ক্রমশ আইসিইউ তে চলে যাচ্ছে গোটা বাংলাদেশ!
দীর্ঘতর সন্ধ্যায় গালে হাত দিয়ে বসে আছেন মা,
একটি গামছা দিয়ে জড়িয়ে ছোটবোন’টিকে নিয়ে-
হাসপাতালের দিকে ছুটছেন অগ্রজ!
এম্বুলেন্স ছুটছে,
সাইরেন বাজানো ভুলে গিয়ে শুধুই
আকাশের দিকে তাকাচ্ছেন চালক ;
ঠাঁই নাই – ঠাঁই নাই
ক্লিনিকের করিডোরে কাঁদছে বিষণ্ণ কাক!
মৃত্যু ছাড়া আর কোনো সংবাদ মাইকে
প্রচার করতে পারছেন না মসজিদের
মোয়াজ্জিন। মন্দিরের উপাসক-
দু’হাত তুলে প্রার্থনা করছেন প্রভুর কাছে,
পাখিরাও ওড়াওড়ি ভুলে গিয়ে-
যাপন করছে বিষাদ-বিলাপ!
সন্ধ্যার আয়তন বেড়ে গেলে দীর্ঘ হয়
রাতের পরিধি!
কিন্তু হায়! মানুষ কতোটা মেনে নিতে পারে
আঁধারের আয়ু! কতোটা বিপন্ন হয়ে
জানান দিতে পারে নিজের অসহায়ত্ব!
আমি নির্বাক চেয়ে আছি।
আমি নিজের সাথেই সারছি সংলাপ।
একটি প্রভাতের জন্য আমি আরাধনার
ডালি সাজিয়ে বলছি…
মহান শক্তিধর হে!
তুমিই তো বলেছ- তোমার ক্ষমা থেকে
কোনো প্রাণই বঞ্চিত হয় না!
#
loading...
loading...
চমৎকার লেখা
এক কথায় অতুলনীয়।
loading...
একটি প্রভাতের জন্য আমি আরাধনার
ডালি সাজিয়ে বলছি…
মহান শক্তিধর হে!
তুমিই তো বলেছ- তোমার ক্ষমা থেকে
কোনো প্রাণই বঞ্চিত হয় না!
loading...