তিনবছর আগে যে স্থানটিতে হলুদ ফুল ছিল, সেখানে ফোটে রয়েছে
কয়েকটি শাদা ফুল। আমি সেই ফুলগুলোর সামনে দাঁড়ালাম। এখনও
বসন্ত আসেনি এই সেন্ট্রাল পার্কে। ঋজু অশ্বখুর, ভেদ করে যাচ্ছে পীচ
ঢালা পথ। দূর থেকে ছুটে আসা পর্যটক পুরুষ, ধরে আছে প্রেমিকার
হাত। ছুটছে অশ্ব-ডানে বামে ঝুলে আছে বিক্রেতাদের সাজানো খাদ্যতালিকা।
ভেতরে সবুজ ঘাসের উঁকি। নীরব পাথরচুর্ণদের মুখাবয়ব দেখে প্রাচীন
কবি, শত বছর আগে বেঞ্চের হেলানে লিখেছিলেন যে কবিতা—তার হ্রস্ব
পংক্তিমালায় আমার চোখ পড়ে। দেখি একটি ছায়া দাঁড়িয়ে আছে আমার
ঠিক পেছনে। পাথরের ছায়া দেখে কিছুটা চমকে উঠি। এই আঙুলগুলো
কার!তবে কী কোনো মানুষ পাথর হয়ে গেছে এই বৃক্ষবিতানে! কোনো
গ্রীবাচিহ্ন আঁকছে চুম্বনের সর্বশেষ দাগ!পাতার নীচে পড়ে আছে কোনো
ভালোবাসার শেষচিঠি!অবাক হতে হতে হাঁটতে থাকি। আমার মেয়ে আমার
একটি ছবি তুলবে বলে ক্যামেরা তাক করে। আমি হাত দিয়ে উজ্জ্বল সূর্যকে
আমার মুখমণ্ডল থেকে সরাতে চেষ্টা করি। আরেকটি পাথর আমাকে ডেকে
বলে— ঠিক এখানেই একদিন দাঁড়িয়েছিলেন মহামতি রবীন্দ্রনাথ।
loading...
loading...
নীরব পাথরচূর্ণদের সাথে কথোপকথন … ধরে আছে প্রেমিকার হাত।
ছুটছে অশ্ব-ডানে বামে ঝুলে আছে বিক্রেতাদের সাজানো খাদ্যতালিকা।
loading...