বিজ্ঞাপনের শ্রমগল্প
ডায়লগটা একটা বিজ্ঞাপনের। আমাদের চারদিকে এখন দাদ, বিখাউজ,
কোমরের মোটা দাগ মিইয়ে দেবার বিজ্ঞাপন। আমাদের গোটা পরিকল্পনা
জুড়েই এখন রাজপথ। ফুটপাথ নেই। ফলে হেঁটে যাবার রাস্তা নেই। যারা
গাড়ির মালিক তাদের যাবার পথ আছে। আমাদের নেই। আমরা শ্রমজীবি
মানুষেরা জানি না, শিলাবৃষ্টি আমাদের বোরোধান তলিয়ে নিলে – দাঁড়াবো
কোথায়!নগরে প্যাকেজ রাজনীতি চলছে। খাদির পাঞ্জাবী পরে নেতারা
উদ্ধার করছেন আমাদের ভবিষ্যত। আর আমাদের সন্তানেরা হামাগুড়ি দিচ্ছে
ডোবায়। যে ডোবায় এখন পানিও নেই। শুধুই নর্দমা। কাদার ছড়াছড়ি।
সময় এলে অনেকেই আমাদেরকে চিনতে পারেন। সময় চলে গেলে আর চেনার
দরকার মনে করেন না। এই যে ধাউড় সম্প্রদায়, তারাই আমাদের নিয়ামক।
মাঝে মাঝে দূরে দাঁড়িয়ে তারাও বলেন- চেনা চেনা লাগে !
একটা চাকরির খোঁজে যে ছেলেটি গ্রাম ছেড়ে শহরে গিয়েছিল, সে-ও
অর্ধচন্দ্র খেয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে কর্পোরেট অফিসটির সদর দরোজায়।
তার পিঠে বেদনার জন্মদাগ। কর্কট রোগে আক্রান্ত পিতার মুখ সম্বল করে
তার হাঁটু’টি আর চলতে চায় না। চলতে চায় না এখন অনেক কিছুই।
এই নগরটা পুড়ে গেলেও ক্ষতি নেই। কখনও কখনও পোড়া-ই ভাগ্যের
বলিরেখা। পোড়াবাড়িতেই গড়ে উঠে যে প্রাসাদ, কংকালগুলো তার সাক্ষী
হয়েই থেকে যাক আপাতত।
#
বরফজমা রোদের জামা
আরেকটি পোশাক পরিয়ে দিতে থাকি হিমকন্যার গায়ে। জমে থাকা হিমালয়ের মতো
বিচূর্ণ হয়ে আছে এই নিউইয়র্ক নগরী। দেখেছি এর আগেও সহবাসের দীর্ঘশ্বাসগুলো
কত মায়ায় মিতালী গড়ে চাঁদের সাথে। কত দরদ নিয়ে ইষ্ট রিভারের পারে জাগে
সূর্য। আমি যাযাবর সূর্যের সাথে হাঁটতে হাঁটতেই একদিন পালন করেছিলাম ভালোবাসা
দিবস। আর প্রকৃতিকে বলেছিলাম, তুমিও পালন করো ধারাবাহিক ছুটিতালিকা। একটি
জীবনে অবসরের প্রয়োজন হয় খুব। প্রত্যন্ত বরফেরা আমার কথা মন দিয়ে শোনে।
রোদের হাসি এসে ভুলিয়ে দেয় দুঃখ, জলবীজে মিশে ছায়া-প্রেমের, নিভৃতে-সংগোপনে।
loading...
loading...
এই নগরটা পুড়ে গেলেও ক্ষতি নেই। কখনও কখনও পোড়া-ই ভাগ্যের
বলিরেখা। পোড়াবাড়িতেই গড়ে উঠে যে প্রাসাদ, কংকালগুলো তার সাক্ষী
হয়েই থেকে যাক আপাতত।
loading...
চমৎকার উপস্থাপন!
loading...