বীজের সখীত্ব ঘেরা রোদের জীবন ♦
অবশেষে আমিও ভাবতে শুরু করেছি, বীজের সখীত্ব ঘেরা রোদের গার্হস্থ্য
জীবন। কীভাবে জমিয়ে রাখে সবুজ কোলাহল। কীভাবে পাখিদের পাশে দু’মুঠো
খুদদানা ছিটিয়ে দেয় কিষাণী বালিকা। খুটে খাওয়ার দৃশ্য দেখে দাঁড়ায় দুপুর,
এই মধ্যনদীতে যারা নৌকো বেয়ে যায়, তারাও থামে। অতিক্রান্ত জোয়ারের
ধ্বনি বুকে নিয়ে বাঁচে যে মনন, সে তো থেমে গেছে অনেক আগেই। বিধ্বস্থ
আকাশ থেকে স্বপ্ন চুরি করে আমরা যে ছাউনী সাজিয়েছিলাম, বিপন্ন চাঁদের
সাথে- সে ও কাটায় রাত। আর অপেক্ষায় থাকে- মেঘের ঘনত্ব কেটে যাবে
ঠিকই। স্বপ্নেরা স্পর্শ করবে বিষুববৃত্তান্ত মাখা উষ্ণতার হাত।
#
হলুদ বৃষ্টির ছায়া ♦
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মাঝে মাঝেই আমি কান্না ভুলে যাই। মাঝে মাঝেই,
একগুচ্ছ হলুদ বৃষ্টি আমাকে আলিঙ্গন করে।
অনেকগুলো বিষাদ-
সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে আমাকে বিদায় জানায়।
অনেকগুলো মৃত্যু,
আমার চারপাশে ছিটিয়ে যায় ফুল, পরাগের প্রহর।
আমি মানুষের প্রস্থানদৃশ্য দেখি। দেখি,
আকাশে আকাশে তারা হয়ে ঝলক দিচ্ছে
যে প্রাণ,
একদিন তারা মাটিতে ছিল। ছিল আমার প্রতিবেশী,
আমার স্বজন।
বেদনার ত্রিভুবনে যে দেহগুলো ঢাকা পড়েছে হলুদ কাপড়ে,
আমি আবার তাদের ছবিগুলো দেখি।
উড়তে উড়তে প্রেমিকার বাহু জড়িয়েছিল যে প্রেমিক,
কিংবা যে শিশু উড্ডয়নের আনন্দে ঘুমিয়ে পড়েছিল
তার মায়ের কোলে-
তাদের মুখছবি আমার দুচোখে ভেসে যেতে থাকে।
কোনো সংবাদই আমি আর পড়তে পারি না।
সকল আকাশকেই আমার অবিশ্বস্ত মনে হয়..
সকল কান্না’কে মনে হয়,সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া
এক একটি পাখির কঙ্কাল।
loading...
loading...
বিপন্ন চাঁদের সাথে- সে ও কাটায় রাত। আর অপেক্ষায় থাকে- মেঘের ঘনত্ব কেটে যাবে ঠিকই। স্বপ্নেরা স্পর্শ করবে বিষুববৃত্তান্ত মাখা উষ্ণতার হাত।
loading...