ্ছেন তারা।

আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতি মুহূর্তে খোঁজ খবর নিচ্ছে ওই রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্যকর্মীরা সরাসরি আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসার পাশাপাশি মনোবল বাড়াতে কাউন্সেলিং করছেন। (বাংলাদেশ প্রতিদিন)

আমরা কি কেরালা হতে গরিব নাকি মেধাহীন। শাসকদল যে বলে আমাদের দেশ সিঙ্গাপুর হয়ে গিয়েছে। তাহলে এইসব মিথ্যা আর ধোঁকাই। যাহা আমজনতাকে বোকা বানানো ছাড়া আর কিছুই না।
কানাডা প্রবাসী মেয়েটা ডাক্তার নার্সদের অবহেলায় মরেই গেল। এইসব কসাইদের আবার কিছু বলা যাবে না রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির কারণে তাদের আছে দানবীয় ক্ষমতা, করবে ধর্মঘট। বিপদে পড়বে সাধারণ জনগণ। তাইতো দুঃখে বলি (ক্ষমা চাই) করোনা তুমি বাংলাদেশের সব ধরনের জালিমদের ক্ষমা করোনা । এই ভাইরাসজনিত রোগে যদি আমরা উন্নত রাষ্ট্রকেও পিছনে ফেলি, তখন কিছুই করার থাকবে না। অ‌পেক্ষা কেবল সম‌য়ের। কারণ অামা‌দের সামা‌জিক এবং রাষ্ট্রীয় প্র‌তি‌রোধ ব্যবস্থা যে কত দুর্বল তা বলার বা‌হি‌রে।

কষ্ট কেবল অাপন কেউ মারা গে‌লে তার কা‌ছেও যে‌তে পার‌বো না‘ বা নি‌জে মারা গে‌লে কেউ কা‌ছে অাস‌বে না। তাই বলবো রাজনৈতিক কাঁদা ছুড়াছুড়ি না করে কাজের কথায় মনোযোগ দিন। আমরা সাধারণ জনগণও সচেতন হই। নিজে বাঁচি, পরিবাব, সমাজ এবং রাষ্টকে বাঁচাই।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

২ টি মন্তব্য (লেখকের ১টি) | ১ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ১৮-০৩-২০২০ | ১৮:০৩ |

    মানবিক সচেতনতার পাশাপাশি "রাজনৈতিক কাঁদা ছুড়াছুড়ি না করে কাজের কথায় মনোযোগ দিন। আমরা সাধারণ জনগণও সচেতন হই। নিজে বাঁচি, পরিবাব, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে বাঁচাই।" https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    GD Star Rating
    loading...
  2. ফয়জুল মহী : ১৮-০৩-২০২০ | ১৯:০৪ |

     একমাত্র আল্লাহই রক্ষাকর্তা । 

    GD Star Rating
    loading...