বৃষ্টিদ্রোহী

॥ক॥
নষ্ট আগুন নিয়ে কিছু লোক চলে গেল এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে। বিচ্ছিন্ন ঘাসের
কোলে ডুবে থাকা গ্রামগুলো ঘটনার সাক্ষী হয়ে লিখে রাখলো স্বরবর্ণের শোক।
প্রতিরোধ গড়ে তোলার কোনো ক্ষমতা ছিল না বলে ভাসমান ডিঙিও মাঝির
হাত ধরে কাঁদলো পুনরায়। আমি কোনো কবি নই। তবুও পংক্তির পুনরাবৃত্তি
দেখে বৃষ্টির ঠোঁটে তুলে দিলাম কর্ণফুলীর সমস্ত জল। কানে ফুল দুলিয়ে যে
কিশোরী কবিতার জন্য সারারাত কেঁদেছিল, সে ও হেসে উঠলো ধানক্ষেতে
জোতদার কর্তৃক খোদাই করা ক্ষত দেখে। সে রাতে এই গ্রামে কেউ ঘুমোয়নি।
সবাই জেগে পাহারা দিয়েছে হলুদ ব্রিজের উত্তর-দক্ষিণ। শুধু ঘুমিয়েছিল নবীন চাঁদ।
তার সকল নির্জনতা আমাদের দিকে ঠেলে দিয়ে ভুলে যেতে চেয়েছিল
নষ্ট আগুনের খেলা। লিখতে চেয়েছিল ভাটিবোধ, মন জোড়া দেবার মজলিশি কৌশল।

॥ খ॥
যথার্থ সম্মান দিয়েই পড়ি লিখিত গানচিত্র। সুরের মালিকানায় আমার কোনো অধিকার নেই। তবুও ভাগ বসাবো বলে, হাতড়ে দেখি মেঘের তৈজস। মেঘ উড়ে
গেছে অনেক আগেই, শাদা বকের মতো পালক ফেলে সুখের বারান্দায়। আমিও পালক ভেবে কুড়িয়েছি বৃষ্টি, আর বলেছি ভিজে যাওয়া দুপুরের বিরুদ্ধেই আমার
বিদ্রোহ অমরতা পাক। কিংবা তোমাকে ভিজিয়ে দেবার মহেন্দ্রক্ষণ, সর্দি-জ্বরের
উষ্ণতায় পবিত্র হোক প্রেমের আচ্ছাদনে। ঢেকে রাখা আমার কাজ নয়, তবুও
বিভক্তির বিপরীতে বিছিয়েছি নরম উলের চাদর। চোখের ইশারায় বুঝাতে চেয়েছি,
এ নগরে বৃষ্টি যেন বারোমাস হয়। পাথরের শ্বেতশরীর, মেঘের ভ্রূণে লুকাতে লুকাতে যেন করে তোমার তালাশ। আর প্রেম-আফিম মুখে পুরে বৃষ্টিমেয়েরা
যেন বদলায় তাদের হাঁটার ভঙ্গিমা।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
বৃষ্টিদ্রোহী, 5.0 out of 5 based on 1 rating
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

১টি মন্তব্য (লেখকের ০টি) | ১ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ১৫-১২-২০২২ | ৯:৫৬ |

    পাথরের শ্বেতশরীর, মেঘের ভ্রূণে লুকাতে লুকাতে যেন করে তোমার তালাশ।
    আর প্রেম-আফিম মুখে পুরে বৃষ্টিমেয়েরা
    যেন বদলায় তাদের হাঁটার ভঙ্গিমা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    GD Star Rating
    loading...